শামিমুজ্জামান, খুলনা
খুলনা ও যশোর অঞ্চলের ১৭১টি রেলগেটের মধ্যে ৯৮টিতে নেই গেটম্যান। এতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। এসব রেলগেটে গেটম্যান নিয়োগ দিয়ে যাতায়াতকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অঞ্চল দুটির ১৭১টি রেলগেটের মধ্যে ৮৩টি অনুমোদিত আর ৮৮টি অনুমোদনহীন। এসবের মধ্যে ১০টি অনুমোদিত গেটেও আবার নেই গেটম্যান। এদিকে খুলনায় রয়েছে ৯টি অনুমোদিত ও দুটি অনুমোদিত রেলগেট। আর যশোরে রয়েছে ১৬০টি রেলগেট। যার মধ্যে অনুমোদনহীন ৮৬টি ও অনুমোদিত ৬৪টি।
সরেজমিনে খুলনা রেলস্টেশন থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত অনুমোদিত রেলগেটে দেখা গেছে, স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে অনুমোদনহীন অরক্ষিত এসব রেলগেট। আবার অনুমোদিত রেলগেটেও দেখা মেলেনি গেটম্যানের। যদিও রয়েছে নির্দিষ্ট অফিস।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর মুজগুন্নি দিঘিপাড় এলাকায় অনুমোদিত রেলগেটে গিয়ে দেখা গেছে, গেটম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। কক্ষটির ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরে হাজির হন গেটম্যানসহ আরও একজন। তাঁদের দাবি, ট্রেন যখন স্টেশন থেকে ছাড়ে বা স্টেশনের দিকে যায় তখন তাঁদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন তাঁরা রেলগেটে আসেন। এর আগে আশপাশেই থাকেন।
দুপুর ২টার দিকে দৌলতপুর বাজারের অনুমোদিত রেলগেটে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর এক শরবতের দোকানি দূরে সাদা গেঞ্জিপড়া একজনকে দেখিয়ে বলেন, ‘ওই হচ্ছে গেটম্যান’।
অবশ্য গেটম্যানদের এভাবে দায়িত্ব পালনের পক্ষেই কথা বলেন খুলনা ও যশোর অঞ্চলের রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওলিউল হক। তিনি বলেন, ‘স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় ও ঢোকার সময় গেটম্যানদের ফোনে সতর্ক করা হয়। তাঁদের কাজে গাফিলতি করার সুযোগ নেই। সবসময় মানুষ কর্মস্থলে থাকতে পারে না। হয়তোবা আশপাশে ছিল।’
আর মুজগুন্নি ও খালিশপুর এলাকার সংযোগস্থলে দেখা গেছে, অনুমোদনহীন অরক্ষিত রেলগেট। সেখানে একটি সেবামূলক সংগঠনের ব্যানার রয়েছে মানুষকে সতর্ক করার জন্য। পাশের মুদি দোকানদার সেলিম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এখানে বিএল কলেজের একজন ছাত্র দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এখান থেকে যাতায়াতে রাস্তা না থাকায় এই রেলক্রসিং ব্যবহার করতে হয়। এই ক্রসিং পার হয়ে খুলনা-যশোর সড়কে সহজেই যাওয়া যায়। কিন্তু গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।’
এখান থেকে সামনে এগিয়ে রয়েছে নয়াবাটি হাজিশরিয়ত উল্লাহ বিদ্যালয়। সেখান শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ করতে হয় অনুমোদনহীন রেলগেট দিয়ে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ রহমত ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র লিমন অভিযোগ করে জানায়, ‘ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের চলাচল করতে হয়। ছোটরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে এখানে।’ একই অবস্থা সরকারি বিএল কলেজের সামনে অনুমোদনহীন রেলগেটেও।
এ বিষয়ে খুলনা যশোর অঞ্চলের রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন কাজী ওলিউল হক বলেন, অভিযোগকারীরা অনুমোদনহীন রেলগেট ব্যবহার করছেন। এতে ঝুঁকি বাড়ছে। এসব বিষয় মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনুমোদনহীন রেলগেট ব্যবহারকারীরা আমাদের অবহিত করলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে সেসব স্থানে রেলগেট নির্মাণ করা হবে।’
এ সময় অনুমোদিত যশোরের ১০টি গেটে গেটম্যান না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই এসব স্থানে গেটম্যান নিয়োগের জন্য কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
খুলনা ও যশোর অঞ্চলের ১৭১টি রেলগেটের মধ্যে ৯৮টিতে নেই গেটম্যান। এতে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। এসব রেলগেটে গেটম্যান নিয়োগ দিয়ে যাতায়াতকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয়রা।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, অঞ্চল দুটির ১৭১টি রেলগেটের মধ্যে ৮৩টি অনুমোদিত আর ৮৮টি অনুমোদনহীন। এসবের মধ্যে ১০টি অনুমোদিত গেটেও আবার নেই গেটম্যান। এদিকে খুলনায় রয়েছে ৯টি অনুমোদিত ও দুটি অনুমোদিত রেলগেট। আর যশোরে রয়েছে ১৬০টি রেলগেট। যার মধ্যে অনুমোদনহীন ৮৬টি ও অনুমোদিত ৬৪টি।
সরেজমিনে খুলনা রেলস্টেশন থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত অনুমোদিত রেলগেটে দেখা গেছে, স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে অনুমোদনহীন অরক্ষিত এসব রেলগেট। আবার অনুমোদিত রেলগেটেও দেখা মেলেনি গেটম্যানের। যদিও রয়েছে নির্দিষ্ট অফিস।
গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে নগরীর মুজগুন্নি দিঘিপাড় এলাকায় অনুমোদিত রেলগেটে গিয়ে দেখা গেছে, গেটম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। কক্ষটির ছবি তোলার কিছুক্ষণ পরে হাজির হন গেটম্যানসহ আরও একজন। তাঁদের দাবি, ট্রেন যখন স্টেশন থেকে ছাড়ে বা স্টেশনের দিকে যায় তখন তাঁদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন তাঁরা রেলগেটে আসেন। এর আগে আশপাশেই থাকেন।
দুপুর ২টার দিকে দৌলতপুর বাজারের অনুমোদিত রেলগেটে গিয়ে দেখা গেছে একই চিত্র। সেখানে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করার পর এক শরবতের দোকানি দূরে সাদা গেঞ্জিপড়া একজনকে দেখিয়ে বলেন, ‘ওই হচ্ছে গেটম্যান’।
অবশ্য গেটম্যানদের এভাবে দায়িত্ব পালনের পক্ষেই কথা বলেন খুলনা ও যশোর অঞ্চলের রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ওলিউল হক। তিনি বলেন, ‘স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার সময় ও ঢোকার সময় গেটম্যানদের ফোনে সতর্ক করা হয়। তাঁদের কাজে গাফিলতি করার সুযোগ নেই। সবসময় মানুষ কর্মস্থলে থাকতে পারে না। হয়তোবা আশপাশে ছিল।’
আর মুজগুন্নি ও খালিশপুর এলাকার সংযোগস্থলে দেখা গেছে, অনুমোদনহীন অরক্ষিত রেলগেট। সেখানে একটি সেবামূলক সংগঠনের ব্যানার রয়েছে মানুষকে সতর্ক করার জন্য। পাশের মুদি দোকানদার সেলিম বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এখানে বিএল কলেজের একজন ছাত্র দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। এখান থেকে যাতায়াতে রাস্তা না থাকায় এই রেলক্রসিং ব্যবহার করতে হয়। এই ক্রসিং পার হয়ে খুলনা-যশোর সড়কে সহজেই যাওয়া যায়। কিন্তু গেটম্যান না থাকায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা।’
এখান থেকে সামনে এগিয়ে রয়েছে নয়াবাটি হাজিশরিয়ত উল্লাহ বিদ্যালয়। সেখান শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের প্রবেশ করতে হয় অনুমোদনহীন রেলগেট দিয়ে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র শেখ রহমত ও অষ্টম শ্রেণির ছাত্র লিমন অভিযোগ করে জানায়, ‘ঝুঁকি নিয়েই তাঁদের চলাচল করতে হয়। ছোটরা বেশি ঝুঁকিতে থাকে। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনাও ঘটে এখানে।’ একই অবস্থা সরকারি বিএল কলেজের সামনে অনুমোদনহীন রেলগেটেও।
এ বিষয়ে খুলনা যশোর অঞ্চলের রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বলছেন কাজী ওলিউল হক বলেন, অভিযোগকারীরা অনুমোদনহীন রেলগেট ব্যবহার করছেন। এতে ঝুঁকি বাড়ছে। এসব বিষয় মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অনুমোদনহীন রেলগেট ব্যবহারকারীরা আমাদের অবহিত করলে সেটা বিবেচনায় নিয়ে সেসব স্থানে রেলগেট নির্মাণ করা হবে।’
এ সময় অনুমোদিত যশোরের ১০টি গেটে গেটম্যান না থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘শিগগিরই এসব স্থানে গেটম্যান নিয়োগের জন্য কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৩ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪