Ajker Patrika

সড়কে খানাখন্দ, চলা দায়

মধুপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ১৪
সড়কে খানাখন্দ, চলা দায়

টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার কাকরাইদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। মহাসড়কে গর্তের কারণে প্রায়ই যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে। তবুও সড়ক সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। এতে যানবাহন ও পথচারীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাকরাইদ বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ থেকে বিএডিসি খামারের প্রধান গেট পর্যন্ত সড়ক বেহাল। দেখা দিয়েছে অসংখ্য গর্ত। হেঁটে চলাও কঠিন। ফলে সড়কের এ অংশটুকু বাস, ট্রাক ও অটোরিকশা খুবই ধীরগতিতে চলাচল করে। এ ছাড়া সড়কের ফুটপাতে বিএডিসির সার গুদামের প্রাচীর ঘেঁষে বালু স্তূপ করে রাখা হয়েছে। কিছু অংশে কাঠের স্তূপ দেখা গেছে। সামনের অংশে ফুটপাতে চলাচলের প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়েছে কাঠের গুঁড়ি ফেলে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পথচারী থেকে সাধারণ মানুষের।

ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেন, ‘কাকরাইদ বাসস্ট্যান্ডের ৩০০ মিটার এলাকা ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয়। মহাসড়কে এমন গর্তের কারণে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।’

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার মালিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মধুপুরের কাকরাইদ বাসস্ট্যান্ড অতিক্রম করে পঁচিশমাইল বা জলছত্র ঘুরে আবার মধুপুর এলে কোনো না-কোনো পার্টস ক্ষতিগ্রস্ত হবেই। অটোরিকশার পাতি ভাঙে। নাট খুলে হারিয়ে যায়। অনেক সময় পণ্যবোঝাই অটোরিকশা উল্টে যায়। কিছুদিন আগে ওই স্থানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের ঘটনাও ঘটেছে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, খানাখন্দে ভরা এ অংশ চলাচলের জন্য অনেকে ফুটপাত ব্যবহার করতেন। কিন্তু বালু ও কাঠের ব্যবসার নামে ফুটপাত দখল করায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

বালু ব্যবসায়ী সুজন মিয়া বলেন, মালবোঝাই অটোরিকশা ফুটপাত ব্যবহার করতে গিয়েই বেশি দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। ভাঙা সড়ক থেকে ফুটপাতে উঠতে-নামতে গিয়ে যানবাহন প্রায় উল্টে যাচ্ছে। গত মঙ্গলবার চারটি অটোরিকশা দুর্ঘটনার শিকার হয়।

বালু ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি খোরশেদ আলমের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে বালুর ব্যবসা করছি। রাস্তায় চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছি না।’

স্থানীয় ব্যবসায়ী, অটোচালক, রিকশাচালক, পথচারী ও বাসচালকেরা দ্রুত সড়কটির সংস্কার দাবি জানান।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. অহিদুজ্জামান বলেন, ‘টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুর থেকে কাকরাইদ হয়ে রসুলপুর পর্যন্ত নতুন করে ৩৪ ফুট প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ করা হবে। ১৭২ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন ও টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার নির্বাচিত হলে দ্রুত কাজ শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত