Ajker Patrika

সাঁকোয় রক্ষা সেতুর সংযোগ

এনামুল হক, কাউখালী (পিরোজপুর)
আপডেট : ১৭ মে ২০২২, ১২: ৪২
সাঁকোয় রক্ষা সেতুর সংযোগ

পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের তালুকদারহাট খালের ওপর হাওলাদার হাট ও তালুকদার হাটের সংযোগ সেতুটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সুপারি গাছ দিয়ে বানানো সাঁকো সেতুটির সঙ্গে জুড়ে দিয়ে পারাপার করছেন সাধারণ মানুষ। ৮-৯ বছর আগে ভেঙে গেলেও এখনো সেতুটির সংস্কার অথবা পুননির্মাণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয় সমাজসেবক শাহ আলম বলেন, সেতু নির্মাণের ৫-৬ বছরের মধ্যেই একটি অংশ ডেবে যায়। কিছুদিনের মধ্যেই ডেবে যাওয়া অংশ ভেঙে খালে পড়ে যায়। সেই থেকেই জনদুর্ভোগের শুরু। ঢালাই সেতুটি ভেঙে পড়ায় খালের দুই পাড়ের শত শত মানুষের যাতায়াতে সদস্যা হচ্ছে। এই সেতু দিয়েই বাজারের দুই পাড়ের অসংখ্য ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতারা দৈনিক আসা-যাওয়া করতে হয়। সেতুর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত জোলাগাতী ফাজিল মাদ্রাসা, তালুকদারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জোলাগাতী আদর্শ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয় ও ইউনিয়ন পরিষদে যেতে হয় এটি ধরেই।

পূর্ব পাড়ে কাউখালী ভান্ডারিয়া ভিটাবাড়ীয়া সংযোগ সড়ক অবস্থিত। ফলে প্রতিদিনই শত শত মানুষ এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটি পারাপার করতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সেতুর এক অংশ ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয়ভাবে সুপারি গাছের সাঁকো দেওয়া হয়েছে। যা নষ্ট হয়ে হওয়ায় ঝুঁকি বেড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এমনিভাবে ডেবে যাওয়া ব্রিজটি নির্মাণ বা পুনর্নির্মাণের কোনো উদ্যোগ না থাকায় এলাকাবাসী চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তালুকদারহাট খালে পানির অতিরিক্ত চাপে খালের দুই পার ভেঙে গিয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুটি।

স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. সম্রাট বলেন ব্রিজটি ৮-৯ বছর আগে পানির চাপে প্রথম ডেবে যায়। তখন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে সংস্কারে উদ্যোগ গ্রহণ না করায় পরবর্তী সময় সেতুর পশ্চিম পাশের অংশটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এই সেতু পেরোতে গিয়ে পড়ে গিয়ে যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজনে জানান ব্রিজটি অনিয়ম ও অপরিকল্পিত ভাবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে নির্মাণ করা হয়। পরিকল্পিতভাবে মাটি পরীক্ষা না করে নির্মাণ হওয়ায় এমনিভাবে ডেবে যেতে পারে বলেও এলাকাবাসী মনে করে।

সেতু সংলগ্ন জোলাগাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, ‘স্কুলে ছাত্র-ছাত্রী আসা-যাওয়ার সময় চরম আতঙ্কে থাকতে হয় আমাদের। ব্রিজের নিচে পড়ে থাকা ভাঙা অংশের ওপর কেউ পড়ে গেলে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

শিয়ালকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিকদার মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ব্রিজ নির্মাণের ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। তবে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলাপ করে শিগগিরই উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

উপজেলা প্রকৌশলী মো. ইমতিয়াজ হোসেনের মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করে কেটে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত