Ajker Patrika

ছাত্রলীগ ও কর্মকর্তাদের হাতাহাতি, আহত ১০

বাকৃবি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১১: ০৭
Thumbnail image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) কৃষিবিদ দিবসে শোভাযাত্রা করাকে কেন্দ্র করে কর্মকর্তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের এক গ্রুপের নেতা-কর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে অফিসার পরিষদের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক মাহমুদুল কবির খানসহ ১০ জন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কৃষিবিদ দিবসে সকাল ১০টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা জানান। এরপর শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে আসলে বাকৃবি অফিসার পরিষদের সঙ্গে বাকৃবি ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীর মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এক সময় হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে অফিসার পরিষদের অন্তত ১০ জন আহত হন বলে দাবি করা হয়েছে।

অফিসার পরিষদের অভিযোগে বলা হয়েছে, করোনাকালেও কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে বাকৃবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে শোভাযাত্রা করার অনুমতি চায়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে শোভাযাত্রা করা থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়। কিন্তু ‘প্রক্টরের ইন্ধনে’ সাবেক বহিষ্কৃত নেতা ও ছাত্রলীগ নেতাদের নেতৃত্বে কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।

এতে করে অফিসার পরিষদের দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ মাহমুদুল কবির খানসহ অনেক কর্মকর্তা আহত হন দাবি করে আরও বলা হয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য জড়িত সবার বিরুদ্ধে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। অন্যথায় আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা কৃষিবিদ দিবসে শোভাযাত্রা বের করতে গেলে অফিসার পরিষদের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয় এবং ব্যানার ধরে টানাটানি শুরু করে। এ সময় আমরা বাধা দিতে গেলে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। শোভাযাত্রা করলে বাধা দেওয়ার অধিকার তাঁদের নেই।’

আরেক নেতা তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘আমরা শোভাযাত্রা করতে গেলে অফিসার পরিষদের নেতারা অ্যালামনাইদের অপমান অপদস্থ করে। এ সময় আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদের ওপর চড়াও হয়।’

অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দীনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ ব্যাপারে ফোনে কিছু বলতে চাই না, বাইরে আছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘দিবসটি পালনে কোনো ধরনের শোভাযাত্রার আয়োজন ছিল না। তবে সাবেক ছাত্র ও অ্যালামনাইরা অনুরোধ করেছিল শোভাযাত্রা করার জন্য। তবে অনুষ্ঠান চলাকালে তাঁদের শোভাযাত্রা না করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুই পক্ষই দায়ী।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত