সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শুরু হয়েছে ‘লোক উৎসব’। উপজেলার উজানধল গ্রামের খেলার মাঠে গতকাল মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়।
এ সময় আলোচনায় সভায় বাউলসম্রাটের ছেলে শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান মামুন। লোকজ গবেষকসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যার পর শুরু হয় বাউলগানের আসর।
সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহ নুর জালাল বলেন, ‘যে যেভাবে পারছে, আমার বাবার রচিত গানগুলোকে বিকৃত সুরে গাইছে। আমার অনুরোধ, আপনারা বাবার স্মৃতি রক্ষার্থে প্রকৃত সুরে গান গাইবেন।’
তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা করিম ভক্তরা হতাশা প্রকাশ করেন। তিন বছর ধরে বাউলসম্রাট শাহ পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে এই উৎসব হয়ে আসছে। এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির সহযোগিতায় লোক উৎসব পরিচালিত হতো।
ঢাকা থেকে আসা করিমভক্ত আরিফ হাসান বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের মতো একজন বড় মাপের সাধকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ক্ষুদ্র পরিসরে হয়। এটা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি।’
সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে শাহ আবদুল করিমের উৎসব আরও জাঁকজমক হবে এমনটাই দাবি এই ভক্তের।
বাউলসম্রাটের জীবদ্দশায় নিজ বাড়িতেই একটি সংগীত বিদ্যালয় করেছিলেন। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা এখন প্রায় অন্ধকারে।
এই বাউলের এক শিষ্য বাউল আবদুর রহমান বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের শেষ ইচ্ছা ছিল, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টিতে শিষ্যরা সংগীতচর্চা করবেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে অন্ধকারে নিমজ্জিত। সরকারি সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হতে পারে।’
একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও প্রাকৃতিকভাবেই শিক্ষিত সাধক বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম। তাঁর রচনায় ফুটে উঠেছে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা, আছে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের অধিকারের কথা। একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম তাঁর দর্শন, চিন্তা ও চেতনায় গণমানুষের পক্ষে গানকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
এই বাউলের গানগুলো সঠিক সুরে এখন অনেকেই গায় না।
বাউলসম্রাটের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০০৬ সাল থেকে ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসব শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় এটি হচ্ছে ১৬তম লোক উৎসব। বাউল করিমের জন্মবার্ষিকী স্মরণে লোক উৎসব ঘিরে উজানধল মাঠে গ্রামীণ মেলা বসেছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হবে আজ বুধবার।
একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে শুরু হয়েছে ‘লোক উৎসব’। উপজেলার উজানধল গ্রামের খেলার মাঠে গতকাল মঙ্গলবার দুই দিনব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়।
এ সময় আলোচনায় সভায় বাউলসম্রাটের ছেলে শাহ নুর জালালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদুর রহমান মামুন। লোকজ গবেষকসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন। আলোচনা সভা শেষে সন্ধ্যার পর শুরু হয় বাউলগানের আসর।
সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শাহ নুর জালাল বলেন, ‘যে যেভাবে পারছে, আমার বাবার রচিত গানগুলোকে বিকৃত সুরে গাইছে। আমার অনুরোধ, আপনারা বাবার স্মৃতি রক্ষার্থে প্রকৃত সুরে গান গাইবেন।’
তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা করিম ভক্তরা হতাশা প্রকাশ করেন। তিন বছর ধরে বাউলসম্রাট শাহ পরিষদের নিজস্ব অর্থায়নে এই উৎসব হয়ে আসছে। এর আগে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানির সহযোগিতায় লোক উৎসব পরিচালিত হতো।
ঢাকা থেকে আসা করিমভক্ত আরিফ হাসান বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের মতো একজন বড় মাপের সাধকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান ক্ষুদ্র পরিসরে হয়। এটা দেখে আমরা হতবাক হয়েছি।’
সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা থাকলে শাহ আবদুল করিমের উৎসব আরও জাঁকজমক হবে এমনটাই দাবি এই ভক্তের।
বাউলসম্রাটের জীবদ্দশায় নিজ বাড়িতেই একটি সংগীত বিদ্যালয় করেছিলেন। কিন্তু পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তা এখন প্রায় অন্ধকারে।
এই বাউলের এক শিষ্য বাউল আবদুর রহমান বলেন, ‘শাহ আবদুল করিমের শেষ ইচ্ছা ছিল, তাঁর প্রতিষ্ঠিত সংগীত বিদ্যালয়টিতে শিষ্যরা সংগীতচর্চা করবেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে অন্ধকারে নিমজ্জিত। সরকারি সহযোগিতায় এই প্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু হতে পারে।’
একাডেমিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হলেও প্রাকৃতিকভাবেই শিক্ষিত সাধক বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম। তাঁর রচনায় ফুটে উঠেছে সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থার কথা, আছে শোষিত, বঞ্চিত, নির্যাতিত মানুষের অধিকারের কথা। একুশে পদকপ্রাপ্ত বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিম তাঁর দর্শন, চিন্তা ও চেতনায় গণমানুষের পক্ষে গানকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন।
এই বাউলের গানগুলো সঠিক সুরে এখন অনেকেই গায় না।
বাউলসম্রাটের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০০৬ সাল থেকে ধল গ্রামবাসীর উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উৎসব শুরু হয়। এর ধারাবাহিকতায় এটি হচ্ছে ১৬তম লোক উৎসব। বাউল করিমের জন্মবার্ষিকী স্মরণে লোক উৎসব ঘিরে উজানধল মাঠে গ্রামীণ মেলা বসেছে। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া এই উৎসব শেষ হবে আজ বুধবার।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪