আবু সাইম, ঢাকা
যুব উন্নয়নের প্রকল্পের বিলাসী বরাদ্দ কাটছাঁটের পরও ব্যয় বেশি। নানান সমালোচনা ও প্রধানমন্ত্রীর আপত্তির মুখে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প কাটছাঁট করে ৫৫০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। তারপরও এতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের খাত নিয়ে অপচয়ের প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন স্তরে। যুব উন্নয়নের প্রস্তাবিত প্রকল্পটিতে স্বল্পশিক্ষিত ৯ লাখ নারী-পুরুষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় অফিস ভবন এবং ভিআইপি হোস্টেল নির্মাণের কথা ছিল। গত এপ্রিল মাসে অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তোলা হলে অপচয় ঠেকাতে তা স্থগিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি বিলাসী হোস্টেল ও ভবন নির্মাণের খাত বাদ দেওয়া হয়।
আগামী মঙ্গলবার ফের একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি তোলা হচ্ছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, ‘ইকোনমিক অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ফর নেট’ নামের ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার প্রকল্পে দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর স্থাপনা ব্যবহার উপযোগী থাকলেও নতুন করে ৫ হাজার অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়। প্রশিক্ষণের প্রকল্প হলেও ১ হাজার ২৭টি ভবন মেরামতের প্রস্তাবও ছিল। ১০টি অফিস ভবন নির্মাণের কথাও হয়। পরামর্শক খাতেই ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিতে প্রকল্পের ব্যয় কমে হচ্ছে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। ভবন নির্মাণ ও বিলাসবহুল হোস্টেল নির্মাণ বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছিলেন, যুব উন্নয়নের প্রকল্পটির বিস্তারিত পরিষ্কার নয়। এখানে ট্রেনিংসহ নানা কিছু আছে। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। তিনি এর প্রয়োজনীয়তা এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি স্থগিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে এত খালি ভবন পড়ে আছে। তা ছাড়া যুব উন্নয়নের ভবনও আছে, সেখানে লোকজনের অভাব। এর মধ্যে আবার নতুন করে ভবন নির্মাণ করতে হবে কেন? যা সম্পদ আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নতুন করে যেকোনো ভবন করার আগে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় অফিস ভবন ও ভিআইপি হোস্টেল নির্মাণ বাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়। তা ছাড়া বৈদেশিক ঋণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তাই একনেক সভা থেকে প্রকল্পটি ফেরত দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ৩৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল। এখন যা ৩০ কোটি ডলারে নেমেছে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেখা গেছে, ৬৬ জনের বিদেশ প্রশিক্ষণে চাওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ একেকজনের বিদেশ প্রশিক্ষণে লাগছে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা।
প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে নিট (নো এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ বৃদ্ধি করা। এ জন্য সাত লাখ যুবক ও যুব মহিলাকে প্রশিক্ষণ এবং এক লাখ ড্রপআউট শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রমে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ প্রদান করা। স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য সমর্থন প্রচার কার্যক্রমের আওতায় এক লাখ যুবক ও যুব মহিলার জন্য শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ৫০ হাজার সুবিধাভোগীর জন্য সিও ফিন্যান্সিংয়ের সুযোগ এবং চাকরি মেলার আয়োজন করা। উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা, ২৫০টি যুব ক্লাবের মাধ্যমে নেতৃত্ব উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রম গ্রহণ করা।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ছিল। সে আলোকে ব্যয় কমানো হয়েছে। এ প্রকল্পে ভবন নির্মাণের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।
যুব উন্নয়নের প্রকল্পের বিলাসী বরাদ্দ কাটছাঁটের পরও ব্যয় বেশি। নানান সমালোচনা ও প্রধানমন্ত্রীর আপত্তির মুখে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প কাটছাঁট করে ৫৫০ কোটি টাকা কমানো হয়েছে। তারপরও এতে বরাদ্দ ও ব্যয়ের খাত নিয়ে অপচয়ের প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন স্তরে। যুব উন্নয়নের প্রস্তাবিত প্রকল্পটিতে স্বল্পশিক্ষিত ৯ লাখ নারী-পুরুষকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় অফিস ভবন এবং ভিআইপি হোস্টেল নির্মাণের কথা ছিল। গত এপ্রিল মাসে অনুমোদনের জন্য প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তোলা হলে অপচয় ঠেকাতে তা স্থগিত করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে ব্যয় কমানোর পাশাপাশি বিলাসী হোস্টেল ও ভবন নির্মাণের খাত বাদ দেওয়া হয়।
আগামী মঙ্গলবার ফের একনেক বৈঠকে প্রকল্পটি তোলা হচ্ছে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানা গেছে, ‘ইকোনমিক অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ফর নেট’ নামের ৩ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার প্রকল্পে দেশে বিভিন্ন স্থানে প্রচুর স্থাপনা ব্যবহার উপযোগী থাকলেও নতুন করে ৫ হাজার অস্থায়ী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের কথা বলা হয়। প্রশিক্ষণের প্রকল্প হলেও ১ হাজার ২৭টি ভবন মেরামতের প্রস্তাবও ছিল। ১০টি অফিস ভবন নির্মাণের কথাও হয়। পরামর্শক খাতেই ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৩১০ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিতে প্রকল্পের ব্যয় কমে হচ্ছে ৩ হাজার ৩৪৮ কোটি টাকা। ভবন নির্মাণ ও বিলাসবহুল হোস্টেল নির্মাণ বাদ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ এপ্রিল একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছিলেন, যুব উন্নয়নের প্রকল্পটির বিস্তারিত পরিষ্কার নয়। এখানে ট্রেনিংসহ নানা কিছু আছে। প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্প সম্পর্কে প্রশ্ন করেছেন। তিনি এর প্রয়োজনীয়তা এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে আরও জানতে চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পটি স্থগিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দেশে এত খালি ভবন পড়ে আছে। তা ছাড়া যুব উন্নয়নের ভবনও আছে, সেখানে লোকজনের অভাব। এর মধ্যে আবার নতুন করে ভবন নির্মাণ করতে হবে কেন? যা সম্পদ আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে। নতুন করে যেকোনো ভবন করার আগে চিন্তাভাবনা করতে হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় অফিস ভবন ও ভিআইপি হোস্টেল নির্মাণ বাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়। তা ছাড়া বৈদেশিক ঋণের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়নি। তাই একনেক সভা থেকে প্রকল্পটি ফেরত দেওয়া হয়। এ প্রকল্পে ৩৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার প্রকল্প সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল। এখন যা ৩০ কোটি ডলারে নেমেছে।
প্রকল্পের প্রস্তাবনা দেখা গেছে, ৬৬ জনের বিদেশ প্রশিক্ষণে চাওয়া হয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। অর্থাৎ একেকজনের বিদেশ প্রশিক্ষণে লাগছে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা।
প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে নিট (নো এডুকেশন, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড ট্রেনিং) জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের সুযোগ বৃদ্ধি করা। এ জন্য সাত লাখ যুবক ও যুব মহিলাকে প্রশিক্ষণ এবং এক লাখ ড্রপআউট শিক্ষার্থীকে শিক্ষা কার্যক্রমে পুনরায় প্রবেশের সুযোগ প্রদান করা। স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য সমর্থন প্রচার কার্যক্রমের আওতায় এক লাখ যুবক ও যুব মহিলার জন্য শিক্ষানবিশ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, ৫০ হাজার সুবিধাভোগীর জন্য সিও ফিন্যান্সিংয়ের সুযোগ এবং চাকরি মেলার আয়োজন করা। উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচির আওতায় ২ হাজার ৫০০টি কমিউনিটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করা, ২৫০টি যুব ক্লাবের মাধ্যমে নেতৃত্ব উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, ২০টি শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্র স্থাপনসহ বিভিন্ন ধরনের প্রচার কার্যক্রম গ্রহণ করা।
পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের যুগ্ম প্রধান মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পটি নিয়ে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন ছিল। সে আলোকে ব্যয় কমানো হয়েছে। এ প্রকল্পে ভবন নির্মাণের অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪