Ajker Patrika

যুবক ফরিদ হত্যার সূত্র উদ্‌ঘাটনের দাবি

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
যুবক ফরিদ হত্যার সূত্র উদ্‌ঘাটনের দাবি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে আলোচিত ফরিদ উদ্দিন (২৫) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় নিহতের প্রতিবেশী সালাউদ্দিন ও রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মিলন মাহমুদ।

গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার। তিনি বলেন, আইপিএল খেলা দেখছিলেন ফরিদ। তখন তাঁর কাছে থাকা ১০ হাজার টাকা দেখতে পায় প্রতিবেশী সালাউদ্দিন। আর সেই টাকার লোভ এবং সালাউদ্দিনের বউয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে বটি দিয়ে ফরিদকে কুপিয়ে মেরে ফেলে সালাউদ্দিন ও রহমান নামে ২ জন। আমরা দুজনকেই গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। খুনে ব্যবহৃত বটি দা আমরা উদ্ধার করতে পেরেছি। তাদের বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত ১৫ এপ্রিল রাতে ফরিদগঞ্জের ১৬ নম্বর রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম কাউনিয়া ভূঁইয়া বাড়ি থেকে ফরিদ উদ্দিন ভূঁইয়ার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ঘটনাস্থলে সিআইডি, পিবিআই, গোয়েন্দা পুলিশসহ বিভিন্ন সংস্থা একত্রিত হয়ে তদন্ত শুরু করে থানা-পুলিশ। পরদিন ১৬ এপ্রিল মৃত ফরিদ উদ্দিনের ভগ্নিপতি দুলাল চৌধুরী বাদী হয়ে ফরিদগঞ্জ থানায় ১টি মামলা করেন। মামলা নম্বর-২৩ / ২২। আর সেই মৃত্যুর রহস্যই উদ্‌ঘাটন করে ২ জনকে গ্রেপ্তার করে প্রেস ব্রিফিং করে পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।

তদন্ত চলাকালীন তথ্য প্রযুক্তি ও গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয়। পরে সালাউদ্দিন তার আরেক সহযোগী রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যা কাণ্ডের শিকার ফরিদ উদ্দিনের মানিব্যাগ ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বটি দাসহ সংশ্লিষ্ট আলামত উদ্ধার করা হয়।

জানা যায়, ফরিদ উদ্দিন গত কয়ে কমাস পূর্বে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন, সেই থেকে তিনি বাড়িতে বসবাস করতেন, সালাউদ্দিন প্রতিবেশী হওয়ায় তার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন ফরিদ উদ্দিন। সেই থেকে তারা এক সঙ্গে চলাফেরা করতেন, এক সঙ্গে চলাফেরার সুবাদে তারা ঘটনার পূর্বে বাড়ির পাশের একটি দোকানে মোবাইল ফোনে গেম খেলার সময় ফরিদ উদ্দিনের মানিব্যাগে নতুন টাকা দেখতে পায় সালাউদ্দিন। এই ১০ হাজার টাকার লোভ আর সালাউদ্দিনের স্ত্রীর সঙ্গে ফরিদ উদ্দিনের পরকীয়া সন্দেহে এ খুনের ঘটনা ঘটানো হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহেল মাহমুদ, ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত