Ajker Patrika

খুলনায় খুঁটি না সরিয়েই নালা নির্মাণ, ক্ষোভ

শেখ আবু হাসান, খুলনা
খুলনায় খুঁটি না সরিয়েই নালা নির্মাণ, ক্ষোভ

মহানগরী খুলনার দৌলতপুরে সরকারি ব্রজলাল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (বিএল কলেজ) সড়কের নালা (ড্রেন) নির্মাণকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। খুঁটি অপসারণ না করেই নালা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। এভাবে নালা নির্মাণ করা হলে পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যদিও বিদ্যুতের খুঁটি দ্রুত অপসারণের জন্য কেসিসি কর্তৃপক্ষ ওয়েস্ট জোন পাওয়ার কোম্পানিকে (ওজোপাডিকো) বারবার অনুরোধ করেছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার পর্যন্ত খুঁটি অপসারণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি ওজোপাডিকো। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। 

স্থানীয় অধিবাসীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, সরকারি বিএল কলেজের সামনের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। একই সঙ্গে বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের জন্য উন্নত কোনো পয়োনিষ্কাশনের ব্যবস্থা ছিল না। যে কারণে কলেজে আগত শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ ওই এলাকার মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে। বড় বড় খানাখন্দ, উঁচু-নিচু গর্ত আর সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। দৌলতপুর বাজার মোড় থেকে নতুন রাস্তার ট্যাংক-লরি মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত। এ সড়কের পাশে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন। খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকের হস্তক্ষেপে অবশেষে সরকারি বিএল কলেজের পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নতকরণের কাজ শুরু হয়ে ইতিমধ্যে ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

কেসিসি সূত্রে জানা যায়, জলাবদ্ধতা নিরসনে পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নতিকল্পে বিএল কলেজ সড়কে আরসিসি পয়োনালা নির্মাণ প্রকল্প খাতে ৩ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ের কাজ চলমান। ইতিমধ্যে যার ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তারা আশাবাদী, দ্রুত সময়ের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন করে বিএল কলেজের সামনের সড়কের কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই ওই সড়কের টেন্ডার ও ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে।

কাজের ঠিকাদার মো. জাকির হোসেন বলেন, এই বিদ্যুৎ পোল অপসারণের জন্য কাজ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু তারা তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় নালা (ড্রেন) নির্মাণকাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হচ্ছে এই বিদ্যুৎ পোলের জন্য। তবে ইতিমধ্যে এসব পোল ও ট্রান্সমিটার অপসারণের জন্য বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নিয়েছে। এখন ঠিকাদার মাঠপর্যায়ে এসে পোল অপসারণ করলেই ড্রেনের কাজ আবারও পুরোদমে শুরু করা হবে। এক কিলোমিটার দীর্ঘ নালার বাকি কাজ বিদ্যুতের খুঁটি অপসারণের মাধ্যমে শিগগিরই সম্পন্ন করা হবে বলে তিনি জানান।

কেসিসির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মশিউজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, নালার ভেতরে বিদ্যুৎ পোল থাকায় কাজ করতে পারছেন না ঠিকাদার। এ জন্য ওজোপাডিকোকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও কাজের কাজ তেমন হচ্ছে না। এ সমস্যা শুধু বিএল কলেজ সড়কে নয়, নগরীজুড়েই শতাধিক পোল তাদের ড্রেনের কাজে বাধা হয়ে আছে। তবে খুব শিগগির এই পোল অপসারণ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

ড্রেন থেকে বিদ্যুতের খুঁটি সরানোর বিষয়ে ওজোপাডিকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পোল সরানোর বিষয়ে আমরা চিঠি পেয়েছি। কিন্তু শুধু চিঠি পেলে তো হবে না। পোল সরানোর খরচের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তিনি আরও বলেন, কেসিসি ও ওজোপাডিকোর মধ্যে সমন্বয় করে পোল সরাতে হবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত