Ajker Patrika

লক্ষ্মীপুরে পাসের হার বেড়েছে

লক্ষ্মীপুর ও ফেনী প্রতিনিধি
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৩: ৪৪
লক্ষ্মীপুরে পাসের হার বেড়েছে

এইচএসসিতে লক্ষ্মীপুরে পাসের হার বেড়েছে। গত বছর পাসের হার ছিল ৯২.৫০ শতাংশ। এবার তা ৫ শতাংশ বেড়ে ৯৭.৫০ শতাংশ হয়েছে। তবে ফেনীতে গতবার ছিল ৯৬.৩২ শতাংশ, যা এবার কিছুটা কমে হয়েছে ৯৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

লক্ষ্মীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবদুল মতিন জানান, রামগতি ছাড়া অন্য চার উপজেলার ফল এটি। ফলাফল প্রকাশের পর রামগতির কোনো শিক্ষক ও বা দায়িত্বরত কাউকে ফোন করে বা কলেজে যোগাযোগ করে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তবে জেলায় ফলাফল অনেক ভালো বলে তিনি দাবি করেন।

লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ থেকে তিন বিভাগে ২২৬ জিপিএ ৫ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহাবুবুল করিম। তিনি জানান, এবার এইচএসসি পরীক্ষায় ১ হাজার ১৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ১৬৫ জন পাস করেছেন। কলেজের পাসের হার ৯৮.৮১। ফল নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি।

লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, বিভাগের প্রতিটি কলেজে ফলাফল পাঠানো হয়। তবু ফলাফল পেতে একটু সময় লাগতে পারে। এবার জেলায় অনেক ভালো ফল হয়েছে। এটি ধরে রাখতে কলেজগুলোকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

ফেনী জেলায় শীর্ষে গার্লস ক্যাডেট কলেজ এবং সর্বোচ্চ জিপিএ পেয়েছে ফেনী কলেজ। বেসরকারি পর্যায়ে শীর্ষে ফেনী ন্যাশনাল কলেজ। ফেনীতে পাসের হার ৯৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৯২ জন। গতকাল জেলা প্রশাসনের শিক্ষা বিভাগ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফেনীর ৪৩টি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় তিন বিভাগে ১১ হাজার ৪৯৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এর মধ্যে পাস করেছেন ১০ হাজার ৯৬৭ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন ৫৩০ জন।

ফেনীর দাগনভূঞায় পাসের হার ৯৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ ছাড়া ফুলগাজীতে ৯২ দশমিক ৬১, পরশুরামে ৯৬ দশমিক ৭৭, সোনাগাজীতে ৯২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের জৈতুন নাহার কাদের মহিলা কলেজের ১৩২ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ কলেজে পাসের হার শতভাগ। উপজেলার পাঁচটি কলেজের মধ্যে একমাত্র এই কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

এদিকে নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, জেলায় এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গতকাল ফল প্রকাশের পর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত শিক্ষাসংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে চেষ্টা করেও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ফলাফলের তথ্য জানতে দুপুরে জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সালাউদ্দিনের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি ধরেননি। পরে তাঁর কার্যালয়ের প্রধান সহকারীকে ফোন দিয়ে জানা যায়, তিনি অবসরে চলে গেছেন।

প্রধান সহকারীর কাছে ফলাফলের তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বোর্ড থেকে আমাদের কাছে এ রকম কোনো তথ্য আসে না।’

জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক (ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব) মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আমি কার্যালয়ের অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তাঁদের কাছে ফলাফল সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই। আপনি সময় দিলে আমি দু-এক দিনের মধ্যে নিয়ে দিতে পারব।’

গতকাল সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তামান্না মাহবুব বলেন, ‘ফলাফলসংক্রান্ত কোনো মেইল আমরা এখনো পাইনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত