Ajker Patrika

গ্রামে গ্রামে ঘুরে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করাই তাঁর পেশা

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ১৬ মে ২০২২, ১২: ২৭
গ্রামে গ্রামে ঘুরে চাক থেকে মধু সংগ্রহ করাই তাঁর পেশা

ঝালকাঠিতে গ্রামে গ্রামে ঘুরে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন শাহ আলম (৫৫)। গ্রামের কোথাও মধু সংগ্রহের সরঞ্জাম নিয়ে ছুটে যান তিনি। অত্যন্ত যত্নসহকারে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। ভেজালমুক্ত এই মধুর অর্ধেক গাছের মালিককে দিতে হয়। বাকি অর্ধেক নেন তিনি। সংগৃহীত মধু বিক্রি করে যে টাকা পান, তা দিয়েই চলে তাঁর সংসার।

জানা গেছে, অভাব-অনটনের সংসারে জন্ম নেওয়ায় পড়ালেখা করা হয়নি। শৈশব-কৈশোর পেরোনোর আগেই শুরু হয় কর্মজীবন। শুরুতে দিনমজুরি করতেন। তাতে যে আয় হতো তা দিয়ে চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যেত। একপর্যায়ে বরিশালের মৌয়ালদের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। কোথাও মৌচাকের সন্ধান পেলেই বরিশালের মৌয়ালদের ডাকা হতো। এ সময় বরিশালের মৌয়ালরা মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করে সামান্য কিছু টাকা দিত। এতে আর্থিকভাবে বৈষম্যের শিকার হতেন মৌচাকের মালিকেরা। তাই মৌচাক থেকে কীভাবে মধু সংগ্রহ করে তার কৌশল আয়ত্ত করতে শুরু করেন শাহ আলম। আস্তে আস্তে শুরু হয় মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ। এভাবে পেশাদার মৌয়াল হয়ে ওঠেন তিনি। সাত-আট বছর ধরে তিনি বরিশালের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করছেন। আর তা বিক্রি করেই চলে সংসার। তবে প্রতিদিনই মধু সংগ্রহ না। বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে বেশি মধু সংগ্রহ করা যায়।

রাজাপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে মৌয়াল শাহ আলমের (৫৫) বাড়ি। ব্যক্তিগত জীবনে শাহ আলম চার মেয়ের বাবা। ছোট মেয়ে মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। বড় তিন মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। শ্বশুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম তালুকদারের কোনো ছেলে নেই। ফলে শ্বশুরের সম্পত্তির অর্ধেকই পেয়েছেন তিনি।

শাহ আলম বলেন, ‘প্রতিটি মৌচাক থেকে তিন-ছয় কেজি মধু পাওয়া যায়। এর অর্ধেক আমি পাই। সেই নির্ভেজাল মধু প্রতি কেজি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি করি। তবে প্রতিদিন মৌচাকের সন্ধান পাওয়া যায় না। মাঝেমধ্যে যখন পাই, তখন আয় বেশ ভালোই হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মচারীদের পদ-পদবি-বেতন কাঠামো নিয়ে পাল্টা অবস্থানে দুই পক্ষ

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

ফেসবুকে লাইক-কমেন্ট, পাঁচ কর্মকর্তাকে নোটিশ

নাম প্রস্তাবে আটকে আছে ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’

মোহাম্মদপুরে আলোকচিত্রী ও জিগাতলায় শিক্ষার্থী খুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত