Ajker Patrika

মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য শব্দদূষণ, হয়রানি

শরিফুল ইসলাম তনয়, সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৩২
মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য শব্দদূষণ, হয়রানি

শীতলক্ষ্যা নদী দখল এবং অবৈধ বালু ও পাথর ব্যবসা ঠেকাতে ২০১৪ সালে নির্মাণ করা হয় ওয়াকওয়ে। দূর-দূরান্ত থেকে বিনোদনপিয়াসী লোকজন ছুটে আসে নদী পাড়ে। কিন্তু ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেলের দৌরাত্ম্য দর্শনার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে। তা ছাড়া মোটরসাইকেল চলাচলের ফলে ওয়াকওয়ের নষ্ট হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা।

গতকাল মঙ্গলবার নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সরেজমিনে দেখা যায়, বিকেল হলেই ওয়াকওয়ে পরিণত হয় লোকারণ্যে। শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, নারী-পুরুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে শীতলক্ষ্যাপাড়ের এই ওয়াকওয়ে। কিন্তু এতে তীব্র হর্ন বাজিয়ে মোটরসাইকেলের চলাচলে শব্দদূষণ হচ্ছে। আবার বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা দ্রুতগতিতে বাইক চালাচ্ছে এই ওয়াকওয়েতে। এতে করে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হচ্ছে।

আসিফ আহমেদ। পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওয়াকওয়ে নির্মিত হয়েছে পথচারীদের হাঁটার জন্য। কিন্তু শীতলক্ষ্যাপাড়ের এই ওয়াকওয়েতে এলে মনে হয় এটা পথচারীদের জন্য নয়, মোটরসাইকেল চালানোর জন্য নির্মিত। পরিবার নিয়ে হাঁটতে এসে মোটরসাইকেলের জন্য ঠিকমতো ওয়াকওয়ে ব্যবহার করার সুযোগই পেলাম না।’

ওয়াকওয়ের একটু সামনে হেঁটে যাচ্ছিলেন বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল ওয়াকওয়েতে উঠে হর্ন বাজাতে বাজাতে বেপরোয়া গতিতে তাঁদের পাশ দিয়ে যেতে থাকলে পথচারীরা প্রতিবাদ করলে মোটরসাইকেলের চালক ও তাঁর পিছে থাকা আরোহী উল্টো তাঁদের গালিগালাজ করে চলে যান। এটি এখন নিত্যদিনের ঘটনা।

কয়েকজন দর্শনার্থীর সঙ্গে কথা হলে তাঁরা অনেকটা আক্ষেপের সুরে জানান, ওয়াকওয়েতে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চলাচলের ফলে তাঁরা নদীর পাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন না। এ ছাড়া অনেক নারী দর্শনার্থী ইভ টিজিংয়ের শিকার হচ্ছেন। পরিবার নিয়ে হাঁটার পরিবেশ এখন আর নেই। তাঁদের মতে, এই ওয়াকওয়ে নির্মিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উচিত ছিল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ওয়াকওয়েতে মোটরসাইকেলসহ যেকোনো যানবাহনই চলাচল করতে না পারে। এভাবে চলতে থাকলে ওয়াকওয়ের সৌন্দর্য বেশি দিন টিকবে না।

এ বিষয়ে নাসিক ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মুহাম্মদ সাদরিলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেননি। তবে যাঁরা ওয়াকওয়েতে বাইক চালান, তাঁদের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকি।’ এ বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সোচ্চার থাকার আহ্বানও জানান ওসি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত