সাকিবুজ্জামান সবুর, কাঠালিয়া (ঝালকাঠি)
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৮৩ নম্বর পশ্চিম আনইলবুনিয়া কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। বর্ষকালে সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে। ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন দেওয়াল ও পিলারে। মাঝে মধ্যেই বিদ্যালয় ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয় শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থার মধ্যেই পাঠদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কয়েক ধাপে ভবনটির ছাদ, পিলার ও দেওয়াল মেরামত করা হলেও কোনো লাভ হয়নি।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আনইলবুনিয়া গ্রামে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে চার কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রধান শিক্ষকের, একটি অন্য শিক্ষকদের কক্ষ এবং অন্য দুটি শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে এবং সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে। ভবনের বিভিন্ন দেওয়াল ও পিলারে ফাটল ধরলে ও পলেস্তারা খসে পড়লে কয়েক ধাপে মেরামত করা হলেও কোনো কাজে আসেনি। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কে থাকে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার জানায়, পুরোনো ভবনের কক্ষে ক্লাস করতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। বৃষ্টির সময় শ্রেণি কক্ষের মধ্যেও পানি চলে আসে। তাই ক্লাস করা যায় না। এতে লেখাপড়ায় অনিক ক্ষতি হয়।
আরেক শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি খুবই পুরোনো হয়ে গেছে। অনেক জায়গা থেকে ফাটল ধরেছে ও ভেঙে পড়েছে। বাইরে থেকে বৃষ্টি হলেই ক্লাসে পানি ঢুকে পড়ে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন খান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এই ভবনটি ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভেঙে যাওয়ায় দেওয়াল ও পিলার কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। বর্ষার সময় সব কক্ষের ছাদ থেকে পানি পড়ে। শিশুদের বাইরে বসে ক্লাস নিতে হয়। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই, যা আছে তাও ভাঙা। কোনো মতে মেরামত করে শিক্ষার্থীদের বসতে দিতে হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। গত বছরও ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের ফাটল ও ভাঙা অংশ মেরামত করেছি। ছাদ থেকে পানি পড়ার কারণে ছাদে নতুন করে ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া ভবনের সামনের পিলারের পলেস্তারা খসে রড বের হয়েছিল, সেই সব মেরামত করেছি। ভবনটি ২০১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন দেওয়ার জন্য সয়েল টেস্ট (মাটি পরীক্ষা) করে গেলেও করোনা মহামারির কারণে এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। আমরা চাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খুব দ্রুত যাতে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।’
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। করোনার কারণে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে সমস্যা হয়েছে। খুব দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ৮৩ নম্বর পশ্চিম আনইলবুনিয়া কিশোর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। বর্ষকালে সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে। ফাটল ধরেছে ভবনের বিভিন্ন দেওয়াল ও পিলারে। মাঝে মধ্যেই বিদ্যালয় ভবনের পলেস্তারা খসে পড়ে ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হয় শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থার মধ্যেই পাঠদানের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কয়েক ধাপে ভবনটির ছাদ, পিলার ও দেওয়াল মেরামত করা হলেও কোনো লাভ হয়নি।
সরেজমিনে পরিদর্শন ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৯৭১ সালে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আনইলবুনিয়া গ্রামে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে চার কক্ষের একটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে একটি প্রধান শিক্ষকের, একটি অন্য শিক্ষকদের কক্ষ এবং অন্য দুটি শ্রেণি কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভবনের ছাদ ও দেওয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ে এবং সামান্য বৃষ্টি হলে ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে শ্রেণি কক্ষে। ভবনের বিভিন্ন দেওয়াল ও পিলারে ফাটল ধরলে ও পলেস্তারা খসে পড়লে কয়েক ধাপে মেরামত করা হলেও কোনো কাজে আসেনি। বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনেই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সব সময় আতঙ্কে থাকে।
বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী লামিয়া আক্তার জানায়, পুরোনো ভবনের কক্ষে ক্লাস করতে হয়। সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়, কখন মাথার ওপর ছাদ ভেঙে পড়ে। বৃষ্টির সময় শ্রেণি কক্ষের মধ্যেও পানি চলে আসে। তাই ক্লাস করা যায় না। এতে লেখাপড়ায় অনিক ক্ষতি হয়।
আরেক শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার বলে, ‘আমাদের বিদ্যালয়টি খুবই পুরোনো হয়ে গেছে। অনেক জায়গা থেকে ফাটল ধরেছে ও ভেঙে পড়েছে। বাইরে থেকে বৃষ্টি হলেই ক্লাসে পানি ঢুকে পড়ে।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুহুল আমিন খান বলেন, ‘বিদ্যালয়ের এই ভবনটি ১৯৯৫ সালে নির্মাণ করা হয়েছে। এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। ভেঙে যাওয়ায় দেওয়াল ও পিলার কয়েকবার মেরামত করা হয়েছে। বর্ষার সময় সব কক্ষের ছাদ থেকে পানি পড়ে। শিশুদের বাইরে বসে ক্লাস নিতে হয়। এ ছাড়া পর্যাপ্ত বেঞ্চ নেই, যা আছে তাও ভাঙা। কোনো মতে মেরামত করে শিক্ষার্থীদের বসতে দিতে হয়।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘বিদ্যালয়ের পুরোনো ভবনটি কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে। গত বছরও ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানের ফাটল ও ভাঙা অংশ মেরামত করেছি। ছাদ থেকে পানি পড়ার কারণে ছাদে নতুন করে ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। এ ছাড়া ভবনের সামনের পিলারের পলেস্তারা খসে রড বের হয়েছিল, সেই সব মেরামত করেছি। ভবনটি ২০১৮ সালে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ নতুন ভবন দেওয়ার জন্য সয়েল টেস্ট (মাটি পরীক্ষা) করে গেলেও করোনা মহামারির কারণে এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি। আমরা চাই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খুব দ্রুত যাতে নতুন একটি ভবন নির্মাণ করা হয়।’
ভারপ্রাপ্ত উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয়টি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সয়েল টেস্ট করা হয়েছে। করোনার কারণে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণে সমস্যা হয়েছে। খুব দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪