আজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ঢেলে সাজানোর দাবি জোরদার হচ্ছে। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গতকাল শেষ হওয়া চার দিনব্যাপী ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে’ এ বিষয়ে নানা সুপারিশ উঠে এসেছে। এতে ডব্লিউএইচওর অঙ্গ সংস্থা গ্লোবাল প্রিপেয়ার্ডনেস মনিটরিং বোর্ডের (জিপিএমবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে করোনা থেকে শিক্ষা নিতে বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে ভবিষ্যতে মহামারি রোধে ‘বৈশ্বিক মহামারি চুক্তি’র প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা শনাক্ত হওয়ার তিন মাস আগে সম্ভাব্য মহামারি সম্পর্কে স্পষ্ট সতর্ক বার্তা দেয় জিপিএমবি। সংস্থাটির ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শ্বাসযন্ত্র সংশ্লিষ্ট নতুন ধরনের জীবাণু মহামারির আকার ধারণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাই এ ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
কিন্তু ইতিমধ্যে দুই বছর পার হতে চললেও মহামারি থেকে বিশ্ব শিক্ষা নেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিপিএমবির গতকাল বার্লিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, এত বড় সংকটের পরও প্রয়োজনীয় শিক্ষা না নেওয়াটা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এ অবস্থা চলতে পারে না। এ সংকট আমাদের জন্য একটি সুযোগও বটে। সংকটকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে না পারার পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।
তাই যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়াসহ ১২ সদস্যের জিপিএমবি একটি ‘বৈশ্বিক মহামারি চুক্তি’ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশে দেশে বাড়ন্ত জাতীয়তাবাদ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ভয়াবহ বৈষম্য রোধে ছয় দফা সুপারিশ করেছে।
দফাগুলোর সারমর্ম হলো মহামারির মতো সংকটে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যবস্থা নেওয়া। বিশ্বের সরকারপ্রধান ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য সম্মেলন করা। অর্থ-সম্পদ, ক্ষমতা ইত্যাদির দিক থেকে ডব্লিউএইচওকে আরও শক্তিশালী করা। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সংকটে তথ্য বিনিময়, গবেষণা বাড়ানো। সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা। এবং ডব্লিউএইচওর বাইরে স্বাধীন নজরদারি-বিষয়ক সংস্থাগুলোর তৎপরতা বাড়ানো।
এতে আরও বলা হয়, করোনার প্রথম ধাপকে সামষ্টিক ব্যর্থ বলে চিহ্নিত করা যায়। কারণ পূর্বাভাস সত্ত্বেও আমরা তা রোধে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে যথেষ্ট অবহেলার পরিচয় দিয়েছি। আর দ্বিতীয় ধাপে যা হয়েছে, তা আরও ভয়াবহ। কারণ টিকা বাজারে আসার পর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে যে ধরনের টিকা বৈষম্য হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। এর ফলে গরিব দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পিছিয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে ধনী দেশগুলোয় গড়ে ৬৩ শতাংশ মানুষ টিকা পেলেও গরিব দেশে তা মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ জাতিসংঘ, জি৭, জি২০ উদ্যোগী হলে পরিস্থিতি এ রকম হতো না। তবে বিরাজমান পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব। আর তা করতে সবাইকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছে জিপিএমবি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ঢেলে সাজানোর দাবি জোরদার হচ্ছে। জার্মানির রাজধানী বার্লিনে গতকাল শেষ হওয়া চার দিনব্যাপী ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে’ এ বিষয়ে নানা সুপারিশ উঠে এসেছে। এতে ডব্লিউএইচওর অঙ্গ সংস্থা গ্লোবাল প্রিপেয়ার্ডনেস মনিটরিং বোর্ডের (জিপিএমবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে করোনা থেকে শিক্ষা নিতে বিশ্ব ব্যর্থ হয়েছে জানিয়ে ভবিষ্যতে মহামারি রোধে ‘বৈশ্বিক মহামারি চুক্তি’র প্রস্তাব করা হয়েছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে করোনা শনাক্ত হওয়ার তিন মাস আগে সম্ভাব্য মহামারি সম্পর্কে স্পষ্ট সতর্ক বার্তা দেয় জিপিএমবি। সংস্থাটির ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত প্রতিবেদনে শ্বাসযন্ত্র সংশ্লিষ্ট নতুন ধরনের জীবাণু মহামারির আকার ধারণের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তাই এ ধরনের বিপর্যয় ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল।
কিন্তু ইতিমধ্যে দুই বছর পার হতে চললেও মহামারি থেকে বিশ্ব শিক্ষা নেয়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিপিএমবির গতকাল বার্লিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়, এত বড় সংকটের পরও প্রয়োজনীয় শিক্ষা না নেওয়াটা সবচেয়ে উদ্বেগজনক। এ অবস্থা চলতে পারে না। এ সংকট আমাদের জন্য একটি সুযোগও বটে। সংকটকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে না পারার পরিণতি হবে আরও ভয়াবহ।
তাই যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়াসহ ১২ সদস্যের জিপিএমবি একটি ‘বৈশ্বিক মহামারি চুক্তি’ করার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশে দেশে বাড়ন্ত জাতীয়তাবাদ, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং ভয়াবহ বৈষম্য রোধে ছয় দফা সুপারিশ করেছে।
দফাগুলোর সারমর্ম হলো মহামারির মতো সংকটে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে ব্যবস্থা নেওয়া। বিশ্বের সরকারপ্রধান ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য সম্মেলন করা। অর্থ-সম্পদ, ক্ষমতা ইত্যাদির দিক থেকে ডব্লিউএইচওকে আরও শক্তিশালী করা। স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সংকটে তথ্য বিনিময়, গবেষণা বাড়ানো। সরকারের পাশাপাশি নাগরিক সমাজ ও বেসরকারি খাতকে যুক্ত করা। এবং ডব্লিউএইচওর বাইরে স্বাধীন নজরদারি-বিষয়ক সংস্থাগুলোর তৎপরতা বাড়ানো।
এতে আরও বলা হয়, করোনার প্রথম ধাপকে সামষ্টিক ব্যর্থ বলে চিহ্নিত করা যায়। কারণ পূর্বাভাস সত্ত্বেও আমরা তা রোধে প্রস্তুতি নিতে পারিনি। বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে যথেষ্ট অবহেলার পরিচয় দিয়েছি। আর দ্বিতীয় ধাপে যা হয়েছে, তা আরও ভয়াবহ। কারণ টিকা বাজারে আসার পর সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়নি। ফলে ধনী ও গরিব দেশগুলোর মধ্যে যে ধরনের টিকা বৈষম্য হয়েছে, তা ক্ষমার অযোগ্য। এর ফলে গরিব দেশগুলোর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার পিছিয়ে পড়েছে।
ইতিমধ্যে ধনী দেশগুলোয় গড়ে ৬৩ শতাংশ মানুষ টিকা পেলেও গরিব দেশে তা মাত্র ৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অথচ জাতিসংঘ, জি৭, জি২০ উদ্যোগী হলে পরিস্থিতি এ রকম হতো না। তবে বিরাজমান পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্ভব। আর তা করতে সবাইকে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছে জিপিএমবি।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫