Ajker Patrika

অ্যাম্বুলেন্সেই সন্তান প্রসব

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি
আপডেট : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ১৫: ২৫
অ্যাম্বুলেন্সেই সন্তান প্রসব

ফেনী সদরের আরসাদিয়া এলাকার মো. ইব্রাহিমের স্ত্রী সাজেদা আক্তারের (২৭) গতকাল রোববার দুপুরে তীব্র প্রসব বেদনা উঠে। তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থা সংকটাপন্ন মনে করে চিকিৎসক তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

স্ত্রী ও সন্তানকে বাঁচাতে অ্যাম্বুলেন্সে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন ইব্রাহিম। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌর সদর অতিক্রমের সময় প্রসব বেদনা তীব্র হয় সাজেদার। বিষয়টি সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিনকে জানানো হয়। খবর পেয়ে তিনি সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অ্যাম্বুলেন্সটি দাঁড় করিয়ে অন্য চিকিৎসকদের সহায়তায় সন্তান প্রসব করান।

আনন্দে আবেগাপ্লুত মো. ইব্রাহিম বলেন, ‘ফেনীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক আমার স্ত্রীকে চমেক হাসপাতালে রেফার করেন। এতে আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। সীতাকুণ্ড পৌর সদর অতিক্রমকালে স্ত্রীর অবস্থা সংকটাপন্ন মনে হয়। তাই আমি পরিচিতদের সহায়তায় সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে অবহিত করি। তিনি তাৎক্ষণিক বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের হাসপাতালে আসতে বলেন। হাসপাতালের সামনে তাঁর নেতৃত্বে চিকিৎসকেরা আমার স্ত্রীর সফলভাবে ডেলিভারি সম্পন্ন করান। বর্তমানে আমার স্ত্রী ও সন্তান সুস্থ আছে।’

সীতাকুণ্ড স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন বলেন, ‘প্রসূতি সাজেদার স্বামী ইব্রাহিম ফোন করে সহায়তা চাইলে আমি তাৎক্ষণিক তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে হাসপাতালে আসতে বলি। হাসপাতালেরে সামনে অ্যাম্বুলেন্স দাঁড়ানোর পর মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. উম্মে হানি অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে প্রসূতির স্বাভাবিক ডেলিভারি করান। এ সময় তাঁকে সহযোগিতা করেন এসএসিএমও শিপন, মিডওয়াইফ রাফিন, এসএসএন নার্সিং সুপারভাইজার হোসনে আরা বেগম ও আয়া নুরজাহান। রোগীর স্বজনের আবেদনে প্রেক্ষিতে অ্যাম্বুলেন্সের ভেতরে স্বাভাবিক ডেলিভারি করানো হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত