নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা এবং ফুলছড়ি ও সাঘাটা (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
ভোটের দিনের আমেজ বলতে যা বোঝায়, তার পুরোটাই ছিল। সেসব রেওয়াজের হেরফের হয়নি এতটুকু। ভোট দিয়ে দিনের কাজ শুরু করতে সকাল-সকাল ভোটকেন্দ্রে গেছেন পুরুষ ভোটাররা। আবার গৃহস্থালি সেরে হালকা সাজগোজে খানিকটা বেলা করে ভোটকেন্দ্রের দিকে পা বাড়িয়েছেন নারী ভোটাররাও।
ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি, কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প, কর্মী-সমর্থক, ভোটার এবং উৎসুক জনতার ভিড়—খালি চোখে ধরা পড়েনি তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা। কিন্তু সকালের সূর্য হেলে পড়তে না পড়তেই উৎসবের আয়োজনে ছেদ পড়ল। সবাই বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন তুলল, কেন বাতিল হলো নির্বাচন? তাহলে কি বাইরে সব ঠিকঠাক রেখে ভেতরে-ভেতরে কারসাজি হচ্ছিল?
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের নির্বাচনে কী এমন হয়েছিল যে ভোট বাতিল করতে হলো, আজকের পত্রিকার দুজন স্থানীয় প্রতিনিধি এ নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন। তাঁরা কথা বলেছেন প্রার্থী, ভোটারসহ ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লোকজনের সঙ্গে। কেউ বলেছেন, বাইরে সবকিছু ঠিকঠাক দেখালেও বুথের ভেতরে জালিয়াতি হয়েছে। মানুষ নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও ইসির কথায় পাত্তা দেননি। আবার কেউ বলেছেন, ইভিএম প্রতিষ্ঠা করতে এটি ইসির কারসাজি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন আপনারাও দেখেছেন, আমরাও দেখেছি। এ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা নিয়ে জনগণের মনে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। কেউ আনন্দ পেয়েছেন, কেউ ব্যথিত হয়েছেন, কেউ সাধুবাদ জানিয়েছেন। আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ করেছি। সে বিষয়টা হয়তো অনেকের জানা নেই। আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
১২ অক্টোবর এই ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল আটটায়। মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে অর্ধশত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়ম দেখতে পায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় তৎক্ষণাৎ। বেলা আড়াইটার দিকে ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ায় সম্পূর্ণ নির্বাচনটিই স্থগিত করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ওই দিন সকাল আটটায় ফুলছড়ি উপজেলার কাঠুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছিলেন আজকের পত্রিকার ফুলছড়ি প্রতিনিধি। তিনি বাইরে থেকে দেখেন, সুশৃঙ্খলভাবে সারিতে দাঁড়িয়েছেন ভোটাররা। পুরুষ ও নারী ভোটারদের জন্য ছিল আলাদা সারি। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের (আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি) বাইরে অন্য প্রার্থীর এজেন্টরাও ছিলেন যথারীতি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনেকে প্রথমবার ভোট দিয়েছেন, আবার জটিলতার কারণে কেউ কেউ ভোট না দেওয়ার কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এই কেন্দ্রে আসা ভোটার আব্দুল মজিদ প্রধান বললেন, ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোট দেওয়া অনেক সহজ। আবার ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি পূর্ব ছালুয়া গ্রামের আয়শা বেগম (৬৫)। তিনি বলেন, ‘আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারছি না। স্যারদের কথায় হাত ধুয়ে এলাম, তবু হলো না।’
ভোট স্থগিতের নির্দেশনা আসা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৯১১ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সারি না মেনে অনেকে ভোটকেন্দ্রের সামনে জটলা তৈরি করছেন। পরে ভোটারদের সারির ব্যবস্থা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু লাইচ মো. ইলিয়াস জিকু আধা ঘণ্টা অবস্থান করে চলে যান।
বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া সেদিন আজকের পত্রিকা বলেন, ভোটকক্ষের সামনে জটলা দেখে নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন দিয়েছিল। এরপর সারি ঠিক করে দেন।
বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন, ভোট জালিয়াতির কারণে ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের জটলা। ওই কেন্দ্রের নিচতলায় নারী ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। নারীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। দোতলায় উঠে পুরুষ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের জিজ্ঞেস করতেই বললেন, নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করে দিয়েছে।
ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাড়ে নয়টার দিকে আমাকে নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনার কেন্দ্রের ৪ নম্বর বুথে একজন ভোটারের সঙ্গে দুজন লোক ঢুকছে। আমি দেখি, তারা দুজনেই ওই কক্ষের ভোটার। কিন্তু একসঙ্গে বুথে ঢুকেছে। এ সময় আমি একজনকে সেখান থেকে বের করে দিই। এর কিছুক্ষণ পর নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ফোন করে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখার কথা বলা হয়। তাই ভোট গ্রহণ স্থগিত রেখেছি।’
একজনের ভোট অন্যজন দিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। তবে দুজন একসঙ্গে বুথে ঢুকেছিল।
ওই কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অর্চনা রানী মণ্ডল বলেন, একজন ভোটারের সঙ্গে আরেকজন গিয়েছিল, এটা তেমন কোনো অন্যায় নয়।
কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন করে ভোট বন্ধ করেছে, আর কোনো ঝামেলা হয়নি।
ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করা ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে ভোট দিতে না পেরে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। আলম মিয়া (৫০) নামের এক ভোটার বলেন, প্রথমে তারা বলল, মেশিনে সমস্যা হয়েছে, পরে বলল স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিহাদুর রহমান মওলা বলেন, ‘আমরা শুনতে পেলাম, দুজন লোক একসঙ্গে বুথে ঢোকার কারণে ভোট বন্ধ করেছে। এটা ভোট বন্ধের কোনো কারণ হতে পারে না।’
ভোট স্থগিতের ঘটনায় সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ভোটারদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। ভোটারদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ভোটকেন্দ্রে তো কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি। হঠাৎ ভোট বন্ধ হলো কেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। ওপরের নির্দেশে তাঁদের কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ভোট স্থগিত ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া চার প্রার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছিলেন। এটা প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা বুঝতে পেরে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে চার প্রার্থী একযোগে নির্বাচন বর্জন করেন। আর নির্বাচন কমিশন তাঁদের খুশি করতে ভোট বন্ধ ঘোষণা করে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু সেদিন বলেছিলেন, ‘ইভিএম অকেজো হয়ে যাওয়ায় নিজের ভোট দিতে পারিনি। ভোট না দিয়েই ফিরে এসেছি।’ উপনির্বাচন স্থগিতের এক দিন পর বিরোধী দলের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি আমার ভোট দেওয়ার জন্য সকালে কাজী আজাহার উচ্চবিদ্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, আমার বুথে অনেক লোক। কে ভোটার, কে এজেন্ট, কে নির্বাচন কর্মকর্তা—বোঝার উপায় নেই। বুথে কোনো শৃঙ্খলা নেই। সেখানে ভোট দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশও ছিল না।’
ফুলছড়ির একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেদিনই বিবিসিকে বলেন, তাঁর কেন্দ্রে ২ হাজার ৩০০ ভোটার রয়েছেন। কিন্তু বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৫৪০টি ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সকাল ১০টার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তাঁদের সঙ্গে পুলিশ ছিল। তাঁরা এসে অন্য প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেন।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন যে এখানে একটা পেশিশক্তি কাজ করছে। আমাদের করার কিছুই থাকছে না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইভিএমের বিষয়ে আগেও বলেছি। এটা প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে দুর্বল মেশিন। এ যন্ত্রে যেকোনোভাবে কারচুপি করা সম্ভব। গাইবান্ধায় যা ঘটেছে, সেটা চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। আমার কাছে মনে হয়েছে, এখানে ইসির কারসাজি রয়েছে। ইভিএমকে পুনর্বাসন করতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি।’
ভোটের দিনের আমেজ বলতে যা বোঝায়, তার পুরোটাই ছিল। সেসব রেওয়াজের হেরফের হয়নি এতটুকু। ভোট দিয়ে দিনের কাজ শুরু করতে সকাল-সকাল ভোটকেন্দ্রে গেছেন পুরুষ ভোটাররা। আবার গৃহস্থালি সেরে হালকা সাজগোজে খানিকটা বেলা করে ভোটকেন্দ্রের দিকে পা বাড়িয়েছেন নারী ভোটাররাও।
ভোটকেন্দ্রে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি, কেন্দ্রের বাইরে প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প, কর্মী-সমর্থক, ভোটার এবং উৎসুক জনতার ভিড়—খালি চোখে ধরা পড়েনি তেমন কোনো বিশৃঙ্খলা ও অপ্রীতিকর ঘটনা। কিন্তু সকালের সূর্য হেলে পড়তে না পড়তেই উৎসবের আয়োজনে ছেদ পড়ল। সবাই বিস্ময়ের সঙ্গে প্রশ্ন তুলল, কেন বাতিল হলো নির্বাচন? তাহলে কি বাইরে সব ঠিকঠাক রেখে ভেতরে-ভেতরে কারসাজি হচ্ছিল?
গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের নির্বাচনে কী এমন হয়েছিল যে ভোট বাতিল করতে হলো, আজকের পত্রিকার দুজন স্থানীয় প্রতিনিধি এ নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন। তাঁরা কথা বলেছেন প্রার্থী, ভোটারসহ ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা লোকজনের সঙ্গে। কেউ বলেছেন, বাইরে সবকিছু ঠিকঠাক দেখালেও বুথের ভেতরে জালিয়াতি হয়েছে। মানুষ নিজের ভোট পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। একই সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনও ইসির কথায় পাত্তা দেননি। আবার কেউ বলেছেন, ইভিএম প্রতিষ্ঠা করতে এটি ইসির কারসাজি।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন আপনারাও দেখেছেন, আমরাও দেখেছি। এ নিয়ে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যা নিয়ে জনগণের মনে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। কেউ আনন্দ পেয়েছেন, কেউ ব্যথিত হয়েছেন, কেউ সাধুবাদ জানিয়েছেন। আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রত্যক্ষ করেছি। সে বিষয়টা হয়তো অনেকের জানা নেই। আমরা হঠকারী কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি।’
১২ অক্টোবর এই ভোট গ্রহণ শুরু হয় সকাল আটটায়। মাত্র সাড়ে চার ঘণ্টার মধ্যে অর্ধশত কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে অনিয়ম দেখতে পায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এসব কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয় তৎক্ষণাৎ। বেলা আড়াইটার দিকে ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাওয়ায় সম্পূর্ণ নির্বাচনটিই স্থগিত করে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন।
ওই দিন সকাল আটটায় ফুলছড়ি উপজেলার কাঠুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছিলেন আজকের পত্রিকার ফুলছড়ি প্রতিনিধি। তিনি বাইরে থেকে দেখেন, সুশৃঙ্খলভাবে সারিতে দাঁড়িয়েছেন ভোটাররা। পুরুষ ও নারী ভোটারদের জন্য ছিল আলাদা সারি। প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দলের (আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি) বাইরে অন্য প্রার্থীর এজেন্টরাও ছিলেন যথারীতি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) অনেকে প্রথমবার ভোট দিয়েছেন, আবার জটিলতার কারণে কেউ কেউ ভোট না দেওয়ার কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এই কেন্দ্রে আসা ভোটার আব্দুল মজিদ প্রধান বললেন, ব্যালটের চেয়ে ইভিএমে ভোট দেওয়া অনেক সহজ। আবার ভোট দিতে এসে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারেননি পূর্ব ছালুয়া গ্রামের আয়শা বেগম (৬৫)। তিনি বলেন, ‘আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট দিতে পারছি না। স্যারদের কথায় হাত ধুয়ে এলাম, তবু হলো না।’
ভোট স্থগিতের নির্দেশনা আসা পর্যন্ত এই কেন্দ্রে ২ হাজার ৩৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৯১১ জন ভোট দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিজানুর রহমান। সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, সারি না মেনে অনেকে ভোটকেন্দ্রের সামনে জটলা তৈরি করছেন। পরে ভোটারদের সারির ব্যবস্থা করেন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু লাইচ মো. ইলিয়াস জিকু আধা ঘণ্টা অবস্থান করে চলে যান।
বুড়াইল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মিন্টু মিয়া সেদিন আজকের পত্রিকা বলেন, ভোটকক্ষের সামনে জটলা দেখে নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন দিয়েছিল। এরপর সারি ঠিক করে দেন।
বেলা ১১টার দিকে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে পারেন, ভোট জালিয়াতির কারণে ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের জটলা। ওই কেন্দ্রের নিচতলায় নারী ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। নারীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ভোট দিচ্ছেন। দোতলায় উঠে পুরুষ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তা বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের জিজ্ঞেস করতেই বললেন, নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করে দিয়েছে।
ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সজন সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাড়ে নয়টার দিকে আমাকে নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন করে বলা হয়, আপনার কেন্দ্রের ৪ নম্বর বুথে একজন ভোটারের সঙ্গে দুজন লোক ঢুকছে। আমি দেখি, তারা দুজনেই ওই কক্ষের ভোটার। কিন্তু একসঙ্গে বুথে ঢুকেছে। এ সময় আমি একজনকে সেখান থেকে বের করে দিই। এর কিছুক্ষণ পর নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ফোন করে ভোট গ্রহণ স্থগিত রাখার কথা বলা হয়। তাই ভোট গ্রহণ স্থগিত রেখেছি।’
একজনের ভোট অন্যজন দিচ্ছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। তবে দুজন একসঙ্গে বুথে ঢুকেছিল।
ওই কেন্দ্রের ৪ নম্বর কক্ষের সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা অর্চনা রানী মণ্ডল বলেন, একজন ভোটারের সঙ্গে আরেকজন গিয়েছিল, এটা তেমন কোনো অন্যায় নয়।
কেন্দ্রের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশের উপপরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে ফোন করে ভোট বন্ধ করেছে, আর কোনো ঝামেলা হয়নি।
ফুলছড়ি সরকারি পাইলট উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে ভিড় করা ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে ভোট দিতে না পেরে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন। আলম মিয়া (৫০) নামের এক ভোটার বলেন, প্রথমে তারা বলল, মেশিনে সমস্যা হয়েছে, পরে বলল স্থগিত করা হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য জিহাদুর রহমান মওলা বলেন, ‘আমরা শুনতে পেলাম, দুজন লোক একসঙ্গে বুথে ঢোকার কারণে ভোট বন্ধ করেছে। এটা ভোট বন্ধের কোনো কারণ হতে পারে না।’
ভোট স্থগিতের ঘটনায় সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ভোটারদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করেছে। ভোটারদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ভোটকেন্দ্রে তো কোনো সমস্যার কথা শোনা যায়নি। হঠাৎ ভোট বন্ধ হলো কেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা জানান, ভোটকেন্দ্রে তেমন কোনো সমস্যা ছিল না। ওপরের নির্দেশে তাঁদের কেন্দ্রগুলো বন্ধ করা হয়েছে।
এদিকে ভোট স্থগিত ঘোষণা করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছাড়া চার প্রার্থী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের দাবি, ভোটাররা শান্তিপূর্ণভাবে নৌকা মার্কায় ভোট দিচ্ছিলেন। এটা প্রতিপক্ষের প্রার্থীরা বুঝতে পেরে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন। পরে তাঁরা ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের মিথ্যা অভিযোগ তুলে চার প্রার্থী একযোগে নির্বাচন বর্জন করেন। আর নির্বাচন কমিশন তাঁদের খুশি করতে ভোট বন্ধ ঘোষণা করে।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী গোলাম শহীদ রঞ্জু সেদিন বলেছিলেন, ‘ইভিএম অকেজো হয়ে যাওয়ায় নিজের ভোট দিতে পারিনি। ভোট না দিয়েই ফিরে এসেছি।’ উপনির্বাচন স্থগিতের এক দিন পর বিরোধী দলের এই প্রার্থী বলেন, ‘আমি আমার ভোট দেওয়ার জন্য সকালে কাজী আজাহার উচ্চবিদ্যালয়ে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, আমার বুথে অনেক লোক। কে ভোটার, কে এজেন্ট, কে নির্বাচন কর্মকর্তা—বোঝার উপায় নেই। বুথে কোনো শৃঙ্খলা নেই। সেখানে ভোট দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশও ছিল না।’
ফুলছড়ির একটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেদিনই বিবিসিকে বলেন, তাঁর কেন্দ্রে ২ হাজার ৩০০ ভোটার রয়েছেন। কিন্তু বেলা দেড়টা পর্যন্ত ৫৪০টি ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সকাল ১০টার পর থেকেই স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন, তাঁদের সঙ্গে পুলিশ ছিল। তাঁরা এসে অন্য প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেন।’ ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পরিস্থিতি এমন যে এখানে একটা পেশিশক্তি কাজ করছে। আমাদের করার কিছুই থাকছে না।’
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ইভিএমের বিষয়ে আগেও বলেছি। এটা প্রযুক্তিগত জায়গা থেকে দুর্বল মেশিন। এ যন্ত্রে যেকোনোভাবে কারচুপি করা সম্ভব। গাইবান্ধায় যা ঘটেছে, সেটা চাইলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ করতে পারত। আমার কাছে মনে হয়েছে, এখানে ইসির কারসাজি রয়েছে। ইভিএমকে পুনর্বাসন করতেই এই পরিস্থিতির সৃষ্টি।’
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৫ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।
ভোটের দিনের আমেজ বলতে যা বোঝায়, তার পুরোটাই ছিল। সেসব রেওয়াজের হেরফের হয়নি এতটুকু। ভোট দিয়ে দিনের কাজ শুরু করতে সকাল-সকাল ভোটকেন্দ্রে গেছেন পুরুষ ভোটাররা। আবার গৃহস্থালি সেরে হালকা সাজগোজে খানিকটা
১৫ অক্টোবর ২০২২‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]
ভোটের দিনের আমেজ বলতে যা বোঝায়, তার পুরোটাই ছিল। সেসব রেওয়াজের হেরফের হয়নি এতটুকু। ভোট দিয়ে দিনের কাজ শুরু করতে সকাল-সকাল ভোটকেন্দ্রে গেছেন পুরুষ ভোটাররা। আবার গৃহস্থালি সেরে হালকা সাজগোজে খানিকটা
১৫ অক্টোবর ২০২২গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৫ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।
ভোটের দিনের আমেজ বলতে যা বোঝায়, তার পুরোটাই ছিল। সেসব রেওয়াজের হেরফের হয়নি এতটুকু। ভোট দিয়ে দিনের কাজ শুরু করতে সকাল-সকাল ভোটকেন্দ্রে গেছেন পুরুষ ভোটাররা। আবার গৃহস্থালি সেরে হালকা সাজগোজে খানিকটা
১৫ অক্টোবর ২০২২গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৫ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।
ভোটের দিনের আমেজ বলতে যা বোঝায়, তার পুরোটাই ছিল। সেসব রেওয়াজের হেরফের হয়নি এতটুকু। ভোট দিয়ে দিনের কাজ শুরু করতে সকাল-সকাল ভোটকেন্দ্রে গেছেন পুরুষ ভোটাররা। আবার গৃহস্থালি সেরে হালকা সাজগোজে খানিকটা
১৫ অক্টোবর ২০২২গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৫ দিন আগে‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫