Ajker Patrika

ভুলের চেয়ে সরকারের সাফল্য বেশি

মামুন আবদুল্লাহ ও বিভুরঞ্জন সরকার
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ৫৩
ভুলের চেয়ে সরকারের সাফল্য বেশি

আজকের পত্রিকার পক্ষ থেকে সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেছেন উপদেষ্টা সম্পাদক মামুন আব্দুল্লাহ ও সহকারী সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার।

প্রথমেই আপনাকে আজকের পত্রিকা পক্ষ থেকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা। আপনি তথ্য মন্ত্রণালয়ের আগেও দুটো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন। বন পরিবেশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এগুলোর মধ্যে কোনটিতে কাজ করতে ভালো লেগেছে?

ড. হাছান মাহমুদ: আমি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের কাজ এনঞ্জয় করেছি। নিজের কাজকে উপভোগ করতে না পারলে, কাজ যদি পছন্দ না হয়, তবে কাজ ভালো করা যায় না। আমি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাত মাস ছিলাম। সেখানে আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। কাজকে এনজয় করেছি। এরপরে যখন আমাকে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়, সেখানে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে আমার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে। কারণ পৃথিবীতে এখন ক্লাইমেট ডিপ্লোমেসি বা পরিবেশ কূটনীতি বলে একটা বিষয় আছে। সারা পৃথিবীতে বাংলাদেশের পক্ষে ওকালতি করা, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতা সহায়তা করেছে। আমি যেহেতু পরিবেশবিজ্ঞানের ছাত্র, পরিবেশবিজ্ঞান নিয়ে আমি মাস্টার্স করেছি, পিএইচডি করেছি, ছাত্রজীবনে আমি গ্রিনপিচ ইন্টারন্যাশনালের সদস্য ছিলাম, আমি একজন পরিবেশকর্মী। দলের আমি ১০ বছর পরিবেশ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। সে কাজটিও আমি খুব যত্নসহকারে করেছি। এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার আগে ছয় বছর দলের প্রচার সম্পাদকের কাজ করেছি। দলের প্রচার সম্পাদকের কাজ করার পর আমাকে সরকারের প্রচার বিভাগের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি আমার তরুণ বয়সে যখন ছাত্রলীগের কর্মী ছিলাম, এমনকি কলেজের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র, তখন চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভার মাইকিং করতাম। আমি একজন মাইকিং করা কর্মী। এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের মাইকটি আমার হাতে দিয়েছেন।

বলা হয়ে থাকে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কাজটা আপনার মন্ত্রণালয় থেকে করা হয়ে থাকে। কী বলবেন?
ড. হাছান মাহমুদ: আমরা কোনোভাবেই গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করি না। আমরা বরং গণমাধ্যমকে প্রোমোট করছি, সঙ্গে নিয়ে কাজ করছি। আমরা সরকার গঠনের আগে ২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৫০, কিন্তু বর্তমানে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৫০। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ছিল ১০টি, এখন ৩৫টি। কোথায় নিয়ন্ত্রণ দেখছেন?

বঙ্গবন্ধু ভিন্নমত পছন্দ করতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বর্তমান সরকার কি ভিন্নমত পছন্দ করে?
ড. হাছান মাহমুদ: অবশ্যই। আমরা একটি বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বাস করি। একটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় বাস করি। বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ভিন্নমত থাকতে হয়, সমালোচনা থাকতে হয়। সমালোচনা ও ভিন্নমত ছাড়া বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা হয় না। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার সমালোচনা সমাদৃত করেন, শোনেন। সবারই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে সমালোচনা যদি অন্ধের মতো হয়, বধিরের মতো হয়, সেটি ভিন্ন কথা। সমালোচনা কাজ করার ক্ষেত্রে সহায়ক। সমালোচনাকে সমাদৃত করলে কাজ শুদ্ধ হয়, সুন্দর হয়। একটি দৃষ্টান্ত দিই। আমি যখন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে, তখন বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য পত্রিকা সরকারের অনেক সমালোচনা করত। পরিবেশ কোথায় বিপর্যস্ত হচ্ছে, সরকারের কোথায় নজর দেওয়া দরকার, কোথায় নজর দিচ্ছে না। এমনকি আমারও কার্টুন ছাপিয়েছে। কার্টুন তো ব্যঙ্গ করেই ছাপানো হয়। আমি সেই পত্রিকাকেও জাতীয় পরিবেশ পদক দিয়েছি। আপনারা জানেন এখন তৎপরতা তেমন দেখা না গেলেও একসময় বাপা (বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন) পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রে নেওয়া পদক্ষেপগুলোর ব্যাপারে খুব ভালো ভূমিকা পালন করেছে। বাপা সরকারের অনেক সমালোচনা করেছে। সেই বাপাকেই আমি প্রস্তাব দিয়ে জাতীয় পরিবেশ পদকে পুরস্কার দিয়েছি। প্রতিবছর প্রেস কাউন্সিল থেকে একটি পত্রিকাকে জাতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। আপনি খেয়াল করবেন, গত কয়েক বছরে যেসব পত্রিকা পুরস্কৃত হয়েছে তারা সবাই সরকারের সমালোচনা করেছে।

আপনি একজন পরিবেশকর্মী। আপনি বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনেও এবার অংশগ্রহণ করেছেন। রামপালে কয়লাভিত্তিক একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র করে সুন্দরবনের ক্ষতি করা হচ্ছে বলে যে অভিযোগ, সে বিষয়ে আপনার বক্তব্য কী?
ড. হাছান মাহমুদ: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন থেকে ১২-১৪ কিলোমিটার দূরে এবং এটি তৈরি হচ্ছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে। যার ফলে এতে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। জার্মানিতেও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। আমি যখন পরিবেশমন্ত্রী, তখন আমাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটি পরিদর্শন করার জন্য। কীভাবে পরিবেশভিত্তিক একটি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে পারে, সেটি দেখার জন্য আমি গিয়েছিলাম। জার্মানির কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাউন্ডারির পাশে ভুট্টাখেত এবং এর আধা কিলোমিটারের মধ্যে ঘন বন রয়েছে। সেখানে হরিণ আছে, অন্যান্য বন্য প্রাণী আছে। সেখানে যেমন সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, আমাদের দেশেও তেমন হবে। এর ফলে কোনো কালো ধোঁয়ার সৃষ্টি হবে না। এখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার এবং সুন্দরবন থেকেও অনেক দূরে হওয়ার ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার কোনো আশঙ্কাই নেই।

আপনি তো দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। এবার আমরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা দেখেছি। সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আপনাদের পদক্ষেপ কী?
ড. হাছান মাহমুদ: ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে। আর কিছু ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জয়লাভ করেছে; অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আওয়ামী লীগের বিকল্প আওয়ামী লীগ।

আপনারা অতীতে বলেছিলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। আসলে এটা হয় কি?
ড. হাছান মাহমুদ: গত নির্বাচনে তাঁদের দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া যাঁরা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছেন, তাঁদের এ বছর মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। দলের পদ থেকেও অপসারণ করা হয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া গেছে, জনপ্রতিনিধি মনোনয়নের ক্ষেত্রে তৃণমূলের সিদ্ধান্তকে কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আপনার বক্তব্য কী?
ড. হাছান মাহমুদ: তৃণমূলকে প্রাধান্য দিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। তৃণমূল থেকে প্রার্থীদের নাম পাঠানো হয়েছে। তৃণমূলের বাইরে থেকে কোনো নাম কেন্দ্রে আসেনি। তবে এমন হয়েছে তৃণমূল থেকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে জনপ্রিয় প্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হয়নি।

আমরা দেখলাম, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। যাঁরা বিশ্বাস করেন এ সরকারের সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না বা সরকারের সমালোচনা করেন, তাঁরাও এটি স্বীকার করেছেন। আগামী নির্বাচন কি এ রকমই হতে দেখব?
ড. হাছান মাহমুদ: আমি বিশ্বাস করি আগামী নির্বাচন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মতোই স্বচ্ছ, সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক, উৎসবমুখর হবে। ২০১৪ বা ২০১৮ সালের নির্বাচনও ঠিক এমন হতে পারত যদি বিএনপি নির্বাচন বর্জন এবং নির্বাচন প্রতিহত করার পথ বেছে না নিত। ২০১৮ সালের নির্বাচনও আরও অনেক উৎসবমুখর হতো, যদি বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত যেনতেনভাবে নির্বাচনে না যেত। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, নির্বাচনকে বিতর্কিত ও বানচাল করা।

বিএনপি তো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলছে। সরকার কি তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণে কোনো ভূমিকা পালন করবে?
ড. হাছান মাহমুদ: দেখুন, কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কি করবে না, এটা তাদের নিজস্ব দলীয় সিদ্ধান্ত। মওলানা ভাসানী সত্তরের নির্বাচন বর্জন করেছিলেন। এটা তাঁর দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল, তাই বলে কি নির্বাচন বন্ধ হয়েছিল? এখন বিএনপি নির্বাচনে আসবে কি না, এটাও তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত। আমরা তো চাই সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, জনগণের রায়কে বিশ্বাস করে, তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা উচিত। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি বিএনপির জন্য ২০১৪ সালের নির্বাচন বর্জন আত্মহননমূলক ছিল। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে শেষ মুহূর্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তা বানচালের চেষ্টা করাও তাদের দলের জন্য বেশ ক্ষতি ডেকে এনেছে। এখনো যে নির্বাচনে না যাওয়া, নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত, তা তাদের জনবিচ্ছিন্ন করছে। তাদের তৃণমূলে যাঁরা রাজনীতি করেন, তাঁরাও হতাশ হচ্ছেন।

নির্বাচন কমিশন আইনের প্রশ্নটি যখন এসেছিল, তখন আইনমন্ত্রী বলেছিলেন এবারও করা সম্ভব হবে না। কিন্তু হঠাৎ করেই আমরা দেখলাম পজিশনটা বদলে গেল। যাঁরা সরকারের সমালোচক, তাঁরা বলছেন এটি দুরভিসন্ধিমূলক এবং এতে সরকারের অসৎ উদ্দেশ্য আছে। এটিকে কীভাবে দেখছেন?
ড. হাছান মাহমুদ: যদি স্বয়ং জিবরাইল ফেরেশতাকেও দায়িত্ব দেওয়া হয় তারপরও বিএনপি খুশি হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত জিবরাইল (আ.) বিএনপিকে জেতানোর নিশ্চয়তা না দেবেন! এখানে বিএনপিই বলেছিল, আইন তৈরি করতে বেশি সময় লাগবে না। দুই দিনেই করা যায়। আর সুশীল সমাজের যাঁরা এখন উল্টো স্বরে কথা বলছেন, আইন আনার আগের ও পরের তাঁদের ভিডিও ক্লিপ আমাদের কাছে আছে। বিএনপির ভিডিও ক্লিপও আমাদের কাছে আছে। তাঁরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আগে বলেছিলেন, দরকার হলে এই আইন রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ দিয়ে করে ফেলেন। ওনাদের একজন এ-ও বলেছিলেন ১৫ দিনেও আইন করা যায়। এখন তো ১৫ দিনে নয়, আরও বেশি সময় নিয়ে, বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, সংসদের মাধ্যমে নিয়ম মেনে এই আইন তৈরি করা হয়েছে। এই আইনকে তাঁদের স্বাগত জানানো উচিত। আসলে তাঁরা এটিকে একটি ইস্যু বানাতে চেয়েছিলেন। সবকিছুতে না বলার একটি বাতিক তৈরি হয়ে গিয়েছে তাঁদের।

আপনি কি মনে করেন, খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেওয়া উচিত?
ড. হাছান মাহমুদ: বেগম খালেদা জিয়া যখনই অসুস্থ হন, তখনই বিএনপি ওনাকে বিদেশে চিকিৎসা করানোর দাবি জানায়। এর আগেও তিনি আরেকবার অসুস্থ হয়েছিলেন, তখনো বলেছিল খালেদা জিয়াকে বিদেশ না নিলে ওনার জীবন সংকটাপন্ন হয়ে যাবে, তিনি বাঁচবেন কি না, সন্দেহ আছে। কিন্তু তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন। এবারও তাঁরা বলছিলেন যে খালেদা জিয়ার অবস্থা সংকটাপন্ন। কিন্তু এখন আর এ কথা বলেন না। কিন্তু তাঁকে এখন আইসিইউ থেকে এইচডিইউ এবং সেখান থেকে তাঁকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ অনেকটা। আমি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি এবং বিশ্বাস করি, তিনি আমাদের দেশের ব্রিলিয়ান্ট ডাক্তারদের চিকিৎসায় খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাবেন। তাঁদের যে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার দাবি, আমরা যদি সে ঘটনাপ্রবাহ পর্যালোচনা করি তাহলে দেখা যাবে এটি রাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক।

সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে র‍্যাব নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। র‍্যাব তো সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান। র‍্যাবের বিরুদ্ধে আনা এসব মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের দায় সরকার, নাকি র‍্যাবের?
ড. হাছান মাহমুদ: র‍্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া ২০০৪ সালে। তারপরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবকে কারিগরিসহ নানা সহায়তা দিয়েছে। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদক দমনে র‍্যাবের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেক উন্নত দেশ যেখানে সন্ত্রাস নির্মূল করতে পারেনি, সেখানে র‍্যাবের সাহায্যে আমরা সফলতা দেখাতে সক্ষম হয়েছি। মাদক অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি। র‍্যাবের বিরুদ্ধে এখন যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা শুরু থেকেই ছিল। র‍্যাব প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই এ অভিযোগ র‍্যাবের বিরুদ্ধে রয়েছে। এসব জেনেই কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র র‍্যাবকে সহায়তা করেছে। তখন এসব কথা আসেনি কেন? এখন কেন এসব প্রশ্ন আসছে? র‍্যাবের সাতজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আসার এক সপ্তাহের মাথায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারও র‍্যাবের প্রশংসা করেছে।...র‍্যাব জঙ্গিবাদ, মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে র‍্যাবের ভূমিকা প্রশংসনীয়।

বাংলাদেশের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্য সরকারের কোনো উদ্যোগ আছে কি?
ড. হাছান মাহমুদ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ। দেশটি অব্যাহতভাবে আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছে। সুতরাং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। এই যে র‍্যাবের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা, সেটিকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছি। কারণ এক সপ্তাহ পরেই র‍্যাবের প্রশংসা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমি মনে করি র‍্যাব নিয়ে যে ভুল-বোঝাবুঝির তৈরি হয়েছে, তা নিরসন হয়ে যাবে।

আপনি মন্ত্রিত্ব এবং রাজনীতির বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকতা করেন। কোনটি বেশি ভালো লাগে?
ড. হাছান মাহমুদ: রাজনীতি আমি ছোটবেলা থেকেই করি। আবার শিক্ষকতাও আমি খুব উপভোগ করি। অনেক সময় মনে হয় ফুল টাইম যদি শিক্ষকতা করতে পারতাম। দুটোই আমি এনজয় করি।

সরকারের কোনো একটা অসাফল্য বা ব্যর্থতা কি আপনি দেখেন, যা দূর করা হলে মানুষের মধ্যে উৎসাহ আরও বাড়বে?
ড. হাছান মাহমুদ: পৃথিবীর কোনো সরকার অতীতে বা বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে শতভাগ নির্ভুল কাজ করতে পারেনি, এখনো পারে না, ভবিষ্যতেও একেবারে নির্ভুল কাজ পৃথিবীর কোনো সরকার করতে পারবে না। যেকোনো সরকারের কাজে কিছুটা হলেও ভুলত্রুটি থাকবে। থাকাটাই স্বাভাবিক। সেটা যদি না হয় তাহলে সরকার তো ফেরেশতার পর্যায়ে চলে যাবে। সেটা তো সম্ভব না। আমাদের সরকারের যে ভুল নেই তা নয়। তবে আমাদের সরকারের ভুল যেটুকু আছে তার চেয়ে অনেক অনেক বেশি সাফল্য। আজকে রাষ্ট্র কোথায় গেছে। আমরা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকাভুক্ত ছিলাম। বিশ্ব সংবাদ হতাম, যখন ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চলার পরিবর্তে নৌকা চলত। বিশ্ব সংবাদ হতাম, যখন পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদীতে বড় লঞ্চডুবি হতো। বিশ্ব সংবাদ হতাম, যখন সাইক্লোনে হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতো। এখন বিশ্ব সংবাদ হয় বাংলাদেশ...এখন বিশ্ব সংবাদ হয় যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। আমাদের যুব ফুটবল, যুব ক্রিকেটাররা যখন চ্যাম্পিয়ন হয়। আর নারী ক্রিকেট টিম যখন এশিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়। তখন আমরা বিশ্ব সংবাদ হই। আজকে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে, খাদ্যঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে। আয়তনের দিক দিয়ে পৃথিবীতে আমাদের দেশ ৯২তম। কিন্তু ধান উৎপাদনের দিক থেকে আমাদের দেশ সারা বিশ্বে তৃতীয়, মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয়, সবজি উৎপাদনে দ্বিতীয়, আলু উৎপাদনে সপ্তম। এটি কোনো জাদুর কারণে হয়নি। জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরি নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। আমাদেরও ভুলত্রুটি আছে। তাই আমরা সমালোচনা পছন্দ করি, সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতিকে লালন করি।

সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ড. হাছান মাহমুদ: আপনাদেরও ধন্যবাদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

বাসস, ঢাকা  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।

এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।

পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্‌ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।

মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।

অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।

মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

  • এবার ভারতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
  • গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলে পল্লিগুলোতে ব্যস্ততা।
মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বুধবার রাতে। এর আগে দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন জেলেরা। অনেকে দেখে নেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না। কেউ আবার জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করেন। ছবিটি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের খুরেরমুখ এলাকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
মাছ শিকারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বুধবার রাতে। এর আগে দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন জেলেরা। অনেকে দেখে নেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না। কেউ আবার জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করেন। ছবিটি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের খুরেরমুখ এলাকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।

বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’

জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’

নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’

সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।

কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।

একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।

[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

  • ক্রয়াদেশের চালান নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তা
  • সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা
  • আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ডেকেছে জরুরি বৈঠক
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ মে ২০২৫, ০২: ৪৪
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।

ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।

গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।

বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।

জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’

বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।

স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।

আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।

এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।

গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?

১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।

ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘সাকিবের পোস্টার স্টেডিয়ামে ঢুকবে কি না, বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটি দেখবে’

আন্তর্জাতিক সালিসের দ্বারস্থ হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ-আদানি

দলীয় মনোনয়ন পছন্দ না হওয়ায় বিশৃঙ্খলা, বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার

‘তোমার জন্যই খুন করেছি’, স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেমিকাকে সার্জনের বার্তা

জোটেই ভোট করবে জামায়াত, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা শিগগির

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত