Ajker Patrika

মশা নিয়ন্ত্রণে তৎপরতা নেই, অতিষ্ঠ বাসিন্দারা

শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ, (নারায়ণগঞ্জ)
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১১: ৩৩
Thumbnail image

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের বাসিন্দারা মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। দিন-রাত মশার উপদ্রব। কয়েল জ্বালিয়েও মিলছে না নিস্তার। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের তৎপরতা নেই। নিয়মিত মশকনিধনের ওষুধ ছিটানো হয় না। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দাবি, এলাকাবাসীর শান্তির জন্য ওষুধ ছিটানো আগের চেয়ে তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে।

জানা যায়, সিটি করপোরেশন সময়মতো নালা ও ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় সেগুলো মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া মশার উপদ্রব বাড়লেও ওষুধ ছিটানোর উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম দেখা যায়নি সিদ্ধিরগঞ্জে। শেষ কবে ওষুধ ছিটানো হয়েছে তা-ও ভুলে গেছেন বাসিন্দারা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন তাঁরা।

নতুন মহল্লার হোটেল মালিক হানিফ বলেন, ‘সন্ধ্যা হলে মশার যন্ত্রণায় দোকানে বসে থাকতে পারি না। পাশের কারখানা থেকে কিছু টুকরা কাপড় নিয়ে এসে ধোঁয়া দিই দোকানে, তাতে কিছুক্ষণ কমলে আবার সেই আগের মতো হয়ে যায়। কাউন্সিলররা যদি নিয়মিত ওষুধ দিতেন, তাহলে একটু কমত।’

সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড় এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা সাইফ বলেন, ‘দিনের বেলা উপদ্রব কম থাকলেও সন্ধ্যার পর মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। সন্ধ্যা নামলেই কয়েল জ্বালাতে হয় বাসায়, তাতেও কোনো কাজ হয় না।’

নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাদল মিয়া বলেন, ‘আমাদের এলাকার নালাগুলো নির্মাণ করার পর থেকে এখন পর্যন্ত পরিষ্কার করা হয়নি। নালাগুলো পরিষ্কার করা দরকার, এখান থেকে মশা জন্ম নেয় বেশি। আমাদের কমিশনার সাহেব যদি নালাগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে মশার ওষুধ দিতেন, তাহলে মশা কিছুটা কমত।’

শাপলা চত্বর এলাকার এনামুল হক বলেন, ‘মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি। ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। কোথাও ২ মিনিট দাঁড়ানো যায় না মশার কারণে। আমাদের এলাকার জনপ্রতিনিধিরা একটু লক্ষ করলেই হয়তো আমরা মশার অত্যাচার থেকে রক্ষা পাব।’

মিজমিজি বাতানপাড়ার বাসিন্দা সিয়াম বলেন, ‘মশার উপদ্রব এতটাই বেশি যে, সারাক্ষণই কয়েল জ্বালিয়ে রাখতে হয়। তা-ও মশা কাজ চালিয়ে যায় আরামে। আগে দেখতাম মাঝেমধ্যে সিটি করপোরেশনের লোক মশানিধনের ওষুধ ছিটাতেন, এখন তো তা-ও দেখা যায় না।’

এ বিষয়ে নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘মশার উপদ্রব বাড়লেও আমরা এখন আগের চেয়ে ওষুধ তিন গুণ বাড়িয়ে দিয়েছি। আগে পর্যাপ্ত ওষুধ ছিল না, যার কারণে ঠিকমতো দিতে পারিনি। তবে সরকার আমাদের ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে মশানিধনের ওষুধ দিয়েছে। আমরা এখন ছক অনুযায়ী কাজ করছি।’

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আবুল আমিনকে মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত