Ajker Patrika

পৌর শহরে ৬ ইটভাটা হুমকিতে জনজীবন

শাহীন আক্তার পলাশ, শৈলকুপা (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
পৌর শহরে ৬ ইটভাটা হুমকিতে জনজীবন

ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর শহরেই রয়েছে ছয়টি ইটভাটা, যার একটিরও নেই বৈধতা। এসব ভাটায় মানা হয় না সরকারি কোনো নীতিমালা। সরকারি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই সেখানে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে জনাকীর্ণ এলাকায় কীভাবে ইটভাটা চলছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল। 
জানা গেছে, পৌরসভার কাজীপাড়ায় জনবসতি এলাকায় অবস্থিত আশা ইটভাটা। অন্যগুলো শহর থেকে একটু দূরে। বিগত দিনে অন্যান্য ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা হলেও আশা ইটভাটায় কোনো অভিযান পরিচালনা হয় না। বারবার ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে এই ইটভাটাটি।

আশা ইটভাটা ঘুরে দেখা যায়, জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও এ আইন মানা হচ্ছে না সেখানে। ভাটার সামনে হাজার হাজার মণ গাছের খড়ি সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাজারের মধ্য দিয়ে মাটি টানা ট্রাক্টর চলায় ধুলাবালিতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। মাটি, খড়ি, ইট বোঝাই করে ট্রাকের পর ট্রাক যাতায়াত করছে ইটভাটায়। আবার বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষি জমির টপ সয়েল কেটে নিয়ে চলে আসছে ভাটায়।

ইট পোড়ানো নিয়ন্ত্রণ আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী, বিশেষ কোনো স্থাপনা, রেলপথ, হাসপাতাল ও ক্লিনিক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং লোকালয় থেকে তিন কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ইটভাটা নির্মাণ করা যাবে না। তবে কোনো নিয়ম মানতে নারাজ ইটভাটা মালিকেরা। স্কুল, মাদ্রাসার পাশে ও লোকালয়ে কীভাবে চলছে এসব ইট ভাটা তার কোনো উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। আশা ইটভাটা সংলগ্ন পৌর এলাকার মালিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মো. রেজা বলেন, পৌরসভার মধ্যে অবৈধভাবে ইট ভাটা চলছে। এর মধ্যে আশা ইটভাটার অবস্থান মালিপাড়া মাদ্রাসার কাছে হওয়ায় খুব সমস্যার মধ্যে আছে এই মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাসহ এলাকার মানুষ। বিগত দিনে অন্যান্য ভাটায় অভিযান পরিচালনা হলেও বারবার এই অবৈধ ভাটার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে জানান রেজা।

আশা ইটভাটার মালিকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি তা ধরেননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পৌরসভার মধ্যে অবস্থিত এক ইটভাটা মালিক বলেন, ‘কিছুটা অনিয়মের মধ্যেই ইটভাটা চালাচ্ছি, যার ফলে মাঝে মধ্যে প্রশাসনের অভিযানের মুখে পড়তে হয়। তবে আশা ইটভাটার বিরুদ্ধে কোনো কালেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমরা সবাইতো অনিয়মের মধ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আইন সবার জন্য এক হওয়া দরকার।’

এ বিষয়ে পৌর মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, ‘প্রশাসনের চোখের সামনে দিনের পর দিন এই ভাটা চলছে। এই ভাটাটির বিরুদ্ধে কেন অভিযান পরিচালনা হয় না তা আমি বলতে পারব না।’

ঝিনাইদহ পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্রীরুপ মজুমদার বলেন, ‘পৌরসভার মধ্যে এভাবে ইটভাটা পরিচালনা করার কোনো বৈধতা নেই। নিয়মের মধ্যে না থাকলে আমরা অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে অচিরেই আইনগত ব্যবস্থা নেব। কেউ পার পাবে না, আইনের চোখে সবাই সমান।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘শিগগিরই অবৈধ ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হবে। নিয়মের বাইরে কোনো ইটভাটা চলতে দেওয়া যাবে না।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত