ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা ও রিপন হোসেন, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা)
বৃষ্টি না হওয়ায় সেচনির্ভর হয়ে গেছে এবারের আমন চাষ। কিন্তু ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচে ভাটা পড়েছে। তেল মিললেও বাড়তি খরচে দিশেহারা মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গার কৃষকেরা। এর মধ্যে বিদ্যুৎবিভ্রাট। এদিকে পাটের ভালো ফলন হলেও জাগ দেওয়ার পানির অভাব। কয়েক দিন আগে বেড়েছে ইউরিয়া সারের দাম।
কৃষকেরা বলছেন, এবার ধান চাষের খরচ অনেক বাড়বে। কারণ, খরা চলছে। আউশ ও আমন ধান সেচের পানি দিয়ে রোপণ করা হচ্ছে। নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে সব সময় সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। ডিজেলচালিত মেশিনের মাধ্যমে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে তেলের দাম বাড়ল। কিছুদিন আগে সারের দাম বেড়েছে।
মাগুরার আমজাদ আলীর ৮০ টাকা লিটার ডিজেলে এক বিঘা জমিতে ধান চাষে চার মাসে খরচ ছিল ৪০০ টাকা। গতকাল শনিবার সকালে সদর উপজেলার মঘী এলাকায় গিয়ে দেখেন সেচ বন্ধ। কারণ হিসেবে জানতে পারেন, সেচযন্ত্রের মালিক তেলের খরচ লিটারে ৩৪ টাকা বাড়তি বলে আগের খরচে সেচ দিতে পারবেন না। তেলের নতুন দাম অনুসারে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০০ টাকার বদলে ৬০০ টাকা না দিলে তিনি সেচযন্ত্র চালাতে অক্ষম।
এই কৃষক বলেন, এখন ঘন ঘন সেচ দরকার। ১৫ বিঘা জমিতে তাঁর এখন বাড়তি ২০০ টাকা করে দিতে হবে। তাই সেচ আপাতত বন্ধ রেখেছেন। এত টাকার সেচ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ধান না পেলে দেনায় ডুবে যাবেন।
সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের কৃষক বাশার মুন্সি বলেন, ‘তেলের দাম এত বৃদ্ধি কখনো দেখিনি। এখন আমাদের জন্য সেচ দিয়ে ঘরে ধান তুলে আনাটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। তেলের জন্য খরচ যে পরিমাণ বেড়েছে, তা মেটাতে গেলে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে।’
মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর, ডেফুলিয়া, ছোটফালিয়া, আলাইপুর এলাকার মাঠে সেচ চললেও স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সকাল থেকে অনেক মাঠে সেচ বন্ধ রয়েছে। নতুন তেলের দাম অনুসারে যাঁরা টাকা পরিশোধ করবেন না, তাঁদের সেচ চলছে না। আবার দুদিন বৃষ্টি হলেও তা খুবই সামান্য বলে সেচ ছাড়া আমন, রোপা ধান ঘরে উঠবে না।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের কৃষক দেলু বলেন, সেচযন্ত্রের মালিকেরা এবার সেচের টাকা বাড়াবেন। না বাড়িয়ে তো আর কোনো উপায় নেই। এবার ধান চাষ নিয়ে কৃষকেরা বিপদে পড়বেন। সরকার আউশ ও আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময় তেলের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের বিপদে ফেলেছে।
একই গ্রামের কৃষক ঠান্ডু বলেন, খরার বছরে তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা বিপদে পড়েছে। ধানসহ ফসলের দাম না বাড়লে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বেন। সরকারের উচিত কৃষকের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের চাষি রমজান বলেন, কিছুদিন আগে সারের দাম বাড়ল। কয়েক দিনের মধ্যে ডিজেলের দাম বাড়ল। তেলের দাম বাড়ার কারণে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ বাড়ছে। ফসলের দাম না বাড়লে কৃষকেরা বিপদে পড়বেন। তিনি আরও বলেন, তাঁদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করেন। এ জন্য ডিজেল প্রয়োজন। সরকারের উচিত ছিল কৃষকদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
নাম প্রকাশ না করে এক কৃষক বলেন, ‘চাষিরা বিএনপি সরকারকে ভয় পান। বিএনপির আমলে সার-তেলের জন্য লাইন দিতে হয়েছিল। সরকার যদি কৃষকদের কথা না ভেবে এভাবে তেল-সারের দাম বাড়ায়, তাহলে কৃষকেরা আওয়ামী লীগ সরকারকেও ভয় পাবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষি অফিস দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার বন্ধে প্রচার চালাচ্ছে। ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধিতে চাষে কোনো প্রভাব পড়বে না। কৃষকেরা ইউরিয়ার পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহার করতে পারবেন।
তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষকদের কীভাবে সহযোগিতা করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি। নির্দেশনা পেলে কৃষকদের সেভাবে সহযোগিতা করা হবে।
মাগুরা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এ মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও অনাবৃষ্টির কারণে তা জাগ দিতে সমস্যা হয়েছে। তবে আমন, রোপা ধানের জন্য সেচ খুব দরকার। সেচ অব্যাহত না থাকলে ধানের উৎপাদন আশানুরূপ হবে না। তাঁরা কৃষকদের এ বিষয়ে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রাকৃতিক পানির উৎস থেকে সেচের ব্যবস্থা করা গেলে খরচ অনেকটা কমবে।
বৃষ্টি না হওয়ায় সেচনির্ভর হয়ে গেছে এবারের আমন চাষ। কিন্তু ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে সেচে ভাটা পড়েছে। তেল মিললেও বাড়তি খরচে দিশেহারা মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গার কৃষকেরা। এর মধ্যে বিদ্যুৎবিভ্রাট। এদিকে পাটের ভালো ফলন হলেও জাগ দেওয়ার পানির অভাব। কয়েক দিন আগে বেড়েছে ইউরিয়া সারের দাম।
কৃষকেরা বলছেন, এবার ধান চাষের খরচ অনেক বাড়বে। কারণ, খরা চলছে। আউশ ও আমন ধান সেচের পানি দিয়ে রোপণ করা হচ্ছে। নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে সব সময় সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। ডিজেলচালিত মেশিনের মাধ্যমে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে তেলের দাম বাড়ল। কিছুদিন আগে সারের দাম বেড়েছে।
মাগুরার আমজাদ আলীর ৮০ টাকা লিটার ডিজেলে এক বিঘা জমিতে ধান চাষে চার মাসে খরচ ছিল ৪০০ টাকা। গতকাল শনিবার সকালে সদর উপজেলার মঘী এলাকায় গিয়ে দেখেন সেচ বন্ধ। কারণ হিসেবে জানতে পারেন, সেচযন্ত্রের মালিক তেলের খরচ লিটারে ৩৪ টাকা বাড়তি বলে আগের খরচে সেচ দিতে পারবেন না। তেলের নতুন দাম অনুসারে প্রতি বিঘা জমিতে ৪০০ টাকার বদলে ৬০০ টাকা না দিলে তিনি সেচযন্ত্র চালাতে অক্ষম।
এই কৃষক বলেন, এখন ঘন ঘন সেচ দরকার। ১৫ বিঘা জমিতে তাঁর এখন বাড়তি ২০০ টাকা করে দিতে হবে। তাই সেচ আপাতত বন্ধ রেখেছেন। এত টাকার সেচ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত ধান না পেলে দেনায় ডুবে যাবেন।
সদর উপজেলার কছুন্দি ইউনিয়নের কৃষক বাশার মুন্সি বলেন, ‘তেলের দাম এত বৃদ্ধি কখনো দেখিনি। এখন আমাদের জন্য সেচ দিয়ে ঘরে ধান তুলে আনাটা খুবই কঠিন হয়ে যাবে। তেলের জন্য খরচ যে পরিমাণ বেড়েছে, তা মেটাতে গেলে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে।’
মাগুরা সদর উপজেলার আবালপুর, ডেফুলিয়া, ছোটফালিয়া, আলাইপুর এলাকার মাঠে সেচ চললেও স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সকাল থেকে অনেক মাঠে সেচ বন্ধ রয়েছে। নতুন তেলের দাম অনুসারে যাঁরা টাকা পরিশোধ করবেন না, তাঁদের সেচ চলছে না। আবার দুদিন বৃষ্টি হলেও তা খুবই সামান্য বলে সেচ ছাড়া আমন, রোপা ধান ঘরে উঠবে না।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের কৃষক দেলু বলেন, সেচযন্ত্রের মালিকেরা এবার সেচের টাকা বাড়াবেন। না বাড়িয়ে তো আর কোনো উপায় নেই। এবার ধান চাষ নিয়ে কৃষকেরা বিপদে পড়বেন। সরকার আউশ ও আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময় তেলের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের বিপদে ফেলেছে।
একই গ্রামের কৃষক ঠান্ডু বলেন, খরার বছরে তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা বিপদে পড়েছে। ধানসহ ফসলের দাম না বাড়লে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বেন। সরকারের উচিত কৃষকের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের চাষি রমজান বলেন, কিছুদিন আগে সারের দাম বাড়ল। কয়েক দিনের মধ্যে ডিজেলের দাম বাড়ল। তেলের দাম বাড়ার কারণে শ্রমিক ও পরিবহন খরচ বাড়ছে। ফসলের দাম না বাড়লে কৃষকেরা বিপদে পড়বেন। তিনি আরও বলেন, তাঁদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করেন। এ জন্য ডিজেল প্রয়োজন। সরকারের উচিত ছিল কৃষকদের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
নাম প্রকাশ না করে এক কৃষক বলেন, ‘চাষিরা বিএনপি সরকারকে ভয় পান। বিএনপির আমলে সার-তেলের জন্য লাইন দিতে হয়েছিল। সরকার যদি কৃষকদের কথা না ভেবে এভাবে তেল-সারের দাম বাড়ায়, তাহলে কৃষকেরা আওয়ামী লীগ সরকারকেও ভয় পাবে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষি অফিস দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার বন্ধে প্রচার চালাচ্ছে। ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধিতে চাষে কোনো প্রভাব পড়বে না। কৃষকেরা ইউরিয়ার পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহার করতে পারবেন।
তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষকদের কীভাবে সহযোগিতা করা হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি। নির্দেশনা পেলে কৃষকদের সেভাবে সহযোগিতা করা হবে।
মাগুরা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, এ মৌসুমে পাটের ফলন ভালো হলেও অনাবৃষ্টির কারণে তা জাগ দিতে সমস্যা হয়েছে। তবে আমন, রোপা ধানের জন্য সেচ খুব দরকার। সেচ অব্যাহত না থাকলে ধানের উৎপাদন আশানুরূপ হবে না। তাঁরা কৃষকদের এ বিষয়ে নানা রকম পরামর্শ দিচ্ছেন। প্রাকৃতিক পানির উৎস থেকে সেচের ব্যবস্থা করা গেলে খরচ অনেকটা কমবে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪