নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পেরিয়েছে ৯ দিন। অবশেষে যোগাযোগ করেছে দস্যুরা। তবে তারা কী বলেছে, সে নিয়ে কিছু বলছে না জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা শুধু বলছে, জিম্মি জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে আলোচনার পথ খুলেছে।
জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জলদস্যুরা যোগাযোগ করে। তাদের সঙ্গে এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ হলো। মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করে রেখেছি, যাতে এ ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না হয়।’
১২ মার্চ থেকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি হন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ জাহান মনি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার জাহাজ ছিনতাইয়ের আট দিনের মাথায় যোগাযোগ করেছিল দস্যুরা। ১০০ দিন জিম্মিদশার পর মুক্ত হয়েছিল জাহাজটি ও এর নাবিকেরা। সেই দলে ছিলেন নাবিক মো. ইদ্রিসও। গতকাল জলদস্যুদের যোগাযোগের বিষয়টিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেছেন, জিম্মিদের পরিবারে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।
একই ধরনের কথা বলেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনও। সংগঠনটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, জাহান মনি তো ১০০ দিনে মুক্ত হয়েছিল। এমভি আবদুল্লাহ কত দিনে মুক্ত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এর আগে গত শনিবার এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সেদিন রাত ৮টায় জিম্মি এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের কথা হয়। জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এদিকে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করে। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে কমান্ডো অভিযানে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এমভি আবদুল্লাহকেও উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌ সেনা ও সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের যৌথ অভিযানের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে আসে। তবে এ ধরনের অভিযানের বিপক্ষে ছিল এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তাদের মতে, এ ধরনের অভিযান বিপজ্জনক হতে পারে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ার পর উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় পেরিয়েছে ৯ দিন। অবশেষে যোগাযোগ করেছে দস্যুরা। তবে তারা কী বলেছে, সে নিয়ে কিছু বলছে না জাহাজটির মালিকপক্ষ। তারা শুধু বলছে, জিম্মি জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে মুক্ত করতে আলোচনার পথ খুলেছে।
জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, গতকাল বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জলদস্যুরা যোগাযোগ করে। তাদের সঙ্গে এসআর শিপিং কর্তৃপক্ষের কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে জলদস্যুদের যোগাযোগ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আলাপ-আলোচনার একটা পরিবেশ সৃষ্টির সুযোগ হলো। মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে কোনো কথা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক লবিস্টদের সঙ্গে আমরা আলাপ-আলোচনা করে রেখেছি, যাতে এ ক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ না হয়।’
১২ মার্চ থেকে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। জিম্মি হন জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক। এর আগে ২০১০ সালে একই প্রতিষ্ঠানের আরেক জাহাজ জাহান মনি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। সেবার জাহাজ ছিনতাইয়ের আট দিনের মাথায় যোগাযোগ করেছিল দস্যুরা। ১০০ দিন জিম্মিদশার পর মুক্ত হয়েছিল জাহাজটি ও এর নাবিকেরা। সেই দলে ছিলেন নাবিক মো. ইদ্রিসও। গতকাল জলদস্যুদের যোগাযোগের বিষয়টিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন। তিনি বলেছেন, জিম্মিদের পরিবারে এখন কিছুটা হলেও স্বস্তি আসবে।
একই ধরনের কথা বলেছেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএমওএ) সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেনও। সংগঠনটির সভাপতি ক্যাপ্টেন এম আনাম চৌধুরী বলেন, জাহান মনি তো ১০০ দিনে মুক্ত হয়েছিল। এমভি আবদুল্লাহ কত দিনে মুক্ত হয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এর আগে গত শনিবার এসআর শিপিংয়ের মুখপাত্র মো. মিজানুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, সেদিন রাত ৮টায় জিম্মি এক নাবিকের সঙ্গে মালিকপক্ষের কথা হয়। জাহাজের সবাই সুস্থ ও নিরাপদ আছেন। এদিকে শনিবার ভারতীয় নৌবাহিনী দস্যুদের নিয়ন্ত্রণে থাকা মাল্টার পতাকাবাহী কার্গো জাহাজ এমভি রুয়েন উদ্ধার করে। গত ডিসেম্বরে জলদস্যুরা ওই জাহাজ নিয়ন্ত্রণে নেয়। তাতে কমান্ডো অভিযানে ১৭ নাবিককে মুক্ত এবং ৩৫ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এমভি আবদুল্লাহকেও উদ্ধারে আন্তর্জাতিক নৌ সেনা ও সোমালিয়ার আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পান্টল্যান্ড পুলিশের যৌথ অভিযানের প্রস্তুতির কথা গণমাধ্যমে আসে। তবে এ ধরনের অভিযানের বিপক্ষে ছিল এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ। তাদের মতে, এ ধরনের অভিযান বিপজ্জনক হতে পারে।
এই সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪