Ajker Patrika

সভাপতি জেলে, প্রধান শিক্ষক পলাতক, বন্ধ স্কুলের দাপ্তরিক কাজ

শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৪: ২৪
সভাপতি জেলে, প্রধান শিক্ষক পলাতক, বন্ধ  স্কুলের দাপ্তরিক কাজ

বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার শাহনগর বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মানিকুর রহমান মানিক হত্যা মামলায় জেলহাজতে আছেন। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি হয়ে পালিয়ে আছেন প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মঞ্জুরুল হক। তাঁকেসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে স্থানীয় যুবলীগ ও এলাকাবাসী। এদিকে বিদ্যালয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক না থাকায় দাপ্তরিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে বিদ্যালয়টি।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন চোপিনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মোন্তেজার রহমান মোন্তাসহ কয়েকজন। এর জের ধরে গত ৪ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা পরিষদের গেটের কাছে মোন্তাকে ছুরিকাঘাত করে প্রতিপক্ষ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহতের ছেলে মেহেদী হাসান সুমন বাদী হয়ে মানিকুর রহমান মানিক ও তাঁর ছেলে জীবনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় মানিকুর রহমান মানিক এবং তাঁর ছেলে জীবনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক ফজলুল বারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মোন্তেজার রহমান মোন্তা হত্যার পর থেকে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মঞ্জুরুল হক পালিয়ে আছেন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় বিদ্যালয়ে দাপ্তরিক কোনো কাজ করা যাচ্ছে না। আমাকে এ মুহূর্তে দায়িত্ব পালনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মৌখিকভাবে বলেছেন। মঞ্জুরুল হক বিদ্যালয়ের সব টাকা নিজের কাছেই রেখেছেন।’

সহকারী শিক্ষক আব্দুর রহিম বলেন, প্রধান শিক্ষক পূর্বপরিকল্পিতভাবে জেএসসি শিক্ষার্থীদের সার্টিফিকেটও নিজের কাছে রেখেছেন।

মামলার বাদী মেহেদী হাসান সুমন বলেন, ‘আমার বাবাকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মানববন্ধন করি।’

যোগাযোগ করা হলে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মঞ্জুরুল হকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তৌফিক আজিজ বলেন, ‘ওই বিদ্যালয়ে আপাতত সিনিয়র শিক্ষককে দায়িত্ব পালন করতে বলেছি। আমাকে জড়িয়ে যা বলা হচ্ছে, তা মিথ্যা। তাঁদের পূর্বশত্রুতা থেকে এই হত্যা সংঘটিত হয়েছে।’

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজান বলেন, মোন্তেজার হত্যা মামলাটির তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না। জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত