Ajker Patrika

ভারপ্রাপ্তে ভারাক্রান্ত কসবা উপজেলার তিনটি কলেজ

কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৩ আগস্ট ২০২২, ১৪: ১৪
ভারপ্রাপ্তে ভারাক্রান্ত কসবা উপজেলার তিনটি কলেজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার তিনটি কলেজ চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। কলেজ তিনটি হলো কুটি মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, কসবা টি আলী ডিগ্রি কলেজ ও সৈয়দাবাদ সরকারি আদর্শ মহাবিদ্যালয়। কলেজ তিনটিতে পূর্ণাঙ্গ অধ্যক্ষ না থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রশাসনিক কার্যক্রম।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার কুটিতে অবস্থিত মিয়া আবদুল্লাহ ওয়াজেদ মহিলা ডিগ্রি কলেজ প্রায় এক যুগ ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ২০১১ সালে প্রথমবার, পরে ২০১৬ ও ২০১৭ সালে আরও দুবার অধ্যক্ষ নিয়োগের চেষ্টা হলেও নিয়োগ হয়নি অধ্যক্ষ। বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ চালাচ্ছেন প্রায় চার বছর ধরে।

কলেজটিতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, ইংরেজির প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাসের প্রভাষক, অফিস সহায়ক তিনজন ও আয়ার পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতান কবির আহাম্মদ খান জানান, অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে আলোচনা চলছে।

এদিকে উপজেলার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত কসবা টি আলী ডিগ্রি কলেজটি চার বছর ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। জানা গেছে, অধ্যক্ষ তোফাজ্জল হোসেনের বিদায়ের পর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব না দিয়ে কলেজের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেয়। এতে শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয় এবং এ নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলা গড়ায়। একপর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতের আপিল ডিভিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী উপাধ্যক্ষ বহাল রাখা হয়। পরে ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই উপাধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ বলেন, একদিকে করোনা অন্যদিকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে কার্যক্রম চালানো যায়নি। বর্তমানে কলেজের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অধ্যক্ষ নিয়োগের ব্যাপারে পরিচালনা পর্ষদের সভায় আলোচনা হয়েছে। কলেজটিতে পাঁচটি পদ শূন্য রয়েছে। শূন্য পদগুলো নিয়োগের ব্যাপারে প্রচেষ্টা চলছে।

অন্যদিকে সৈয়দবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয় ডিগ্রি কলেজও সাড়ে চার বছর ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। সাড়ে চার বছর আগে অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন অবসরে যাওয়ার পর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন উপাধ্যক্ষ মো. ইসহাক ভুইয়া। তিনিও চার বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করে অন্য একজন সিনিয়র শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়ে অবসরে গেছেন। তবে কলেজটি সরকারীকরণ হওয়ায় অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়টি ঝুলে আছে বলে জানা যায়। এ ছাড়া কলেজটিতে অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ছাড়াও অফিস সহায়ক পদে চারটি শূন্যপদ রয়েছে।

তিন কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ উল আলম। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই তিনটি কলেজের অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিধিমোতাবেক অধ্যক্ষ নিয়োগের কার্যক্রম চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

প্রশিক্ষণ ছাড়াই মাঠে ৪২৬ সহায়ক পুলিশ কর্মকর্তা

গ্রাহকের ২,৬৩৫ কোটি টাকা দিচ্ছে না ৪৬ বিমা কোম্পানি

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: তিন দফা দাবিতে সোমবার মাঠে নামছেন শিক্ষার্থীরা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত