Ajker Patrika

বন্ধুকে ঘিরে সব রহস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১০
বন্ধুকে ঘিরে সব রহস্য

অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমু ও তাঁর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলীম নোবেলের রাতের ঝগড়ার রেশ চলছিল সকাল পর্যন্ত। দুই ছেলে-মেয়ে তখনো ঘুমাচ্ছিল। উত্তেজিত হয়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে ধরেন স্বামী। কিছু না বুঝে ওঠার আগেই মৃত্যু হয় স্ত্রীর। কী করবেন ভেবে না পেয়ে ডাকেন বন্ধুকে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনা এখানেই শেষ নয়। পুরো রহস্যজুড়ে রয়েছেন বন্ধু ফরহাদ। তবে তাঁর ভূমিকা কী? এ বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

শিমু হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার নোবেল ও ফরহাদ তিন দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনেই নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন। বলেছেন গত দুই বছর থেকে শুরু করে ঘটনার দিন পর্যন্ত সম্পর্কের নানা উত্থান-পতনের গল্প। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবু সালাম মিয়া।

ঘটনার বর্ণনায় এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সোমবার সকালে হত্যার পর বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতায় লাশ গুম করার চেষ্টাও করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। প্রথমে তাঁরা মরদেহ দুটি চটের বস্তায় ভরেন। পরে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের আলীপুর ব্রিজের ৩০০ গজ উত্তরে পাকা রাস্তাসংলগ্ন ঝোপের মধ্যে ফেলে আসেন। ওই দুটো বস্তা যে প্লাস্টিকের সুতা দিয়ে সেলাই করা হয়েছিল, হুবহু সেই সুতা এক বান্ডিল শিমুর স্বামী নোবেলের গাড়িতে পাওয়া যায়। গাড়িটি ধোয়া ছিল এবং দুর্গন্ধ দূর করতে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছিল।

তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে নোবেল ও তাঁর বন্ধু ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগীর ভাই শহিদুল কেরানীগঞ্জ হত্যা মামলা দায়ের করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...