হাসান মাসুদ
এবার আর ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পুনরাবৃত্তি করতে পারল না পাকিস্তান। ভারতকে যারা উড়িয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তান তাদের কাছে হারল ৫ উইকেটে। এই জয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেব বেন স্টোকসকে। তাঁর ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের কাজ সহজ করে দিয়েছে। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় স্যাম কারান, টুর্নামেন্টেরও সেরা খেলোয়াড় তিনি। তবে আমার কাছে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস।
খেলাটা ইংল্যান্ডের দিকে হেলে যায় ১৬তম ওভারের প্রথম বলে। শাহিন শাহ আফ্রিদি কাঁধের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তখনো কিন্তু ওভারপ্রতি ৯ রানের কাছাকাছিই লাগে ইংল্যান্ডের। এরপরই ইংল্যান্ড আশাবাদী হয়ে ওঠে।
মঈন আলির ১৯ রানের ছোট্ট ক্যামিং এবং স্টোকসের হার না মানা ইনিংস ম্যাচটার সমাপ্তি টেনে দেয়। শুরু থেকে ইংল্যান্ড অগ্রভাগে ছিল। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৩৭ রানে আটকে ফেলে। এ জন্য অবশ্য পাকিস্তানের ব্যাটাররাও দায়ী। তাঁরা অনেক বেশি উড়িয়ে খেলতে চেয়েছেন, যার বেশির ভাগই ক্যাচে পরিণত হয়েছে। তাঁরা যদি গ্রাউন্ড শট খেলতেন, স্টোকসের ইনিংস যেটার বড় উদাহরণ, তাহলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারত।
যেভাবে পাকিস্তান এগোচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, ১৬০ রানের কাছাকাছি একটা স্কোর হবে। সেখান থেকে ১৩৭ রানে থেমে যাওয়া পাকিস্তানের জন্য হতাশাজনক। বোলিংয়ে কারানকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে অনেক কথা হচ্ছে। তবে এখানে আদিল রশিদকে কৃতিত্ব দিতেই হয়।রশিদের মেডেন উইকেট ওভারটাই অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। ওই ওভারেই ভালো খেলতে থাকা বাবর আজমকে তিনি ফিরিয়ে দেন। ফাইনালের মতো ম্যাচে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট অসাধারণ বোলিং। ইংল্যান্ড বোলাররা প্রায় ৪৫টি ডট বল করেছেন।
পাকিস্তান ব্যাটাররা যদি এই ডট বলকে সিঙ্গেলে পরিণত করতে পারতেন, রান ১৭০ ছাড়িয়ে যেত। ডট বলও কিছুটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তবে আফ্রিদির চোটে পড়াকে এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলব। তাঁর পরিবর্তে বল করতে আসা ইফতিখার আহমেদের ওই পাঁচ বলে চার-ছক্কা মেরে খেলাটা সহজ করে ফেলেন স্টোকস। স্টোকসের শরীরী ভাষা দেখে মনে হয়েছে, তিনি ম্যাচটা শেষ করেই ফিরবেন।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ভালোভাবে শেষ হলো। শ্রেয়তর দল হিসেবে ইংল্যান্ড শিরোপা জিতেছে। দিন শেষে ক্রিকেটের জয় হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে বৃষ্টি একটা বড় বাধা ছিল। এটার জন্য আমি বলব, সময়টা দায়ী। আইসিসি কেন এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় টুর্নামেন্ট ফেলল; কারণ, অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত খেলা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। খুব বেশি হলে মার্চ পর্যন্ত। ৯২ বিশ্বকাপও কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল। সে যা-ই হোক, যেহেতু শেষ দিন, বাংলাদেশ নিয়ে একটু বলি। সত্যি কথা বলতে, এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আমি চরম হতাশ হয়েছি। নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে কৃতিত্ব নেই।
কৃতিত্ব হচ্ছে বড় দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া। একমাত্র তাসকিন ছাড়া কেউ নিজের ছাপ দেখাতে পারেননি টুর্নামেন্টে। টিম ম্যানেজমেন্টে কিছু পরিবর্তন আবশ্যক। নির্বাচক প্যানেল এত দিন কী করে থাকে। আমার মনে হয়, তাদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত যে এত সময়ের বেশি থাকা যাবে না।
এবার আর ১৯৯২ বিশ্বকাপ জয়ের পুনরাবৃত্তি করতে পারল না পাকিস্তান। ভারতকে যারা উড়িয়ে দিয়েছিল, পাকিস্তান তাদের কাছে হারল ৫ উইকেটে। এই জয়ের সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেব বেন স্টোকসকে। তাঁর ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস ইংল্যান্ডের শিরোপা জয়ের কাজ সহজ করে দিয়েছে। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় স্যাম কারান, টুর্নামেন্টেরও সেরা খেলোয়াড় তিনি। তবে আমার কাছে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় স্টোকস।
খেলাটা ইংল্যান্ডের দিকে হেলে যায় ১৬তম ওভারের প্রথম বলে। শাহিন শাহ আফ্রিদি কাঁধের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। তখনো কিন্তু ওভারপ্রতি ৯ রানের কাছাকাছিই লাগে ইংল্যান্ডের। এরপরই ইংল্যান্ড আশাবাদী হয়ে ওঠে।
মঈন আলির ১৯ রানের ছোট্ট ক্যামিং এবং স্টোকসের হার না মানা ইনিংস ম্যাচটার সমাপ্তি টেনে দেয়। শুরু থেকে ইংল্যান্ড অগ্রভাগে ছিল। টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে ১৩৭ রানে আটকে ফেলে। এ জন্য অবশ্য পাকিস্তানের ব্যাটাররাও দায়ী। তাঁরা অনেক বেশি উড়িয়ে খেলতে চেয়েছেন, যার বেশির ভাগই ক্যাচে পরিণত হয়েছে। তাঁরা যদি গ্রাউন্ড শট খেলতেন, স্টোকসের ইনিংস যেটার বড় উদাহরণ, তাহলে স্কোরটা আরও বড় হতে পারত।
যেভাবে পাকিস্তান এগোচ্ছিল, মনে হচ্ছিল, ১৬০ রানের কাছাকাছি একটা স্কোর হবে। সেখান থেকে ১৩৭ রানে থেমে যাওয়া পাকিস্তানের জন্য হতাশাজনক। বোলিংয়ে কারানকে নিয়ে স্বাভাবিকভাবে অনেক কথা হচ্ছে। তবে এখানে আদিল রশিদকে কৃতিত্ব দিতেই হয়।রশিদের মেডেন উইকেট ওভারটাই অবিশ্বাস্য বললেও কম বলা হবে। ওই ওভারেই ভালো খেলতে থাকা বাবর আজমকে তিনি ফিরিয়ে দেন। ফাইনালের মতো ম্যাচে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ২ উইকেট অসাধারণ বোলিং। ইংল্যান্ড বোলাররা প্রায় ৪৫টি ডট বল করেছেন।
পাকিস্তান ব্যাটাররা যদি এই ডট বলকে সিঙ্গেলে পরিণত করতে পারতেন, রান ১৭০ ছাড়িয়ে যেত। ডট বলও কিছুটা ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। তবে আফ্রিদির চোটে পড়াকে এই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট বলব। তাঁর পরিবর্তে বল করতে আসা ইফতিখার আহমেদের ওই পাঁচ বলে চার-ছক্কা মেরে খেলাটা সহজ করে ফেলেন স্টোকস। স্টোকসের শরীরী ভাষা দেখে মনে হয়েছে, তিনি ম্যাচটা শেষ করেই ফিরবেন।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ ভালোভাবে শেষ হলো। শ্রেয়তর দল হিসেবে ইংল্যান্ড শিরোপা জিতেছে। দিন শেষে ক্রিকেটের জয় হয়েছে। এই টুর্নামেন্টে বৃষ্টি একটা বড় বাধা ছিল। এটার জন্য আমি বলব, সময়টা দায়ী। আইসিসি কেন এই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় টুর্নামেন্ট ফেলল; কারণ, অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত খেলা হয় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। খুব বেশি হলে মার্চ পর্যন্ত। ৯২ বিশ্বকাপও কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়েছিল। সে যা-ই হোক, যেহেতু শেষ দিন, বাংলাদেশ নিয়ে একটু বলি। সত্যি কথা বলতে, এই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে আমি চরম হতাশ হয়েছি। নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয়ে কৃতিত্ব নেই।
কৃতিত্ব হচ্ছে বড় দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া। একমাত্র তাসকিন ছাড়া কেউ নিজের ছাপ দেখাতে পারেননি টুর্নামেন্টে। টিম ম্যানেজমেন্টে কিছু পরিবর্তন আবশ্যক। নির্বাচক প্যানেল এত দিন কী করে থাকে। আমার মনে হয়, তাদের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া উচিত যে এত সময়ের বেশি থাকা যাবে না।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫