মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর (মাগুরা)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে থেমে আছে ।
২০২০ সালের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া নির্মাণকাজের শতকরা ১০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে কাজটি শুরু হয়ে ধীর গতিতে চলছিল। কিন্তু গত তিন মাস যাবৎ কাজটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মডেল মসজিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার সুযোগ তো নেই বরং এই ঠিকাদারদের মাধ্যমে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে কাজের কিছু অংশ করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ কাজটি ফেলে রাখায় রোদ ও বৃষ্টিতে প্রতিটা গ্রেড বিম ও কলামের রড়ে মরিচা পড়ে গেছে। এই রড দিয়ে কাজ করলে বৃহৎ এই ভবনের স্থায়ীত্ব কমে যাবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে প্রশাসনের চোখের সামনে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজে ঠিকাদারের গাফিলতি থাকলেও তা নিয়ে কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি না থাকায় স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে মোট ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৩ টাকা। ৪ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদে থাকবে লাইব্রেরি, গাড়ি পার্কিং ও লিফট, এক সাথে ১ হাজার পুরুষ ও নারী মুসল্লির পৃথক অজু ও নামাজের ব্যবস্থা, পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, পর্যটকদের আবাসন ব্যবস্থা, দাওয়াতি কার্যক্রম, হিফজ মাদ্রাসা, মক্তব, মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা, মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আবাসন প্রকল্পসহ বহুমুখী ইসলামি কার্যক্রম। তা ছাড়া মসজিদটিকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য রয়েছে নানা পরিকল্পনা। একই সঙ্গে শুরু হওয়া দেশের বিভিন্ন স্থানের ৫০টি মডেল মসজিদ গত ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ চুক্তি অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
অন্যদিকে গত বছরের জুন মাসে ঝিনাইদহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস লিটন ট্রেডার্স কাজ শুরু করার পর কাজের অগ্রগতি মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। এর মধ্যে তিন মাসের অধিক সময় কাজ বন্ধ আছে।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে গিয়ে দেখা যায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ফরিদ ও কাজের বোয়া ফাতেমা বসে আছে। অন্য কোনো লোকজন খুঁজে পাওয়া যায়নি। লোকজন কোথায় প্রশ্ন করলে তারা কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান তাঁরা।
মহম্মদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিয়া বলেন, পূর্বের মসজিদটি ভেঙে অস্থায়ী পুরোনো ভবনে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে কাজ দেখে মনে হয় না নির্মাণকাজ কয়েক বছরে শেষ হবে।
মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারের কাজের গাফিলতি নিয়ে আমি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মাগুরার জেলা প্রশাসক সহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অবহিত করেছি। এবং কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য ঠিকাদারের সঙ্গেও বারবার কথা বলেছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি।
নির্মাণকাজের ঠিকাদার মিজানুর রহমান লিটন বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগ ঠিকমতো বিল না দেওয়ায় এবং স্থানীয় সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ করে রেখেছি। কাজের সময় বর্ধিত করতে আবেদন করেছি।’
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা মাগুরা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ পাল বলেন, ‘অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে এত দিন কাজ বন্ধ আছে। নির্মাণকাজের সময় বর্ধিত করার জন্য ঠিকাদারের আবেদন হাতে পেয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছি। মরিচা পড়া রড পলিশ করে ঢালাই দেওয়ার জন্য ঠিকাদার কে চিঠি দেওয়া হবে।’
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে মডেল মসজিদের নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন ধরে থেমে আছে ।
২০২০ সালের জুন মাস থেকে শুরু হওয়া নির্মাণকাজের শতকরা ১০ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। প্রায় এক বছর আগে কাজটি শুরু হয়ে ধীর গতিতে চলছিল। কিন্তু গত তিন মাস যাবৎ কাজটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মডেল মসজিদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।
ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার সুযোগ তো নেই বরং এই ঠিকাদারদের মাধ্যমে নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ার সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে কাজের কিছু অংশ করার পর দীর্ঘদিন যাবৎ কাজটি ফেলে রাখায় রোদ ও বৃষ্টিতে প্রতিটা গ্রেড বিম ও কলামের রড়ে মরিচা পড়ে গেছে। এই রড দিয়ে কাজ করলে বৃহৎ এই ভবনের স্থায়ীত্ব কমে যাবে বলে ধারণা করছেন অনেকে।
উপজেলা পরিষদ চত্বরের মধ্যে প্রশাসনের চোখের সামনে মডেল মসজিদের নির্মাণকাজে ঠিকাদারের গাফিলতি থাকলেও তা নিয়ে কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি না থাকায় স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সারা বাংলাদেশে মোট ৫৬০টি মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মসজিদ নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৩ কোটি ১১ লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৩ টাকা। ৪ তলা বিশিষ্ট এই মসজিদে থাকবে লাইব্রেরি, গাড়ি পার্কিং ও লিফট, এক সাথে ১ হাজার পুরুষ ও নারী মুসল্লির পৃথক অজু ও নামাজের ব্যবস্থা, পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, হজ যাত্রীদের নিবন্ধন, পর্যটকদের আবাসন ব্যবস্থা, দাওয়াতি কার্যক্রম, হিফজ মাদ্রাসা, মক্তব, মৃত ব্যক্তির গোসলের ব্যবস্থা, মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের আবাসন প্রকল্পসহ বহুমুখী ইসলামি কার্যক্রম। তা ছাড়া মসজিদটিকে দৃষ্টিনন্দন করার জন্য রয়েছে নানা পরিকল্পনা। একই সঙ্গে শুরু হওয়া দেশের বিভিন্ন স্থানের ৫০টি মডেল মসজিদ গত ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই মসজিদ নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজের অগ্রগতি দেখে মনে হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এ অবস্থায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ চুক্তি অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
অন্যদিকে গত বছরের জুন মাসে ঝিনাইদহের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএস লিটন ট্রেডার্স কাজ শুরু করার পর কাজের অগ্রগতি মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। এর মধ্যে তিন মাসের অধিক সময় কাজ বন্ধ আছে।
গত শনিবার দুপুরে সরেজমিনে নির্মাণাধীন মডেল মসজিদে গিয়ে দেখা যায় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি ফরিদ ও কাজের বোয়া ফাতেমা বসে আছে। অন্য কোনো লোকজন খুঁজে পাওয়া যায়নি। লোকজন কোথায় প্রশ্ন করলে তারা কিছুই জানেন না বলে এ প্রতিবেদককে জানান তাঁরা।
মহম্মদপুর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই মিয়া বলেন, পূর্বের মসজিদটি ভেঙে অস্থায়ী পুরোনো ভবনে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। তবে কাজ দেখে মনে হয় না নির্মাণকাজ কয়েক বছরে শেষ হবে।
মাগুরা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, ঠিকাদারের কাজের গাফিলতি নিয়ে আমি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী, মাগুরার জেলা প্রশাসক সহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে অবহিত করেছি। এবং কাজের গতি বৃদ্ধি করার জন্য ঠিকাদারের সঙ্গেও বারবার কথা বলেছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি।
নির্মাণকাজের ঠিকাদার মিজানুর রহমান লিটন বলেন, ‘গণপূর্ত বিভাগ ঠিকমতো বিল না দেওয়ায় এবং স্থানীয় সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ করে রেখেছি। কাজের সময় বর্ধিত করতে আবেদন করেছি।’
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামানন্দ পাল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা মাগুরা গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রসেনজিৎ পাল বলেন, ‘অর্থ বরাদ্দের স্বল্পতার কারণে এত দিন কাজ বন্ধ আছে। নির্মাণকাজের সময় বর্ধিত করার জন্য ঠিকাদারের আবেদন হাতে পেয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছি। মরিচা পড়া রড পলিশ করে ঢালাই দেওয়ার জন্য ঠিকাদার কে চিঠি দেওয়া হবে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫