Ajker Patrika

সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

নূর ইসরাত জাহান তাজিন
আপডেট : ২৩ জুলাই ২০২২, ০৯: ৪৭
সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি

বিসিএস লিখিত পরীক্ষার মোট ৯০০ নম্বরের মধ্যে সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের জন্য বরাদ্দ নম্বর হলো ১০০। সময় ৩ ঘণ্টা। এ বিষয়ের ১০০ নম্বরকে সিলেবাসে তিনটি মূল অংশে ভাগ করা হয়েছে। সাধারণ বিজ্ঞান ৬০, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ২৫ এবং ইলেকট্রিকাল ও ইলেকট্রনিক প্রযুক্তি ১৫। পরীক্ষায় সাধারণ বিজ্ঞান অংশে সাধারণত ৮টি মূল প্রশ্নের অধীন একাধিক ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। নম্বর বণ্টন একেক প্রশ্নের জন্য একেক রকম। দ্বিতীয় অংশে, অর্থাৎ কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে সাধারণত ২.৫ নম্বর করে ১০টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয় এবং শেষ অংশে ২.৫ করে মোট ৬টি প্রশ্নের উত্তর করতে হয়।

সাধারণ বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ের প্রস্তুতিকে আমরা কয়েকটি অংশে ভাগ করতে পারি

  •  প্রথমত, বিগত পরীক্ষার প্রশ্ন সমাধান করতে হবে। এটা অত্যন্ত জরুরি। সম্ভব হলে একবার করে লিখে ফেলতে হবে। এতে করে পরীক্ষায় সাধারণত কী ধরনের প্রশ্ন আসতে পারে, সে বিষয়ে স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হবে। ভালো হয়, বিগত প্রশ্ন থেকে টপিকভিত্তিক প্রশ্নগুলো আলাদা করে লিখে ফেলা। টপিকগুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা লাভের জন্য বোর্ড বই, ইউটিউব কিংবা ইন্টারনেটের সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া সিলেবাস ধরে কী কী প্রশ্ন আসতে পারে তা গাইডের সহায়তা নিয়ে লিখে রাখলে পরে পরীক্ষার আগে নিজের প্রস্তুতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
  • Part-A অংশের জন্য নবম-দশম শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই থেকে সিলেবাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ অধ্যায়গুলো ভালোভাবে পড়ে ফেলতে হবে। যাঁরা অনেক বেশি ডিটেইল পড়তে চান, তাঁরা পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান বইও দেখতে পারেন। সহায়ক বই থেকে জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো সমাধান করতে পারলে পরীক্ষায় ভালো নম্বর প্রাপ্তির আশা করা যায়।
  •  বিজ্ঞানের উল্লেখযোগ্য টপিকগুলোর মধ্যে রয়েছে আলো, শব্দ, চুম্বকত্ব, অ্যাসিড, ক্ষার ও লবণ, পানি, বায়ুমণ্ডল, খাদ্য ও পুষ্টি, জৈব প্রযুক্তি, রোগ ও স্বাস্থ্য পরিচর্যা প্রভৃতি।
  • PART-B, অর্থাৎ কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশের জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেকটাই সাহায্য করে। এ বিষয়ে ভালো করতে সিলেবাসের টপিক ধরে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এ জন্য নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির আইসিটি বই এবং ইউটিউবের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে।
  • যাঁরা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নন কিংবা বিজ্ঞানে দুর্বল তাঁরা part-c অংশের প্রস্তুতির জন্য কেবল বিগত প্রশ্ন পড়বেন এবং বিগত প্রশ্নের সঙ্গে-সম্পর্কিত টপিক ও সংজ্ঞা পড়বেন। কিন্তু যাঁরা এ বিষয়ে ভালো নম্বর তুলতে চান, তাঁরা নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান বই থেকে টপিক ধরে প্রতিটি বিষয় অনুশীলন করবেন। 
  •  লিখিত পরীক্ষার সিলেবাস বারবার রিডিং পড়ে যে টপিকগুলো ভালোভাবে শেষ হয়েছে এবং যেগুলো শেষ হয়নি, তা চিহ্নিত করতে হবে। অপেক্ষাকৃত কম জানা টপিকগুলো কারও সাহায্য নিয়ে ভালোভাবে বুঝে নিতে হবে।
  • গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা ও চিত্র নোট করতে হবে
  •  বিজ্ঞানে অনেক প্রশ্নের উত্তর করতে হয়। তাই দ্রুত ও সংক্ষেপে সঠিক উত্তর লিখতে হবে। অযাচিত কথাবার্তা লেখা যাবে না। অবশ্যই সব প্রশ্নের উত্তর 
        দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তাই উত্তর বেশি বড় করে লেখা যাবে না। 
  • প্রশ্নের সংখ্যা বেশি থাকে বিধায় সিরিয়াল মেনটেইন করে লেখা উচিত এবং কত নম্বর প্রশ্নের উত্তর তা নীল কালি দিয়ে লেখা উচিত। দুটি প্রশ্নের মাঝে পর্যাপ্ত গ্যাপ রাখতে হবে।
  • প্রথম ৮০ মিনিটে part-C (৩০ মিনিট) part-B (৫০ মিনিট) এবং পরবর্তী ১০০ মিনিটে part-A অংশের উত্তর করার চেষ্টা করতে হবে।
  • সার্বিকভাবে বলতে গেলে, বিগত প্রশ্ন পড়লে ২০-৩০ ভাগ, বিগত প্রশ্নের সঙ্গে রিলেটেড টপিক পড়লে ৫০-৬০ ভাগ, যেকোনো গাইডের সহায়তা নিলে ৬০-৮০ ভাগ এবং নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বইয়ের সহায়তায় সিলেবাসভিত্তিক পড়াশোনা করলে শতভাগ প্রস্তুতি গ্রহণ করা যায়। আর পরীক্ষার হলে অল্প কথায় সঠিকভাবে শতভাগ উত্তর করতে পারলে এ বিষয়ে ৮০-৯০ নম্বর তোলা সম্ভব।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন

ব্যাংকে চোখ বেঁধে গ্রাহককে হাতুড়িপেটা, পায়ের নখ তোলার চেষ্টা

‘সোজা কথা, যারে ভালো লাগবে তারে কোপামু’

শুল্ক ছাড়া যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ পেল ভারত

সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে পারে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত