Ajker Patrika

ভোটের পরের প্রত্যাশা

সম্পাদকীয়
ভোটের পরের প্রত্যাশা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে টানা তিনবার নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এই দীর্ঘ চলার পথে যতটুকু অর্জন, তার সবটুকুই আপনাদের অবদান। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া এই অর্জন সম্ভব হতো না।

চলার পথে যদি কোনো ভুল-ভ্রান্তি করে থাকি, তাহলে আপনারা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন—এটাই আমার আবেদন। আবার সরকার গঠন করতে পারলে, ভুলগুলো শোধরাবার সুযোগ পাব। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবা করার সুযোগ দিন।’

ভোটের আগের দিন জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সব উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও অস্বস্তি পরাভূত করে ভোটারদের নির্ভয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

কত শতাংশ ভোট পড়লে কমিশন সন্তুষ্ট হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, ‘কত শতাংশ পড়লে একটা নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে, সেটা নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। গ্রহণযোগ্যতার কোনো সুস্পষ্ট মানদণ্ড নেই। কেউ বলবেন, গ্রহণযোগ্য হয়েছে, কেউ বলবেন হয়নি।’

গতকাল সেই কাঙ্ক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কতসংখ্যক মানুষ ভোট দিয়েছেন, নির্বাচন কতটুকু উৎসবমুখর পরিবেশে হয়েছে–এসব নিয়ে তর্ক না করে আমরা বরং সামনের দিকে তাকাই।

নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দেওয়ার যে আহ্বান শেখ হাসিনা জানিয়েছিলেন, ভোটাররা তাঁকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। শেখ হাসিনাই টানা চতুর্থবারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

গত তিন মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেছেন মানুষের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের। তবে সব প্রতিশ্রুতি শতভাগ পূরণ করা কারও পক্ষেই সম্ভব হয় না। নতুন করে যেহেতু তিনি দেশ ও মানুষকে সেবা করার সুযোগ পাচ্ছেন, সেহেতু অঙ্গীকার অনুযায়ী, অতীতের ভুলগুলো শোধরানোর চেষ্টা করলে তিনি মানুষের কাছে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হবেন।

নতুন বছরে দেশ একটি নতুন সরকার পাবে। প্রশ্ন হলো, রাজনীতিতে কী কোনো নতুনত্ব আসবে? মানুষের মন থেকে কি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হবে? অর্থনীতি কী মজবুত ভিত্তি পাবে? নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কি কমবে? মানুষের আয়-ব্যয়ের সমতা কি ফিরবে?

এসব প্রশ্নের উত্তর এখনই পাওয়া যাবে না। আমাদের অপেক্ষায় থাকতে হবে। এই মুহূর্তে আমরা বরং আশা করি, নতুন বছরের শুরুতেই নতুন যে সরকার শপথ নেবে, সেই সরকার যেন সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার হওয়ার চেষ্টা করে। ঘুষ-দুর্নীতির যেন লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করে। মূল্যবৃদ্ধির বেপরোয়া মনোভাব যেসব ব্যবসায়ীর মধ্যে আছে, সরকার যেন তাঁদের কাছে জিম্মি না হয়ে পড়ে। নতুন সরকার যেন সব ক্ষেত্রেই বেপরোয়াদের নিয়ন্ত্রণে আন্তরিক হয়।

সরকারের যাঁরা সমালোচক, যাঁরা রাজনৈতিকভাবেও সরকারের বিরুদ্ধ অবস্থানে তাঁদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর না হয়ে আগামী সরকারকে কঠোরতা দেখাতে হবে সব ধরনের অনিয়ম ও অব্যবস্থার বিরুদ্ধে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাচারের অর্থে দুবাইয়ে মেয়ের ৪৫ কোটি টাকার ফ্ল্যাট—অভিযোগ নিয়ে যা বললেন গভর্নর

সুধা সদন এখন কিশোর গ্যাং ও মাদকসেবীর আখড়া

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের শতকোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এখন বৈঠকে রাজি নন

ভোলায় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত