জাল নথিতে অতিষ্ঠ ভূমি প্রশাসন

জাল দলিল তৈরিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবিকল তৈরি করে নামজারির আবেদনে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করা হচ্ছে।

চলতি ডিসেম্বর মাসে উপজেলা ভূমি অফিসে ১০টি জাল দলিলের নামজারির আবেদন ধরা পড়ে। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানিতে ভুয়া প্রমাণিত হওয়া সেসব আবেদন বাতিল করা হয়।

কয়েকবার এমন জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ায় উপজেলা ভূমি অফিস, বড়উঠান, শিকলবাহা, চরপাথরঘাটা, চরলক্ষ্যা ও জুলধার ইউনিয়ন ভূমি অফিসে সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি টাঙিয়েছে প্রশাসন।

এ বিষয়ে কথা হয় বড়উঠান ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা তৌহিদুল আলম, জুলধার উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা নুর আহমদ, শিকলবাহার উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ জসিম, চরপাথরঘাটার উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাজ্জাদের সঙ্গে।

এসব ভূমি কর্মকর্তা বলেন, যেসব ইউনিয়নে জমির দাম বেশি বেড়ে গেছে, সেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ওয়ারিশসহ থেকে শুরু করে জমির জাল দলিল নিয়ে অনেকে নামজারির আবেদন করতে আসেন। এ সময় তাঁরা ভূমির মালিকের আত্মীয়স্বজন বলে পরিচয় দেন।

কর্ণফুলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পিযূষ কুমার চৌধুরী বলেন, ‘কিছুদিন আগে চরপাথরঘাটা এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি দলিল আসে ১৯৭০, ১৯৭৯ সালসহ বিভিন্ন সালের। দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই এটা আসল দলিল, নাকি জাল দলিল। পরে ওই জমির মূল মালিককে ডাকা হয়। উভয় পক্ষ নিয়ে শুনানি হয়।  সেখানে নামজারি করতে আসা ব্যক্তির সব দলিল জাল বলে প্রমাণিত হয়।’