শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে, যথাযথ তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় আগুনে নিভে যাচ্ছে শ্রমিকের তাজা প্রাণ। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা শতভাগ বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় ওয়াসিন স্পিনিং মিল নামের কারখানায় নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ২০১৮ সালে আগুনে ওই কারখানার তিন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে নিলুফা আক্তার নামের এক শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করেন।
উপজেলার নয়নপুর এলাকার অটো স্পিনিং মিলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা একেবারে নাজেহাল। নামমাত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে এই কারখানায়। অনেক যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও নেই কোনো তদারকি। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেন, শাহজালাল, সেলিম মিয়াসহ ওই কারখানার ছয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি এলাকার এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানেও নেই স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এটি একটি কেমিক্যাল কারখানা হওয়ায় আশপাশের মানুষ সবসময় থাকেন আগুন-আতঙ্কে। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হন আরও ২১ শ্রমিক।
শ্রীপুর পৌরসভার পলমল গ্রুপের আসওয়াদ গার্মেন্টসে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক রাশেদুজ্জামান, নাঈমুর রহমান, খলিলুর রহমান, রুবেল মিয়া, বুলবুল ইসলাম, মিনহাজুল হক, লাজু মিয়া ওরফে রাজুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়। এত প্রাণহানির পরও ওই কারখানায় স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেননি কর্তৃপক্ষ।
ওয়াসিন স্পিনিং মিলে অগ্নিদগ্ধ হওয়া নিলুফা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় জৈনা বাজার এলাকায়। তিনি বলেন, ‘কারখানায় কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। পঙ্গু হওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পেয়েছি; কিন্তু আমি তো অচল।’
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শতভাগ স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এতে প্রাণহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার সব কারখানায় খোঁজখবর নিয়ে স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে, যথাযথ তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এতে প্রতিবছর উপজেলার বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় আগুনে নিভে যাচ্ছে শ্রমিকের তাজা প্রাণ। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বলছে, অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা শতভাগ বাস্তবায়নে কাজ করা হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকায় ওয়াসিন স্পিনিং মিল নামের কারখানায় নেই অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। ২০১৮ সালে আগুনে ওই কারখানার তিন শ্রমিক দগ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে নিলুফা আক্তার নামের এক শ্রমিক পঙ্গুত্ববরণ করেন।
উপজেলার নয়নপুর এলাকার অটো স্পিনিং মিলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা একেবারে নাজেহাল। নামমাত্র অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে এই কারখানায়। অনেক যন্ত্রাংশ বিকল হয়ে পড়ে থাকলেও নেই কোনো তদারকি। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আনোয়ার হোসেন, শাহজালাল, সেলিম মিয়াসহ ওই কারখানার ছয় শ্রমিকের মৃত্যু হয়।
উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের টেপিরবাড়ি এলাকার এএসএম কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানেও নেই স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। এটি একটি কেমিক্যাল কারখানা হওয়ায় আশপাশের মানুষ সবসময় থাকেন আগুন-আতঙ্কে। ২০২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া আহত হন আরও ২১ শ্রমিক।
শ্রীপুর পৌরসভার পলমল গ্রুপের আসওয়াদ গার্মেন্টসে ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয়ে কারখানার সহকারী ব্যবস্থাপক রাশেদুজ্জামান, নাঈমুর রহমান, খলিলুর রহমান, রুবেল মিয়া, বুলবুল ইসলাম, মিনহাজুল হক, লাজু মিয়া ওরফে রাজুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়। এত প্রাণহানির পরও ওই কারখানায় স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করেননি কর্তৃপক্ষ।
ওয়াসিন স্পিনিং মিলে অগ্নিদগ্ধ হওয়া নিলুফা আক্তারের সঙ্গে কথা হয় জৈনা বাজার এলাকায়। তিনি বলেন, ‘কারখানায় কোনো ধরনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। পঙ্গু হওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পেয়েছি; কিন্তু আমি তো অচল।’
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন রায়হান চৌধুরী জানান, শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শতভাগ স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা থাকলে অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। এতে প্রাণহানির মতো বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব। প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপজেলার সব কারখানায় খোঁজখবর নিয়ে স্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪