Ajker Patrika

তোপের মুখে তত্ত্বাবধায়ক নতুন দরপত্রের পক্ষে মত

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
Thumbnail image

ওষুধ ও মেডিকেল সরঞ্জাম কেনার (এমএসআর) দরপত্রে ‘অভিনব’ শর্ত জুড়ে দেওয়ায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভায় উপস্থিত সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শহিদুল্লাহ লিংকন। এ সময় অনেকে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করার পক্ষে মত দেন। গত রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এ সমন্বয় সভায় তাঁকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়।

সমন্বয় সভায় উপস্থিত ছিলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের এমএসআরের টেন্ডার প্রক্রিয়ার শর্তে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের একক ব্যাংক হিসাবে পাঁচ কোটি টাকা স্থিতি ও শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে চার বছরের অভিজ্ঞতার শর্ত জুড়ে দেওয়ায় প্রশ্নে মুখে পড়েন তত্ত্বাবধায়ক শহিদুল্লাহ লিংকন। জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানেরা ও চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধি দরপত্রে এমন শর্ত জুড়ে দেওয়ার সমালোচনা করেন। তখন তত্ত্বাবধায়ক দাবি করেন যে আগেও দরপত্র আহ্বানে এভাবে শর্ত দেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত জেলার প্রকৌশল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের এক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘গ্রুপভিত্তিক দরপত্র প্রক্রিয়ায় আলাদা জামানত চাইলে আলাদা ব্যাংক স্থিতিও চাইতে হবে, এটাই নিয়ম। যেহেতু হাসপাতালের গ্রুপভিত্তিক দরপত্র ও জামানত চাওয়া হয়েছে সেহেতু সব গ্রুপের জন্য এককভাবে পাঁচ কোটি টাকা ব্যাংক স্থিতি চাওয়া বিধিসম্মত হয়নি।’

এমন শর্ত দিয়ে দরপত্র খোলার পর করণীয় কী, এমন প্রশ্নে এই নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘যদি এমন অসামঞ্জস্য শর্ত সংশোধন না করেই দরপত্র খোলা হয় তাহলে এখন শর্ত সংশোধন করে পুনঃদরপত্র আহ্বান করা উচিত।

সভায় উপস্থিত আরেক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘হাসপাতালের দরপত্র নিয়ে সভায় কথা উঠেছিল। এটা নিয়ে একটা কমিটি আছে। ওই কমিটিকে এ নিয়ে বিস্তারিত কাজ করতে বলা হয়েছে।’

আরেক নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, ‘গ্রুপভিত্তিক দরপত্রে কোনো ঠিকাদার সব গ্রুপের দরপত্র নাও নিতে পারেন। সব গ্রুপের চাওয়া পণ্যের পরিমাণ ও দর এক নয়। সুতরাং সব গ্রুপের জন্য একই ব্যাংক স্থিতির শর্ত অসামঞ্জস্যপূর্ণ। এটা পুনরায় আহ্বান করা উচিত।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘সমন্বয় মিটিংয়ে এটা নিয়ে কথা হয়েছে। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি এটা নিয়ে যে নীতিমালা আছে আপনারা সে অনুযায়ী কাজ করবেন। আমি সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী কাজ করতে বলেছি।’

এ বিষয়ে জানতে জেনারেল হাসপাতালে গেলে তত্ত্বাবধায়ক শহিদুল্লাহ লিংকনকে পাওয়া যায়নি। পরে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ২ অক্টোবর কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের এমএসআর দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ২ নভেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত দরপত্র জমা নেওয়া হয়। একই দিন দরপত্র খোলা হয়। এরপর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি মূল্যায়ন করলেও এখনো সর্বনিম্ন দরদাতা নির্ধারণ করা হয়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত