Ajker Patrika

ডায়রিয়ায় কাবু শিশুরা

এস আলম সুমন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
আপডেট : ২৮ মার্চ ২০২২, ১৫: ৩১
Thumbnail image

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বাড়ছে ডায়রিয়ায় ও নিউমোনিয়া রোগ আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে। এর মধ্যে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। গত ৯ দিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছে প্রায় ৯০টি শিশু। শীতের শেষের গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত তাপমাত্রায় শিশুদের নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় প্রকোপ দেখা দিয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা।

হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের কাঠালতলী এলাকার এক বছর বয়সী নুসরাত। তার মা সেলিনা বেগম বলেন, ‘দুই দিন আগে আমার মেয়ে ডায়রিয়ায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তার বলেছেন কয়েক দিনের মধ্যে ডায়রিয়া কমে যাবে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্যমতে, ১৯ থেকে ২৭ মার্চ দুপুর পর্যন্ত জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয় ৯০টি শিশু। এর মধ্যে ১৯ মার্চ ১০টি, ২০ মার্চ ১১, ২১ মার্চ ৯, ২২ মার্চ ১৩, ২৩ মার্চ ৯, ২৪ মার্চ ৮, ২৫ মার্চ ১২, ২৬ মার্চ ১১ ও ২৭ মার্চ দুপুর পর্যন্ত ৭টি শিশু জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেয়।

 গতকাল রোববার পর্যন্ত হাসপাতালের আবাসিক মহিলা ওয়ার্ডে ২১টি নিউমোনিয়া ও ৩০টি ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী ভর্তি রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ডায়রিয়া আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা চলছে।

উত্তর কুলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা লিমা বেগম বলেন, ‘আমার ৯ মাসের শিশু মোজাহিদুল ইসলামের প্রচণ্ড ডায়রিয়া হওয়ায় হাসপাতালে গত সোমবারে ভর্তি করাই।’

দানাপুর গ্রামের বাসিন্দা রেশমা বেগম জানান, ৯ মাসের শিশু শাহরিয়া আহমেদকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তিনি বলেন, ‘প্রথমে বমি হওয়ার পর খিঁচুনি দিয়ে জ্বর উঠে আমার মেয়ের। পরে গত বুধবার থেকে ডায়রিয়া শুরু হয়েছে।’

কোটাগাঁও এলাকার বাসিন্দা ফাহিমা আক্তার বলেন, ‘আমার এক মাস বয়সী মেয়ে মোসকান জান্নাত ২০ মার্চ হঠাৎ করে খিঁচুনি দিয়ে জ্বর ওঠে। হাসপাতালে নিলে ডাক্তার পরীক্ষা করতে বলেন। রিপোর্টে তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে।’

দুই বছরের শিশু তালহার মা বেহালা গ্রামের বাসিন্দা শাপলা বেগম বলেন, ‘আমার বাচ্চার কাঁপুনি দিয়ে জ্বর ওঠে এক সপ্তাহ আগে। টেস্ট করালে তার নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর এখন কিছুটা সুস্থ হয়েছে আমার ছেলে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ফেরদৌস আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন থেকে খাদ্যাভ্যাস ও তীব্র গরমে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। আমরা সার্বক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি রোগী ও হাসপাতালে বহির্বিভাগের আগত শিশু রোগীসহ অন্য রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত