রিমন রহমান, রাজশাহী
আষাঢ় বিদায় নিয়েছে। কিন্তু বরেন্দ্র অঞ্চলে তেমন কোনো বৃষ্টিই হয়নি। কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। আবহাওয়া অফিসের হিসাবে এবার আষাঢ়ে রাজশাহীতে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র আট দিন। এর পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য ২ মিলিমিটার। গত বছরের আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হয়েছিল ৩৫৪ মিলিমিটার। সে হিসাবে এ বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি কম হয়েছে ৩১৫ মিলিমিটার। এ কারণে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক।
জানা গেছে, বর্তমানে রাজশাহীর মাঠে কাটার উপযোগী হয়েছে পাট ও আউশ ধান। এ ছাড়া নতুন করে রোপা আমনের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। কিছু আউশ ধানে এখন সেচ দরকার। পাট জাগ দিতেও দরকার পানির। বৃষ্টিহীনতায় ধান আর পাট নিয়ে বেকায়দায় আছেন তাঁরা। পরিস্থিতি বুঝতে পেয়ে জেলা প্রশাসন সরকারি পুকুরগুলোতে পাট জাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। গত রোববার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে এবার ১৯ হাজার ১৫৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ১৬ শতাংশ পাট কেটেছেন চাষিরা।
অন্যদিকে রাজশাহীতে আউশ ধান চাষ হয়েছে ৪৩ হাজার ১০৩ হেক্টর জমিতে। এই ধান কিছু এলাকায় কাটা হচ্ছে, অন্য ধানে প্রয়োজন হচ্ছে সেচের। কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এ ছাড়া এবার বৃষ্টিহীনতার কারণে রোপা আমন ধানের চারা লাগানোর কাজও এগোচ্ছে না। কৃষি বিভাগ এবার ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। আষাঢ় চলে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ৬৫৪ হেক্টর আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বসন্তপুর গ্রামের কৃষক আয়নাল হক বলেন, চাষিরা সাধারণত বৃষ্টির পানিতেই রোপা আমন ও আউশ ধানের চাষ করেন। ফলন কম হয় বলে গভীর নলকূপ থেকে কেনা পানিতে এই ধান চাষ করলে তেমন লাভ হয় না। এবার বৃষ্টি না থাকায় অনেকের আউশের খেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
বাগমারার গোয়ালকান্দি গ্রামের পাটচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, আষাঢ় শেষেও বৃষ্টি না হওয়ায় খাল, বিল, পুকুর পানিশূন্য। চাষিরা পাট জাগ দেওয়ার মতো পানি পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা বেকায়দায় পড়েছেন। তাঁর তিন বিঘা জমির পাট কাটার উপযোগী হয়েছে। গাছের আয়ু শেষ হওয়ায় পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাও জাগ দেওয়ার জায়গায় না থাকায় তিনি কাটতে পারছেন না। দুই-চার দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে তাঁর পাট আর কাটা হবে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এবার আষাঢ়ে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি হয়েছিল ২৫ দিন। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৫৪ মিলিমিটার। এবার আষাঢ়ের এক মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র আট দিন। বৃষ্টি না থাকায় খাল-বিল পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা বৃষ্টির জন্য তাকিয়ে আছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) তৌফিকুর রহমান বলেন, আউশ ধানটা কেনা পানিতে কোনোমতে তুলে নেওয়া যাবে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে আমন চাষ শুরু করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বিপদে আছেন পাটচাষিরা। তাঁরা পাট জাগ দেওয়ার মতো খালে-বিলে কিংবা পুকুরে পানি পাচ্ছেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি কমে গেছে। আমরা যে পরিমাণ গাছ কাটছি, সে পরিমাণ চারা রোপণ করছি না। এতে তো একটা বিরূপ প্রভাব পড়ছেই। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে খুব বেশি না হলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।’
আষাঢ় বিদায় নিয়েছে। কিন্তু বরেন্দ্র অঞ্চলে তেমন কোনো বৃষ্টিই হয়নি। কোথাও কোথাও ছিটেফোঁটা বৃষ্টির দেখা মিলেছে। আবহাওয়া অফিসের হিসাবে এবার আষাঢ়ে রাজশাহীতে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র আট দিন। এর পরিমাণ ছিল ৩৯ দশমিক শূন্য ২ মিলিমিটার। গত বছরের আষাঢ় মাসে বৃষ্টি হয়েছিল ৩৫৪ মিলিমিটার। সে হিসাবে এ বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি কম হয়েছে ৩১৫ মিলিমিটার। এ কারণে বেকায়দায় পড়েছেন কৃষক।
জানা গেছে, বর্তমানে রাজশাহীর মাঠে কাটার উপযোগী হয়েছে পাট ও আউশ ধান। এ ছাড়া নতুন করে রোপা আমনের চারা রোপণ শুরু হয়েছে। কিছু আউশ ধানে এখন সেচ দরকার। পাট জাগ দিতেও দরকার পানির। বৃষ্টিহীনতায় ধান আর পাট নিয়ে বেকায়দায় আছেন তাঁরা। পরিস্থিতি বুঝতে পেয়ে জেলা প্রশাসন সরকারি পুকুরগুলোতে পাট জাগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। গত রোববার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহীতে এবার ১৯ হাজার ১৫৮ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। গত রোববার পর্যন্ত ১৬ শতাংশ পাট কেটেছেন চাষিরা।
অন্যদিকে রাজশাহীতে আউশ ধান চাষ হয়েছে ৪৩ হাজার ১০৩ হেক্টর জমিতে। এই ধান কিছু এলাকায় কাটা হচ্ছে, অন্য ধানে প্রয়োজন হচ্ছে সেচের। কিন্তু বৃষ্টি না থাকায় বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। এ ছাড়া এবার বৃষ্টিহীনতার কারণে রোপা আমন ধানের চারা লাগানোর কাজও এগোচ্ছে না। কৃষি বিভাগ এবার ৮০ হাজার ৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে। আষাঢ় চলে গেলেও এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ হাজার ৬৫৪ হেক্টর আমনের চারা রোপণ করা হয়েছে।
রাজশাহীর গোদাগাড়ীর বসন্তপুর গ্রামের কৃষক আয়নাল হক বলেন, চাষিরা সাধারণত বৃষ্টির পানিতেই রোপা আমন ও আউশ ধানের চাষ করেন। ফলন কম হয় বলে গভীর নলকূপ থেকে কেনা পানিতে এই ধান চাষ করলে তেমন লাভ হয় না। এবার বৃষ্টি না থাকায় অনেকের আউশের খেত ফেটে চৌচির হয়ে গেছে।
বাগমারার গোয়ালকান্দি গ্রামের পাটচাষি সাইফুল ইসলাম বলেন, আষাঢ় শেষেও বৃষ্টি না হওয়ায় খাল, বিল, পুকুর পানিশূন্য। চাষিরা পাট জাগ দেওয়ার মতো পানি পাচ্ছেন না। এতে তাঁরা বেকায়দায় পড়েছেন। তাঁর তিন বিঘা জমির পাট কাটার উপযোগী হয়েছে। গাছের আয়ু শেষ হওয়ায় পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। তাও জাগ দেওয়ার জায়গায় না থাকায় তিনি কাটতে পারছেন না। দুই-চার দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে তাঁর পাট আর কাটা হবে না।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৩০ বছরের মধ্যে এবার আষাঢ়ে সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত বছর আষাঢ়ে বৃষ্টি হয়েছিল ২৫ দিন। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল ৩৫৪ মিলিমিটার। এবার আষাঢ়ের এক মাসে বৃষ্টি হয়েছে মাত্র আট দিন। বৃষ্টি না থাকায় খাল-বিল পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা বৃষ্টির জন্য তাকিয়ে আছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) তৌফিকুর রহমান বলেন, আউশ ধানটা কেনা পানিতে কোনোমতে তুলে নেওয়া যাবে। কিন্তু বৃষ্টির অভাবে আমন চাষ শুরু করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বিপদে আছেন পাটচাষিরা। তাঁরা পাট জাগ দেওয়ার মতো খালে-বিলে কিংবা পুকুরে পানি পাচ্ছেন না। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের মাসিক উন্নয়ন সভায় আলোচনা হয়েছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি কমে গেছে। আমরা যে পরিমাণ গাছ কাটছি, সে পরিমাণ চারা রোপণ করছি না। এতে তো একটা বিরূপ প্রভাব পড়ছেই। তবে দুই-এক দিনের মধ্যে খুব বেশি না হলেও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪