Ajker Patrika

বগুড়ায় রেশম ডিম, গুটি উৎপাদন তলানিতে

বগুড়া প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ১৩
বগুড়ায় রেশম ডিম, গুটি উৎপাদন তলানিতে

বগুড়ায় রেশম ডিম, গুটি উৎপাদন ও বিতরণ তলানিতে ঠেকেছে। দুই যুগ আগেও জেলা রেশম উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় বছরে পাঁচ লাখ রেশম ডিম উৎপাদিত হতো। সেখানে বর্তমানে হচ্ছে মাত্র পাঁচ হাজার। তবে রেশম উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সরকারি চাহিদা অনুযায়ীই রেশম ডিম ও গুটি উৎপাদন করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় রেশম উন্নয়ন বোর্ডের তুঁত বাগানে ১৯৮০ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত বছরে ৪-৫ লাখ রেশম ডিম উৎপাদন করা হয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে পাঁচ হাজার ডিম চাষ করা হতো। বাকিগুলো যেত দেশের বিভিন্ন রেশম কারখানায়। বর্তমানে বছরে ৫ হাজার ডিম উৎপাদন করা হচ্ছে। বগুড়ায় ৪০০-৫০০ ডিম চাষ করা হয়। এই ডিম থেকে জেলায় উৎপাদন করা হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ কেজি রেশম গুটি।

বগুড়া রেশম উন্নয়ন বোর্ডে ৪০ বছর ধরে কাজ করছেন আবু তায়েব আলী ও আনোয়ার হোসেন। তাঁরা জানান, দুই যুগ আগে এখানে প্রচুর রেশম ডিম উৎপাদন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা একদমই কমে গেছে। বর্তমানে তুঁত বাগানে অনেক জমি ফাঁকা পড়ে আছে।

জানতে চাইলে জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের ফার্ম ম্যানেজার মো. মুকুল হোসেন সরকার এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাবিউল ইসলাম জিলানির সঙ্গে কথা বলতে বলেন তিনি।

কথা বলতে ফোন করা হয় জেলা রেশম সম্প্রসারণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাবিউল ইসলাম জিলানিকে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রেশম বীজ উৎপাদন কমে গেছে বিষয়টি এমন নয়। সরকারি চাহিদা অনুযায়ী ডিম উৎপাদন করা হচ্ছে।’

নাবিউল ইসলাম আরও জানান, এবার ১৫ বিঘা জমিতে তুঁত চারা রোপণ করা হচ্ছে। আড়াই হাজার ডিম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গতবার ২০ বিঘা জমিতে তুঁত চারা রোপণ করা হয়েছিল। ২০২০-২১ অর্থ বছরে উৎপাদন করা হয়েছে ২২০ কেজি গুটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত