কেরানীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষ

ঢাকার কেরানীগঞ্জে পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জের জিনজিরা বাস রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, কেরানীগঞ্জ উপজেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সভাপতি নিপুন রায়ের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন শেষে শতাধিক নেতা-কর্মী দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় নেতা-কর্মীরা নিপুণ রায়ের ওপর ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর হামলার প্রতিবাদে স্লোগান দিতে থাকেন। পুলিশ হ্যান্ডমাইকে তাঁদের সেখান থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিলে নেতা-কর্মীরা না সরে বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন। তখন পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিলে নেতা-কর্মীরা দৌড়ে আশপাশের বিভিন্ন অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে। এ সময় হঠাৎ গুলির শব্দে স্থানীয় লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে নিপুন রায় বলেন, ‘কোন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নূর হোসেন নূরুর মায়ের অসুস্থতার জন্য দেখতে তাঁর বাড়িতে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় জিনজিরার পার্টি অফিসে সংবাদ সম্মেলন শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ আমাদের নেতা-কর্মীদের পেছন থেকে লাঠিপেটা করে। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু ছালাম মিয়া বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তা থেকে সরে যেতে বললে তারা আমাদের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা করে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা বাধা দিলে তারা আমাদের লক্ষ করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে আমাদের পরিদর্শক (তদন্ত), পরিদর্শক (অপারেশন), দুজন উপপরিদর্শক ও তিনজন কনস্টেবলসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন। এ ঘটনায় আমরা একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কেরানীগঞ্জ সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির জানান, পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিএনপির নেতা-কর্মীরা জিনজিরা বাস রোডে অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের রাস্তা থেকে ওঠাতে চাইলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। পরে পুলিশ যথেষ্ট ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে সেখান থেকে নেতা-কর্মীদের সরিয়ে রাস্তা চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে।

এদিকে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অবিলম্বে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।