সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে শহর ছাড়াও গ্রামে এখন আগের চেয়ে ইটের তৈরি বাড়িঘরের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। মানুষের আয়-রোজগারও আগের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে স্থায়িত্বের কথা চিন্তা করে মানুষ কিছুটা কষ্ট হলেও পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। পাশাপাশি নগরায়ণের ফলে ইটের ব্যবহারও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ইটভাটার জন্য দেশে আইন আছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইটভাটা করার জন্য সেই আইন মানা হয় না। বিপদটা সেখানেই। ইট যেমন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পরিবেশ রক্ষা করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন গাফিলতি করে কিংবা ঘুষ নিয়ে অবৈধ ইটভাটা করার অনুমতি দিয়ে থাকেন।
আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার ‘ইটভাটা গিলছে তাজা গাছ’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, খুলনার পাইকগাছায় সরকারি অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে অধিকাংশ ইটভাটা। সেখানে জ্বালানি হিসেবে দেদার পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর ইটের কাঁচামাল হিসেবে কেটে আনা হচ্ছে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি।
ইটভাটা স্থাপনসংক্রান্ত ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা স্থাপনের সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ভাটা চালু করলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটার এবং বনাঞ্চল থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপনের বিধান থাকলেও তা অমান্য করে অল্প দূরত্বে এসব ভাটা স্থাপন করা হয়েছে।
ইট তৈরির প্রধান উপকরণ মাটি। এই মাটির জন্য কৃষকের ধানি জমিই প্রধান টার্গেট করেন ভাটামালিকেরা। আবার কৃষকেরা না বুঝে কিংবা নগদ টাকার লোভে ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির কথা বিবেচনা না করে মাটি বিক্রি করেন। ধানি জমির ওপরের উর্বর অংশ তুলে নিলে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি পূরণ হতে কয়েক বছর লেগে যায়।
পাশাপাশি ভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। কয়লার চেয়ে কাঠে ইট পোড়ালে খরচ কম হয়। তাই ভাটামালিকেরা তাঁদের লাভের দিক বিবেচনা করে পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি করে চলেছেন।
আইন অনুযায়ী, ইট পোড়ানোর চিমনি অনেক উঁচু করে নির্মাণ করার কথা, যাতে চিমনি থেকে নির্গত দূষিত ধোঁয়া লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মালিকেরা মান্ধাতার আমলের ছোট চিমনি দিয়ে কাজ সারতে চান।
আধুনিক পদ্ধতিতে ইট তৈরি করলে পরিবেশদূষণ হওয়ার আশঙ্কা কম। দেশে এ-সংক্রান্ত আইন ও নির্দেশনাও আছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নির্দেশনাগুলো কার্যকর করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব অনেক বেশি। পরিবেশ রক্ষার জন্য ইটভাটাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে।
আমাদের দেশে শহর ছাড়াও গ্রামে এখন আগের চেয়ে ইটের তৈরি বাড়িঘরের সংখ্যা অনেক বাড়ছে। মানুষের আয়-রোজগারও আগের তুলনায় বেড়েছে। এ কারণে স্থায়িত্বের কথা চিন্তা করে মানুষ কিছুটা কষ্ট হলেও পাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। পাশাপাশি নগরায়ণের ফলে ইটের ব্যবহারও দিন দিন বেড়ে চলেছে। ইটভাটার জন্য দেশে আইন আছে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ইটভাটা করার জন্য সেই আইন মানা হয় না। বিপদটা সেখানেই। ইট যেমন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পরিবেশ রক্ষা করা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন গাফিলতি করে কিংবা ঘুষ নিয়ে অবৈধ ইটভাটা করার অনুমতি দিয়ে থাকেন।
আজকের পত্রিকায় মঙ্গলবার ‘ইটভাটা গিলছে তাজা গাছ’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত হয়েছে।
প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, খুলনার পাইকগাছায় সরকারি অনুমতি ছাড়াই পরিচালিত হচ্ছে অধিকাংশ ইটভাটা। সেখানে জ্বালানি হিসেবে দেদার পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর ইটের কাঁচামাল হিসেবে কেটে আনা হচ্ছে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি।
ইটভাটা স্থাপনসংক্রান্ত ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ অনুযায়ী, লাইসেন্স ছাড়া ইটভাটা স্থাপনের সুযোগ নেই। লাইসেন্স ছাড়া কেউ ভাটা চালু করলে শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে। যেকোনো প্রতিষ্ঠান থেকে ১ কিলোমিটার এবং বনাঞ্চল থেকে ২ কিলোমিটার দূরত্বে ভাটা স্থাপনের বিধান থাকলেও তা অমান্য করে অল্প দূরত্বে এসব ভাটা স্থাপন করা হয়েছে।
ইট তৈরির প্রধান উপকরণ মাটি। এই মাটির জন্য কৃষকের ধানি জমিই প্রধান টার্গেট করেন ভাটামালিকেরা। আবার কৃষকেরা না বুঝে কিংবা নগদ টাকার লোভে ভবিষ্যতে বড় ক্ষতির কথা বিবেচনা না করে মাটি বিক্রি করেন। ধানি জমির ওপরের উর্বর অংশ তুলে নিলে ফসল উৎপাদনে মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই ক্ষতি পূরণ হতে কয়েক বছর লেগে যায়।
পাশাপাশি ভাটায় কাঠ পোড়ানোর কারণে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি দেশের বনাঞ্চলের পরিমাণও কমে যাচ্ছে। কয়লার চেয়ে কাঠে ইট পোড়ালে খরচ কম হয়। তাই ভাটামালিকেরা তাঁদের লাভের দিক বিবেচনা করে পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতি করে চলেছেন।
আইন অনুযায়ী, ইট পোড়ানোর চিমনি অনেক উঁচু করে নির্মাণ করার কথা, যাতে চিমনি থেকে নির্গত দূষিত ধোঁয়া লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়তে না পারে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মালিকেরা মান্ধাতার আমলের ছোট চিমনি দিয়ে কাজ সারতে চান।
আধুনিক পদ্ধতিতে ইট তৈরি করলে পরিবেশদূষণ হওয়ার আশঙ্কা কম। দেশে এ-সংক্রান্ত আইন ও নির্দেশনাও আছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে নির্দেশনাগুলো কার্যকর করা যাচ্ছে না। এ জন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার। এ ক্ষেত্রে স্থানীয় পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব অনেক বেশি। পরিবেশ রক্ষার জন্য ইটভাটাগুলো একটি নিয়মের মধ্যে আনতেই হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪