Ajker Patrika

মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি উদ্ধারে ম্যাজিস্ট্রেট দিচ্ছে না জেলা প্রশাসন

তানিম আহমেদ, ঢাকা
মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি উদ্ধারে ম্যাজিস্ট্রেট দিচ্ছে না জেলা প্রশাসন

বেদখল সম্পত্তি উদ্ধারে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে সহায়তা চেয়েও পাচ্ছে না বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। সম্পত্তি উদ্ধারে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য জেলা প্রশাসনকে সাতবার চিঠি দিলেও সাড়া মেলেনি। বিষয়টি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে প্রতিবেদন আকারে জানিয়েছে ট্রাস্ট।

সূত্র জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি বেদখলের বিষয়টি জানান ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম মাহাবুবুর রহমান। তিনি জানান, ট্রাস্টের ২৮ একর ৭১ শতক জমি অবৈধ দখলে থাকলেও গত তিন বছরে ২১ একর ৮৯ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন। বর্তমানে ৬ একর ৮২ শতক জমি অবৈধ দখলে আছে। মূলত ম্যাজিস্ট্রেট না পাওয়ায় জমি উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হলে দ্রুত জমিটি উদ্ধার করা সম্ভব হবে। কমিটি বেদখল জমি উদ্ধারে প্রশাসনকে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করে। ১৮ এপ্রিল কমিটির বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন করে ট্রাস্ট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন মোহাম্মদপুরের গজনবী রোডের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১-এ অবৈধ দখলে থাকা ছয়টি ফ্ল্যাট, পাঁচটি দোকান, স্পেস এবং নবাবপুর রোডের মডেল মিনি মার্কেটের খেলাপি ভাড়াটে উচ্ছেদের জন্য ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে জেলা প্রশাসক বরাবর ছয়বার চিঠি দেওয়া হয়। গত বছরের ৩১ অক্টোবর, ২৮ নভেম্বর, চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ৫ মার্চ ও ৬ মার্চ এসব চিঠি দিলেও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়নি। সংসদীয় কমিটির সুপারিশের পর অবৈধ দখলে থাকা জমি উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে ৯ এপ্রিল আবারও জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখনো ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

সাতবার চিঠি দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি এস এম মাহাবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তারা বলে, ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিচ্ছি। ফাইল পুটআপ হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসনের বিচার শাখায় চিঠি এসেছে। কোনো এক জটিলতায় চিঠি পুটআপ হয়নি। তবে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম হেদায়তুল ইসলামের মোবাইলে কল দিলে ধরেননি।

ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের বিষয়ে জানতে গতকাল সোমবার ঢাকার জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের অফিশিয়াল মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। টিঅ্যান্ডটি নম্বরে কল করলে একজন জানান, তিনি বৈঠকে আছেন। পরে জেলা প্রশাসকের মোবাইলে খুদে বার্তা দিলেও সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত