Ajker Patrika

ভাড়া কমিয়েও যাত্রী কম

মীর মো. মহিব্বুল্লাহ, পটুয়াখালী
আপডেট : ২৯ জুন ২০২২, ১১: ৪৯
ভাড়া কমিয়েও যাত্রী কম

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় ঢাকা থেকে ৫ ঘণ্টায় পটুয়াখালী আসছে দূরপাল্লার বাসগুলো। ইতিমধ্যে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পটুয়াখালী-ঢাকা নৌরুটের লঞ্চগুলোতে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার তৃতীয় দিনেই কমেছে দক্ষিণাঞ্চলের লঞ্চ চলাচল। এ ছাড়া বড় লঞ্চগুলোতে প্রথম শ্রেণির কেবিন বুকিংও নেমে এসেছে অর্ধেকের নিচে। ফাঁকা ছিল লঞ্চের ডেকও।

তবে লঞ্চ-সংশ্লিষ্টরা এখনই সেতুর কারণে যাত্রী কমছে এটা মানতে নারাজ। ঈদের পর প্রকৃত অবস্থা বোঝা যাবে বলে জানান তাঁরা।

গতকাল মঙ্গলবার পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে দুটি বিলাসবহুল লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। এগুলো হলো, সুন্দরবন-১৪ ও এমভি প্রিন্স আওলাদ-৭। এসব লঞ্চে আগের মতো ভিড় চোখে পড়েনি। উল্লেখ্য, গত সোমবারও পটুয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে চারটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ওই লঞ্চগুলো হলো কাজল-৭, কুয়াকাটা-১ এবং জামাল-৫ ও সুন্দরবন ৯।

এক দিনের ব্যবধানে কমেছে দুটি লঞ্চ। লঞ্চের যাত্রীও কম। প্রথম শ্রেণির কেবিনের বুকিং অর্ধেকেরও নিচে কমে এসেছে। এ ছাড়া আগে সিঙ্গেল কেবিন ১৫০০ ও ডাবল কেবিন ২৮০০ টাকা বিক্রি হতো, তবে তা এখন কমে সিঙ্গেল কেবিন ১ হাজার টাকা ও ডাবল কেবিন ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ডেক টিকিট ৪০০ টাকা থেকে কমে বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

এমভি প্রিন্স আওলাদ-৭ লঞ্চের সুপারভাইজার মিলন মোল্লা বলেন, ‘এখন এমনিতেই ডাল সিজন। তারপর পদ্মা সেতু চালু হয়েছে মাত্র, মানুষ এখন বাসে কিছুটা বেশি আসা-যাওয়া করবেন। তা ছাড়া এখানকার লঞ্চের যাত্রী মূলত কুয়াকাটার পর্যটক। পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় তাঁরা এখন সরাসরি কুয়াকাটা যেতে পারছেন। তাই লঞ্চের কেবিন বুকিং কম। তবে ডেকের যাত্রী নিয়ে সমস্যা হবে না। পুরোপুরি লঞ্চে প্রভাব পড়বে কি না ঈদের পরেই তা বোঝা যাবে। ১০৪টি কেবিনের মধ্যে ৪০টি বুকিং হয়েছে।’

সুন্দরবন ১৪ লঞ্চের বুকিং ইনচার্জ আবু জাফর বলেন, ‘১৪০টি কেবিনের মধ্যে ৬০টি বুক হয়েছে। এখন পদ্মা সেতুর কারণে যাত্রী কমার বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে না। ঈদের পর পুরোপুরি বোঝা যাবে।’

বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ঢাকা থেকে গ্রিন লাইন পরিবহনে পটুয়াখালী আসা মো. মিলনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আগে লঞ্চে যাতায়াত করতাম। তবে পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় বাস ৫ ঘণ্টায় চলে আসছে শুনলাম। অথচ লঞ্চে ১০-১১ ঘণ্টা লাগে। তাই বাসেই পদ্মা পাড়ি দিয়ে পটুয়াখালী চলে এলাম।’

পটুয়াখালী নদীবন্দর কর্মকর্তা মো. মামুন-অর রশিদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় লঞ্চের যাত্রীর ক্ষেত্রে প্রভাব তো পড়েছেই। আগের তুলনায় গত তিন দিনে লঞ্চে যাত্রী কম দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থা আগামী এক-দুই মাস থাকবে। তারপর হয়তো লঞ্চের যাত্রী কিছুটা স্বাভাবিক হতে পারে। তবে যারা একা আসা-যাওয়া করবেন, তাঁরা সড়কপথই বেছে নেবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত