Ajker Patrika

ধর্ষণ মামলার পর বিয়ে,মীমাংসার পর বাড়িছাড়া

মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪৫
ধর্ষণ মামলার পর বিয়ে,মীমাংসার পর বাড়িছাড়া

নেত্রকোনার মদন উপজেলায় এক কিশোরী ছাত্রীকে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে এক কলেজছাত্রের বিরুদ্ধে। তবে এ ঘটনায় থানায় অপহরণ মামলা হয়। পরে ওই ছাত্রের সঙ্গে কিশোরীর বিয়ে হয়। এরপর দুই পক্ষের মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। অভিযোগ উঠেছে, আদালতে প্রতিবেদন দেওয়ার পর ওই ছাত্রীকে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি এখন তার বাবার বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

পুলিশ, ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার ছেলেটি ময়মনসিংহের একটি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে ওই ছাত্রীকে কৌশলে বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে সে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এলাকায় সালিস হয়। কিন্তু তাতে মীমাংসা হয়নি। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মদন থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পুলিশ ১৪ সেপ্টেম্বর অপহরণ মামলা হিসেবে সেটি নথিভুক্ত করে। এদিকে গ্রেপ্তার এড়াতে কলেজছাত্র বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।

ছাত্রীর স্বজনদের অভিযোগ, এলাকার মাতব্বররা মিলে কলেজছাত্রের সঙ্গে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরীর বিয়ে দেন। বিয়ের পর কিশোরী তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকত। তবে কিছুদিন পর ছেলেটি ঢাকায় চলে যায়। এই প্রেক্ষাপটে ছেলে ও মেয়ে পক্ষের মধ্যে মীমাংসা হয়ে গেছে মর্মে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এরপর কিশোরীকে নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। মেয়েটি তার হতদরিদ্র বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

জানতে চাইলে কিশোরীর বাবা আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর কিশোরী মেয়েকে কয়েক দিন বাড়িতে আটকে রেখে ধর্ষণ করে ওই কলেজছাত্র। মামলা করার পর এলাকার মাতব্বররা মিলে তাঁর মেয়েকে ওই ছাত্রের সঙ্গে বিয়ে দেন। আর আদালতে মীমাংসা হওয়ার প্রতিবেদন দেওয়ার পর তাঁর মেয়েকে অত্যাচার-নির্যাতন করে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এলাকার মাতব্বর সাবেক ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার সালিস হয়। সেখানে উপস্থিত সবার সামনে মেয়েটি বলেছিল তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে ওই ছাত্র। থানায় মামলা হওয়ার পর ছাত্রের সঙ্গে মেয়েটির বিয়ে হয়েছিল। তাকে নির্যাতনের কথা আমি শুনেছি।’

মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে ওই কলেজছাত্র বলে, ‘আমি দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকি না। বিয়ের ব্যাপারে বেশি কথা বলতে চাই না। ওই কিশোরীর সঙ্গেও আমার আর যোগাযোগ নাই।’

মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, ওই কিশোরীকে অপহরণের অভিযোগে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এখন বিষয়টি আদালত দেখবেন। ভুক্তভোগী পরিবার যদি নতুন কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়, তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

মেয়াদোত্তীর্ণ ঠিকাদারের নিয়ন্ত্রণে সার্ভার, ঝুলে আছে ৭ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত