হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার মুজিবুল হকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা করেন ১০-১৫ জন ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে মো. হাছানের (৬০) নামে এক ভুক্তভোগী বারবার টাকা ফেরত চাচ্ছেন তহশিলদারের কাছ থেকে। ঘুষ দেওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন প্রতিপক্ষের পক্ষে দিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তিনি। শুধু টাকা নয়, উৎকোচ হিসেবে দেওয়া বড়-বড় ইলিশ ও চিংড়ি মাছের বর্ণনাও দিচ্ছেন বৃদ্ধ।
অনেকটা নির্বাক তহশিলদার মাঝেমধ্যে অফিসের শৃঙ্খলার কথা বলে থামানোর চেষ্টা করেও হন ব্যর্থ। ঘণ্টাব্যাপী চলে এই কর্মকাণ্ড। এ সময় বৃদ্ধের সঙ্গে এলাকা থেকে আসা ১০-১৫ জন সবাই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সংবাদকর্মীদের দেখে।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে বুড়িরচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুল হক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি হাসানের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তিনি এখন টাকা নেওয়ার বিষয়টি বলে বেড়াচ্ছেন। তিনি টাকা না দিলে অফিসের ভেতরে লোকজন নিয়ে এসে এভাবে হট্টগোল করেন কীভাবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো গুরুত্বসহকারে দেখিনি। অন্যান্য লোকের অভিযোগের বিষয়গুলোও মিথ্যা বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। বৃদ্ধের সঙ্গে থাকা এলাকার কয়েকজন জানান, আজকে নয় শুধু, আরও তিন-চারবার ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে এভাবে ভূমি অফিসে আসেন বৃদ্ধ। তহশিলদার সরেজমিন গিয়েও প্রতিবেদন দিয়েছেন উল্টো। তিনি প্রতিবেদনে কোথাও বৃদ্ধ দখলে আছেন, এই কথাটি উল্লেখ করেননি। খুবই অসহায় বৃদ্ধের পক্ষে এলাকার কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীসহ অনেকে এসেছেন।
ভুক্তভোগী মো. হাছান বলেন, বুড়িরচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের নতুন সুইজের বাজারের দক্ষিণ পাশে তাঁর বসবাস। ২০ বছর ধরে এই বসতভিটায় বাস করে আসছেন তিনি। প্রতিবেশী দিদার নামে একজনের মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করা ভিটেটি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য টাকা ও কাগজপত্র জমা দেন ভূমি অফিসে। কিন্তু দিদার জায়গাটি গোপনে তাঁর নিজের নামে বন্দোবস্ত নিয়ে নেন। অনেক দিন পর বৃদ্ধ নিশ্চিত হয়ে সেই বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য আবেদন করে উপজেলা ভূমি অফিসে। অফিস তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বুড়িরচর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুল হককে দায়িত্ব দেন।
দায়িত্ব পেয়ে তহশিলদার ঘটনাস্থলে যান। এ সময় বাড়ির পাশের সুইজের বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ীসহ প্রতিবেশীরা উপস্থিত থেকে দিদারের এই ছলনার কথা বলে। জায়গাটি বৃদ্ধার দখলে আছে ২০ বছর ধরে, তা-ও নিশ্চিত করে। সঠিক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তহশিলদারকে তিন ধাপে ৩০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় একাধিকবার ইলিশ মাছও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তহশিলদার প্রতিবেদনটি দিদারের পক্ষে দিয়ে দেওয়ায় টাকা ফেরত চাচ্ছেন বলে জানান বৃদ্ধ হাসান।
পরে হাসান সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন উপজেলা ভূমি অফিসে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার। এদিকে তহশিলদারকে দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত পেতে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত আবেদন করেন।
শুধু বৃদ্ধ হাসান নয়। একই অভিযোগ করেন বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল গ্রামের আবুল হাসেম মাঝি ও কালিচর গ্রামের সারোয়ার হাজি। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়ে দেন। নিরপেক্ষ তদন্ত দেবে বলে এই দুজন থেকে তহশিলদার টাকা নিয়েছিলেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
এদিকে তহশিলদার মুজিবুল হককে দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত পেতে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পণ্ডিত গ্রামের মরণ চন্দ্র দাস, নিতাই চন্দ্র দাস ও পরীক্ষিত চন্দ্র দাস নামে তিন ভুক্তভোগী। আবেদনে তাঁরা উল্লেখ করেন বুড়িরচর বড়দেইল মৌজার ৪ নম্বর সিটের ৬১ থেকে ৬৪ দাগের কিছু জমি তাঁরা বন্দোবস্ত নেন। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ তাঁদের নামের একই জমি বন্দোবস্ত নিয়ে নেয়। এটি বাতিল করার জন্য আবেদন করলে তহশিলদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তহশিলদার মুজিবুল হককে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, ‘মুজিবুল হক সেনবাগ থাকাকালে কিছু অনিয়ম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় হাতিয়াতে বদলি করা হয়েছে। বৃদ্ধ হাসানের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষটি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার মুজিবুল হকের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা করেন ১০-১৫ জন ব্যক্তি। তাঁদের মধ্যে মো. হাছানের (৬০) নামে এক ভুক্তভোগী বারবার টাকা ফেরত চাচ্ছেন তহশিলদারের কাছ থেকে। ঘুষ দেওয়ার পরও তদন্ত প্রতিবেদন প্রতিপক্ষের পক্ষে দিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তিনি। শুধু টাকা নয়, উৎকোচ হিসেবে দেওয়া বড়-বড় ইলিশ ও চিংড়ি মাছের বর্ণনাও দিচ্ছেন বৃদ্ধ।
অনেকটা নির্বাক তহশিলদার মাঝেমধ্যে অফিসের শৃঙ্খলার কথা বলে থামানোর চেষ্টা করেও হন ব্যর্থ। ঘণ্টাব্যাপী চলে এই কর্মকাণ্ড। এ সময় বৃদ্ধের সঙ্গে এলাকা থেকে আসা ১০-১৫ জন সবাই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সংবাদকর্মীদের দেখে।
এদিকে অভিযোগ সম্পর্কে বুড়িরচর ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুল হক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনটি হাসানের বিরুদ্ধে যাওয়ায় তিনি এখন টাকা নেওয়ার বিষয়টি বলে বেড়াচ্ছেন। তিনি টাকা না দিলে অফিসের ভেতরে লোকজন নিয়ে এসে এভাবে হট্টগোল করেন কীভাবে? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনো গুরুত্বসহকারে দেখিনি। অন্যান্য লোকের অভিযোগের বিষয়গুলোও মিথ্যা বলে জানান তিনি।
সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। বৃদ্ধের সঙ্গে থাকা এলাকার কয়েকজন জানান, আজকে নয় শুধু, আরও তিন-চারবার ঘুষের টাকা ফেরত চাইতে এভাবে ভূমি অফিসে আসেন বৃদ্ধ। তহশিলদার সরেজমিন গিয়েও প্রতিবেদন দিয়েছেন উল্টো। তিনি প্রতিবেদনে কোথাও বৃদ্ধ দখলে আছেন, এই কথাটি উল্লেখ করেননি। খুবই অসহায় বৃদ্ধের পক্ষে এলাকার কয়েকজন মাছ ব্যবসায়ীসহ অনেকে এসেছেন।
ভুক্তভোগী মো. হাছান বলেন, বুড়িরচর ইউনিয়নের কালিরচর গ্রামের নতুন সুইজের বাজারের দক্ষিণ পাশে তাঁর বসবাস। ২০ বছর ধরে এই বসতভিটায় বাস করে আসছেন তিনি। প্রতিবেশী দিদার নামে একজনের মাধ্যমে বাড়ি তৈরি করে বসবাস করা ভিটেটি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য টাকা ও কাগজপত্র জমা দেন ভূমি অফিসে। কিন্তু দিদার জায়গাটি গোপনে তাঁর নিজের নামে বন্দোবস্ত নিয়ে নেন। অনেক দিন পর বৃদ্ধ নিশ্চিত হয়ে সেই বন্দোবস্ত বাতিলের জন্য আবেদন করে উপজেলা ভূমি অফিসে। অফিস তদন্ত করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বুড়িরচর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মুজিবুল হককে দায়িত্ব দেন।
দায়িত্ব পেয়ে তহশিলদার ঘটনাস্থলে যান। এ সময় বাড়ির পাশের সুইজের বাজারের শতাধিক ব্যবসায়ীসহ প্রতিবেশীরা উপস্থিত থেকে দিদারের এই ছলনার কথা বলে। জায়গাটি বৃদ্ধার দখলে আছে ২০ বছর ধরে, তা-ও নিশ্চিত করে। সঠিক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তহশিলদারকে তিন ধাপে ৩০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। মাছ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকায় একাধিকবার ইলিশ মাছও দেওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু তহশিলদার প্রতিবেদনটি দিদারের পক্ষে দিয়ে দেওয়ায় টাকা ফেরত চাচ্ছেন বলে জানান বৃদ্ধ হাসান।
পরে হাসান সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে অনাস্থা দেন উপজেলা ভূমি অফিসে। বর্তমানে বিষয়টি তদন্ত করছেন উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার। এদিকে তহশিলদারকে দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত পেতে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে লিখিত আবেদন করেন।
শুধু বৃদ্ধ হাসান নয়। একই অভিযোগ করেন বুড়িরচর ইউনিয়নের পশ্চিম বড়দেইল গ্রামের আবুল হাসেম মাঝি ও কালিচর গ্রামের সারোয়ার হাজি। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়ে দেন। নিরপেক্ষ তদন্ত দেবে বলে এই দুজন থেকে তহশিলদার টাকা নিয়েছিলেন বলে তাঁরা অভিযোগ করেন।
এদিকে তহশিলদার মুজিবুল হককে দেওয়া ঘুষের টাকা ফেরত পেতে উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নের পণ্ডিত গ্রামের মরণ চন্দ্র দাস, নিতাই চন্দ্র দাস ও পরীক্ষিত চন্দ্র দাস নামে তিন ভুক্তভোগী। আবেদনে তাঁরা উল্লেখ করেন বুড়িরচর বড়দেইল মৌজার ৪ নম্বর সিটের ৬১ থেকে ৬৪ দাগের কিছু জমি তাঁরা বন্দোবস্ত নেন। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় প্রতিপক্ষ একটি গ্রুপ তাঁদের নামের একই জমি বন্দোবস্ত নিয়ে নেয়। এটি বাতিল করার জন্য আবেদন করলে তহশিলদারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে নিরপেক্ষ তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য তহশিলদার মুজিবুল হককে ৩১ হাজার ৫০০ টাকা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে হাতিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, ‘মুজিবুল হক সেনবাগ থাকাকালে কিছু অনিয়ম কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় হাতিয়াতে বদলি করা হয়েছে। বৃদ্ধ হাসানের কাছ থেকে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষটি আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।’
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৫ মিনিট আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪