ঘাদা আদিল

প্রিয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন,
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আপনাকে লিখছি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর শুধু একটি হামলায় আমার নিজের পরিবারের ৩৬ জনসহ আমাদের কমিউনিটির ৪৭ জন সদস্য নিহত হওয়ার পরে গত ৪ নভেম্বর আমি আপনাকে প্রথম লিখেছিলাম। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিনা আপনার মিত্র ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী মানুষের নিরাপদ থাকার কথা।
আমার প্রথম চিঠি আপনার কাছে পৌঁছেছে কি না, এটা আমি নিশ্চিত না। অথবা আপনার মিডিয়া টিম এই চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাকে অবগত করেছে কি না, তা-ও জানি না। যা-ই হোক না কেন, আপনি আপনার অবস্থান বদলাননি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সাহায্যসহ ইসরায়েলের প্রতি আপনার দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের মানে এটাই বোঝায় যে, তখন থেকে আপনার সহযোগিতায় আরও অনেক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
সেই চিঠি লেখার পর আমি আমার নিজের পরিবারের আরও ২২০ জন সদস্যকে হারিয়েছি।
মাত্র এক মাস আগে, ৩১ জানুয়ারি, আমার বাবার চাচাতো ভাই, খালেদ আম্মার (৪০) একটি ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলায় তিনিসহ তাঁর পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। হামলায় তাঁর স্ত্রী মাজদোলিন (৩৮), তাঁদের চার মেয়ে মালাক (১৭), সারাহ (১৬), আয়া (৯), রাফিফ (৭) এবং তাঁদের দুই ছেলে ওসামা (১৪) এবং আনাস (২) সবাই খুন হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে খালেদের প্রতিবন্ধী ভাই মোহাম্মদ (৪২) এবং তাঁদের মা ফাতিয়াও (৬০) ছিলেন। তাঁদের লাশ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দাফন করা সম্ভব হয়নি। খালেদের জীবিত ভাই বিলাল (৩৫) ফিলিস্তিনি রেড ক্রস সোসাইটির কাছে সাহায্যের জন্য বারবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু বেঁচে থাকাদের জন্য কোনো উদ্ধারকারী দল তারা পাঠাতে পারেনি। কারণ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের সে অনুমতি দেয়নি।
গত গ্রীষ্মে যখন আমি গাজায় গিয়েছিলাম, তখন মাজদোলিন, তাঁর দুই মেয়ে রাফিফ ও আয়া আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আমার এখনো মনে আছে, রাফিফ আমার ছোট ভাইঝি রাশার সাইকেলটা চালানোর চেষ্টা করেছিল। আমার মনে আছে, তারা রাস্তায় দৌড়ে বেড়াচ্ছিল। আমার চাচাতো ভাই আসাদের দোকান থেকে ক্যান্ডি কিনে খাচ্ছিল তারা। আহা! তাদের সেই হাসি এখনো আমার কানে বাজে।
কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট, আজ সেখানে কোনো আয়া নেই, রাফিফ নেই, আসাদ নেই, যিনি কিনা তাঁর স্ত্রী, সন্তান, মা, দুই বোন, শ্যালিকা ও তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। সেখানে রাস্তা নেই, বাড়ি নেই, দোকান নেই, হাসি নেই। শুধু ধ্বংসের প্রতিধ্বনি এবং ক্ষতির বধির নীরবতা।
আমি যে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে বড় হয়েছি তা আজ ধ্বংসস্তূপ। আমার বৃহত্তর পরিবারের সব জীবিত সদস্যসহ হাজার হাজার শরণার্থী এখন আল মাওয়াসি ও রাফাহতে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা তাঁবুতে বসবাস করছে। তারা ভালো নেই মিস্টার প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ায় আমি তাদের কোনো খবর পাচ্ছি না। গত ১০ ফেব্রুয়ারি, আমার ভাগনে আজিজ (২৩) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে রাফাহ প্রান্তে পৌঁছানোর জন্য বিপজ্জনক জানা সত্ত্বেও তিন কিলোমিটার পথ হেঁটেছিল। সে আমাকে বলেছে, মৃত্যু অনেকবার তাদের পাশ দিয়ে গেছে, তবে আপাতত রেহাই দিয়েছে। তারা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত এবং ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে।
ইসরায়েলকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে—আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এমন রায় সত্ত্বেও তাদের কাছে কোনো বিদ্যুৎ নেই, কোনো স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই, কোনো ওষুধ নেই, যোগাযোগের কোনো উপায় নেই বা কোনো পরিষেবা নেই। অনেকে ইসরায়েলি বোমা থেকে বেঁচে গেলেও সংক্রামক-অসংক্রামক রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারছে না। ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাসের হাসপাতাল অবরোধ করে। এখানে ৪৫০ জন রোগীর পাশাপাশি ৩০০ জন চিকিৎসাকর্মী ছিলেন। আর ছিল প্রায় ১০ হাজার অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষ। হাসপাতালের ভেতরে বা আশপাশে আশ্রয় নিয়ে সবাই আটকা পড়ে।
সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি উদ্ধারকারী দলকে রোগী ও কর্মীদের সরিয়ে নিতে বা প্রয়োজনীয় খাবার, চিকিৎসা ও জ্বালানি সরবরাহ করতে দেয়নি। এই সময়ে চিকিৎসাকর্মীরা তাঁদের রোগীদের জন্য যে সাহস ও নিষ্ঠা দেখিয়েছেন তা এক কথায় অসাধারণ। ইসরায়েলি আক্রমণের মুখে তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছেন ডা. আমিরা আল আসুলি। তিনি হাসপাতালের উঠানে আহতদের একজনকে সাহায্য করার জন্য ইসরায়েলি আগুনের নিচে ছুটে এসেছিলেন। হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় প্রার্থনাকারী অসংখ্য মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে। সেসব হত্যার চিত্র ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি বাহিনী জামাল আবু আল ওলা নামে এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন করে। কারণ কেন তিনি আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বলছেন না। একটি সাদা পিপিই পোশাক পরে তিনি এই নির্দেশের কথা বলতে বলতে হাসপাতালের গেটের দিকে এগিয়ে যান। এরপরই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। এ দৃশ্য হাসপাতালের একজন সাংবাদিক ক্যামেরাবন্দী করে পরে তা প্রকাশ করেন।
আপনি কি এসব ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেবেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট? আপনি কি নাসের হাসপাতালে জামাল ও অন্য অনেককে হত্যার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি করবেন, নাকি ইসরায়েলি বাহিনীর এমন হত্যাকাণ্ড ফের মেনে নেবেন?
১৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী নাসের হাসপাতালে অভিযান চালায়। ভারী বোমাবর্ষণ করে। হাজার হাজার মানুষ তাড়িয়ে দেয়। গুম করে শত শত মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৭০ জন চিকিৎসাকর্মী। ইসরায়েলি বাহিনী আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন কর্মীকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। তিনি বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে রয়েছেন। এ ধরনের অভিযানের অজুহাত হিসেবে ইসরায়েল সব সময় বলেছে তারা হামাস কমান্ড সেন্টারের সন্ধান করছিল—এটা ডাহা মিথ্যা কথা মিস্টার প্রেসিডেন্ট, যা আপনি সহজেই মেনে নিয়েছেন।
নাসের হাসপাতালে অভিযানের সময় বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দেওয়ায় এবং অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করায় অন্তত আট রোগীর মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দলকে যখন অবশেষে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন এর কর্মীরা একে ‘মৃত্যুপুরী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কয়েক শ রোগীকে সরিয়ে নেওয়ার পরে, প্রায় ২৫ জন চিকিৎসাকর্মী হাসপাতালে অবশিষ্ট ১২০ রোগীর সেবার জন্য থেকে যান। যদিও সেখানে খাবার, পানি বা ওষুধ ছিল না।
নাসের হাসপাতালের নিয়মিত রোগীদের মধ্যে আমার আত্মীয় ইনশিরাহ ছিলেন, যিনি কিডনির রোগে ভুগছিলেন এবং প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস করতেন। তিনি খান ইউনিসের পূর্বে আল কারারাহ এলাকায় থাকতেন। যখন ইসরায়েলি বাহিনী তাঁর এলাকায় বোমা হামলা চালায়, তখন তিনি বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি ক্যাম্পে চলে যান। ইসরায়েলি বাহিনী ক্যাম্প আক্রমণ করলে, তিনি হায় আল আমালে চলে যান। যখন সেখানে বোমা হামলা হয়, তখন তাঁর সন্তানেরা তাঁকে নাসের হাসপাতালের আশপাশে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
হাসপাতালের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁর ডায়ালাইসিস করার বিষয়টি প্রতি দুই সপ্তাহে একবারে নেমে আসে এবং তারপর প্রতি তিন সপ্তাহে একবার করা হতো, যার ফলে তাঁকে ব্যাপক ভুগতে হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ঘেরাও করলে ইনশিরাহ হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন। তারপর আমরা তাঁর ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলি। তিনি বেঁচে আছেন কি না, আমরা জানি না।
গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থাকে ইসরায়েল ধ্বংস করার পর ইনশিরাহর মতো অসুস্থ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। এটা তাঁদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শামিল। স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ধ্বংস করা একটি যুদ্ধাপরাধ, আপনি কি তা জানেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট?
মিস্টার প্রেসিডেন্ট, গাজার ২৩ লাখ মানুষ বন্দিশিবিরে বসবাস করছে। তারা ক্ষুধার জ্বালায় পুড়ছে। কারও সে জ্বালা নিভছে নির্বিচারে খুন হওয়ার মধ্য দিয়ে। তাদের বাড়িতে, রাস্তায়, পানি সংগ্রহের সময়, তাঁবুতে ঘুমানোর সময়, ত্রাণ নেওয়ার সময়, এমনকি রান্নার সময়ও বোমা মেরে হত্যা করা হয়। গাজার লোকেরা আমাকে বলেছে, পানির বিনিময় মূল্য আসলে রক্ত, একটি রুটিও রক্তে ডুবে থাকে। আর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া মানেই রক্তপাত।
এমনকি সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য খাবার খোঁজার সময়ও তাদের হত্যা করা হতে পারে—যেমনটি অনেক মা-বাবার সঙ্গে ঘটেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। প্রায় ১১২ ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হত্যা করেছে, যখন তারা নিজের ও তাদের পরিবারের জন্য আটা পাওয়ার অপেক্ষা করছিল।
তাদের মৃত্যু বেদনাদায়কভাবে বাস্তব। আনাস ও আয়ার মতো শিশু, মাজদোলিনের মতো মা এবং ফাতিয়ার মতো বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মারা গেছে। আরও হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, কিন্তু তাদের ‘নিখোঁজ’ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার শিশু। অনেকেই এখন অনাহারে মারা যাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল। এই শিশুদের প্রত্যেকের একটি নাম, একটি গল্প এবং একটি স্বপ্ন ছিল, যা কখনো আর পূরণ হওয়ার নয়। গাজার এই শিশুদের কি একটি সুন্দর জীবন প্রাপ্য না মিস্টার প্রেসিডেন্ট?
ফিলিস্তিনিরা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত জাতির একটি। তারা খুব কৌতূহলী। আজ তাদের সবচেয়ে জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো, কেন ফিলিস্তিনি জনগণকে আপনার মিত্রের হাতে মরতে হবে? আপনার দেওয়া অস্ত্র দিয়ে এসব হামলা চালানো হয়েছে। আপনি যুদ্ধবিরতির ডাক দিতে অস্বীকার করেছেন। এটা কেন, বলবেন কি মিস্টার প্রেসিডেন্ট?
লেখক: ফিলিস্তিনি শরণার্থী ও অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা, কানাডা
(আল-জাজিরায় প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)

প্রিয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন,
এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আপনাকে লিখছি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর শুধু একটি হামলায় আমার নিজের পরিবারের ৩৬ জনসহ আমাদের কমিউনিটির ৪৭ জন সদস্য নিহত হওয়ার পরে গত ৪ নভেম্বর আমি আপনাকে প্রথম লিখেছিলাম। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিনা আপনার মিত্র ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী মানুষের নিরাপদ থাকার কথা।
আমার প্রথম চিঠি আপনার কাছে পৌঁছেছে কি না, এটা আমি নিশ্চিত না। অথবা আপনার মিডিয়া টিম এই চিঠির বিষয়বস্তু সম্পর্কে আপনাকে অবগত করেছে কি না, তা-ও জানি না। যা-ই হোক না কেন, আপনি আপনার অবস্থান বদলাননি। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র সাহায্যসহ ইসরায়েলের প্রতি আপনার দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের মানে এটাই বোঝায় যে, তখন থেকে আপনার সহযোগিতায় আরও অনেক গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে।
সেই চিঠি লেখার পর আমি আমার নিজের পরিবারের আরও ২২০ জন সদস্যকে হারিয়েছি।
মাত্র এক মাস আগে, ৩১ জানুয়ারি, আমার বাবার চাচাতো ভাই, খালেদ আম্মার (৪০) একটি ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলায় তিনিসহ তাঁর পুরো পরিবার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। হামলায় তাঁর স্ত্রী মাজদোলিন (৩৮), তাঁদের চার মেয়ে মালাক (১৭), সারাহ (১৬), আয়া (৯), রাফিফ (৭) এবং তাঁদের দুই ছেলে ওসামা (১৪) এবং আনাস (২) সবাই খুন হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে খালেদের প্রতিবন্ধী ভাই মোহাম্মদ (৪২) এবং তাঁদের মা ফাতিয়াও (৬০) ছিলেন। তাঁদের লাশ এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে দাফন করা সম্ভব হয়নি। খালেদের জীবিত ভাই বিলাল (৩৫) ফিলিস্তিনি রেড ক্রস সোসাইটির কাছে সাহায্যের জন্য বারবার ফোন করেছিলেন। কিন্তু বেঁচে থাকাদের জন্য কোনো উদ্ধারকারী দল তারা পাঠাতে পারেনি। কারণ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী তাদের সে অনুমতি দেয়নি।
গত গ্রীষ্মে যখন আমি গাজায় গিয়েছিলাম, তখন মাজদোলিন, তাঁর দুই মেয়ে রাফিফ ও আয়া আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল। আমার এখনো মনে আছে, রাফিফ আমার ছোট ভাইঝি রাশার সাইকেলটা চালানোর চেষ্টা করেছিল। আমার মনে আছে, তারা রাস্তায় দৌড়ে বেড়াচ্ছিল। আমার চাচাতো ভাই আসাদের দোকান থেকে ক্যান্ডি কিনে খাচ্ছিল তারা। আহা! তাদের সেই হাসি এখনো আমার কানে বাজে।
কিন্তু মি. প্রেসিডেন্ট, আজ সেখানে কোনো আয়া নেই, রাফিফ নেই, আসাদ নেই, যিনি কিনা তাঁর স্ত্রী, সন্তান, মা, দুই বোন, শ্যালিকা ও তাঁদের সন্তানদের সঙ্গে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর হামলায় নিহত হয়েছেন। সেখানে রাস্তা নেই, বাড়ি নেই, দোকান নেই, হাসি নেই। শুধু ধ্বংসের প্রতিধ্বনি এবং ক্ষতির বধির নীরবতা।
আমি যে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে বড় হয়েছি তা আজ ধ্বংসস্তূপ। আমার বৃহত্তর পরিবারের সব জীবিত সদস্যসহ হাজার হাজার শরণার্থী এখন আল মাওয়াসি ও রাফাহতে যেতে বাধ্য হয়েছে। তারা তাঁবুতে বসবাস করছে। তারা ভালো নেই মিস্টার প্রেসিডেন্ট।
ইসরায়েল যোগাযোগব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ায় আমি তাদের কোনো খবর পাচ্ছি না। গত ১০ ফেব্রুয়ারি, আমার ভাগনে আজিজ (২৩) ইন্টারনেট ব্যবহার করতে রাফাহ প্রান্তে পৌঁছানোর জন্য বিপজ্জনক জানা সত্ত্বেও তিন কিলোমিটার পথ হেঁটেছিল। সে আমাকে বলেছে, মৃত্যু অনেকবার তাদের পাশ দিয়ে গেছে, তবে আপাতত রেহাই দিয়েছে। তারা ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত এবং ঠান্ডায় কষ্ট পাচ্ছে।
ইসরায়েলকে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে—আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের এমন রায় সত্ত্বেও তাদের কাছে কোনো বিদ্যুৎ নেই, কোনো স্যানিটেশনের ব্যবস্থা নেই, কোনো ওষুধ নেই, যোগাযোগের কোনো উপায় নেই বা কোনো পরিষেবা নেই। অনেকে ইসরায়েলি বোমা থেকে বেঁচে গেলেও সংক্রামক-অসংক্রামক রোগের হাত থেকে বাঁচতে পারছে না। ইসরায়েলি হামলায় গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা একেবারে ভেঙে পড়েছে।
ফেব্রুয়ারিতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম নাসের হাসপাতাল অবরোধ করে। এখানে ৪৫০ জন রোগীর পাশাপাশি ৩০০ জন চিকিৎসাকর্মী ছিলেন। আর ছিল প্রায় ১০ হাজার অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষ। হাসপাতালের ভেতরে বা আশপাশে আশ্রয় নিয়ে সবাই আটকা পড়ে।
সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) একটি উদ্ধারকারী দলকে রোগী ও কর্মীদের সরিয়ে নিতে বা প্রয়োজনীয় খাবার, চিকিৎসা ও জ্বালানি সরবরাহ করতে দেয়নি। এই সময়ে চিকিৎসাকর্মীরা তাঁদের রোগীদের জন্য যে সাহস ও নিষ্ঠা দেখিয়েছেন তা এক কথায় অসাধারণ। ইসরায়েলি আক্রমণের মুখে তাদের বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হচ্ছেন ডা. আমিরা আল আসুলি। তিনি হাসপাতালের উঠানে আহতদের একজনকে সাহায্য করার জন্য ইসরায়েলি আগুনের নিচে ছুটে এসেছিলেন। হাসপাতাল চত্বরে আশ্রয় প্রার্থনাকারী অসংখ্য মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে। সেসব হত্যার চিত্র ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়েছে।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি বাহিনী জামাল আবু আল ওলা নামে এক যুবককে আটকে রেখে নির্যাতন করে। কারণ কেন তিনি আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের হাসপাতাল থেকে চলে যেতে বলছেন না। একটি সাদা পিপিই পোশাক পরে তিনি এই নির্দেশের কথা বলতে বলতে হাসপাতালের গেটের দিকে এগিয়ে যান। এরপরই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। এ দৃশ্য হাসপাতালের একজন সাংবাদিক ক্যামেরাবন্দী করে পরে তা প্রকাশ করেন।
আপনি কি এসব ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেবেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট? আপনি কি নাসের হাসপাতালে জামাল ও অন্য অনেককে হত্যার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবি করবেন, নাকি ইসরায়েলি বাহিনীর এমন হত্যাকাণ্ড ফের মেনে নেবেন?
১৫ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী নাসের হাসপাতালে অভিযান চালায়। ভারী বোমাবর্ষণ করে। হাজার হাজার মানুষ তাড়িয়ে দেয়। গুম করে শত শত মানুষকে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ৭০ জন চিকিৎসাকর্মী। ইসরায়েলি বাহিনী আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে কয়েকজন কর্মীকে আটক করে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবু সালমিয়া। তিনি বর্তমানে ইসরায়েলি কারাগারে রয়েছেন। এ ধরনের অভিযানের অজুহাত হিসেবে ইসরায়েল সব সময় বলেছে তারা হামাস কমান্ড সেন্টারের সন্ধান করছিল—এটা ডাহা মিথ্যা কথা মিস্টার প্রেসিডেন্ট, যা আপনি সহজেই মেনে নিয়েছেন।
নাসের হাসপাতালে অভিযানের সময় বিদ্যুৎসংযোগ কেটে দেওয়ায় এবং অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করায় অন্তত আট রোগীর মৃত্যু হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দলকে যখন অবশেষে হাসপাতালে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হয়, তখন এর কর্মীরা একে ‘মৃত্যুপুরী’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। কয়েক শ রোগীকে সরিয়ে নেওয়ার পরে, প্রায় ২৫ জন চিকিৎসাকর্মী হাসপাতালে অবশিষ্ট ১২০ রোগীর সেবার জন্য থেকে যান। যদিও সেখানে খাবার, পানি বা ওষুধ ছিল না।
নাসের হাসপাতালের নিয়মিত রোগীদের মধ্যে আমার আত্মীয় ইনশিরাহ ছিলেন, যিনি কিডনির রোগে ভুগছিলেন এবং প্রতি সপ্তাহে ডায়ালাইসিস করতেন। তিনি খান ইউনিসের পূর্বে আল কারারাহ এলাকায় থাকতেন। যখন ইসরায়েলি বাহিনী তাঁর এলাকায় বোমা হামলা চালায়, তখন তিনি বাস্তুচ্যুত মানুষের একটি ক্যাম্পে চলে যান। ইসরায়েলি বাহিনী ক্যাম্প আক্রমণ করলে, তিনি হায় আল আমালে চলে যান। যখন সেখানে বোমা হামলা হয়, তখন তাঁর সন্তানেরা তাঁকে নাসের হাসপাতালের আশপাশে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
হাসপাতালের অবস্থার অবনতি হওয়ায়, তাঁর ডায়ালাইসিস করার বিষয়টি প্রতি দুই সপ্তাহে একবারে নেমে আসে এবং তারপর প্রতি তিন সপ্তাহে একবার করা হতো, যার ফলে তাঁকে ব্যাপক ভুগতে হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাসপাতাল ঘেরাও করলে ইনশিরাহ হাসপাতাল ছাড়তে বাধ্য হন। তারপর আমরা তাঁর ও তাঁর সন্তানদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলি। তিনি বেঁচে আছেন কি না, আমরা জানি না।
গাজার স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থাকে ইসরায়েল ধ্বংস করার পর ইনশিরাহর মতো অসুস্থ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না। এটা তাঁদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শামিল। স্বাস্থ্যসেবাব্যবস্থা ধ্বংস করা একটি যুদ্ধাপরাধ, আপনি কি তা জানেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট?
মিস্টার প্রেসিডেন্ট, গাজার ২৩ লাখ মানুষ বন্দিশিবিরে বসবাস করছে। তারা ক্ষুধার জ্বালায় পুড়ছে। কারও সে জ্বালা নিভছে নির্বিচারে খুন হওয়ার মধ্য দিয়ে। তাদের বাড়িতে, রাস্তায়, পানি সংগ্রহের সময়, তাঁবুতে ঘুমানোর সময়, ত্রাণ নেওয়ার সময়, এমনকি রান্নার সময়ও বোমা মেরে হত্যা করা হয়। গাজার লোকেরা আমাকে বলেছে, পানির বিনিময় মূল্য আসলে রক্ত, একটি রুটিও রক্তে ডুবে থাকে। আর এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়া মানেই রক্তপাত।
এমনকি সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য খাবার খোঁজার সময়ও তাদের হত্যা করা হতে পারে—যেমনটি অনেক মা-বাবার সঙ্গে ঘটেছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। প্রায় ১১২ ফিলিস্তিনিকে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী হত্যা করেছে, যখন তারা নিজের ও তাদের পরিবারের জন্য আটা পাওয়ার অপেক্ষা করছিল।
তাদের মৃত্যু বেদনাদায়কভাবে বাস্তব। আনাস ও আয়ার মতো শিশু, মাজদোলিনের মতো মা এবং ফাতিয়ার মতো বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৩০ হাজারের বেশি মারা গেছে। আরও হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে, কিন্তু তাদের ‘নিখোঁজ’ হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে প্রায় ১৩ হাজার শিশু। অনেকেই এখন অনাহারে মারা যাচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ছয়টি শিশুকে হত্যা করছে ইসরায়েল। এই শিশুদের প্রত্যেকের একটি নাম, একটি গল্প এবং একটি স্বপ্ন ছিল, যা কখনো আর পূরণ হওয়ার নয়। গাজার এই শিশুদের কি একটি সুন্দর জীবন প্রাপ্য না মিস্টার প্রেসিডেন্ট?
ফিলিস্তিনিরা গোটা মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে সবচেয়ে শিক্ষিত জাতির একটি। তারা খুব কৌতূহলী। আজ তাদের সবচেয়ে জ্বলন্ত প্রশ্ন হলো, কেন ফিলিস্তিনি জনগণকে আপনার মিত্রের হাতে মরতে হবে? আপনার দেওয়া অস্ত্র দিয়ে এসব হামলা চালানো হয়েছে। আপনি যুদ্ধবিরতির ডাক দিতে অস্বীকার করেছেন। এটা কেন, বলবেন কি মিস্টার প্রেসিডেন্ট?
লেখক: ফিলিস্তিনি শরণার্থী ও অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা, কানাডা
(আল-জাজিরায় প্রকাশিত লেখাটি ইংরেজি থেকে অনূদিত)


গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।


প্রিয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আপনাকে লিখছি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর শুধু একটি হামলায় আমার নিজের পরিবারের ৩৬ জনসহ আমাদের কমিউনিটির ৪৭ জন সদস্য নিহত হওয়ার পরে গত ৪ নভেম্বর আমি আপনাকে প্রথম লিখেছিলাম। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিনা
০৬ মার্চ ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]


প্রিয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আপনাকে লিখছি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর শুধু একটি হামলায় আমার নিজের পরিবারের ৩৬ জনসহ আমাদের কমিউনিটির ৪৭ জন সদস্য নিহত হওয়ার পরে গত ৪ নভেম্বর আমি আপনাকে প্রথম লিখেছিলাম। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিনা
০৬ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।


প্রিয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আপনাকে লিখছি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর শুধু একটি হামলায় আমার নিজের পরিবারের ৩৬ জনসহ আমাদের কমিউনিটির ৪৭ জন সদস্য নিহত হওয়ার পরে গত ৪ নভেম্বর আমি আপনাকে প্রথম লিখেছিলাম। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিনা
০৬ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।


প্রিয় প্রেসিডেন্ট বাইডেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আপনাকে লিখছি। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর শুধু একটি হামলায় আমার নিজের পরিবারের ৩৬ জনসহ আমাদের কমিউনিটির ৪৭ জন সদস্য নিহত হওয়ার পরে গত ৪ নভেম্বর আমি আপনাকে প্রথম লিখেছিলাম। গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে খান ইউনিস শরণার্থীশিবিরে এই গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে, যেখানে কিনা
০৬ মার্চ ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫