Ajker Patrika

বহরে যোগ হচ্ছে ১০ জাহাজ

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম
Thumbnail image

বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) বহরে যোগ হচ্ছে আরও ১০টি জাহাজ। প্রায় ছয় হাজার কোটি টাকায় ব্যয়ে এসব জাহাজ কেনার প্রক্রিয়ায় শুরু হয়েছে। এসব জাহাজের মধ্যে রয়েছে দুটি মাদার ট্যাংকার, দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার এবং ছয়টি কনটেইনার ক্যারিয়ার।

১১ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বোট ক্লাবে বিএসসির পরিচালনা পরিষদের ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে জাহাজ কেনার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।

নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘বিএসসি তার অংশীজনদের জাহাজ কেনার স্বপ্ন নয়, বাস্তবায়ন দেখাতে চায়। ইতিমধ্যেই চীন থেকে নতুন চারটি জাহাজ কেনার সব কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে নিয়ে আসা হয়েছে।

চুক্তি স্বাক্ষর হলেই জাহাজ তৈরির কাজ শুরু হবে।’

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, ‘জাহাজ কেনার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গেও আলোচনা এগিয়েছে। এ ছাড়া আরও একটি কোম্পানির সঙ্গে আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করেছি।

সুতরাং, চারটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) এখন আমাদের হাতে আছে। অন্য দুটির সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।’

বিএসসি সূত্র জানায়, চীনের এক্সিম ব্যাংকের সহায়তায় চারটি জাহাজ কেনা হচ্ছে। এই জাহাজের মধ্যে দুটি মাদার ট্যাংকার, দুটি বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ রয়েছে। মাদার ট্যাংকার জাহাজগুলোর প্রতিটির ধারণক্ষমতা ১ লাখ ১৪ হাজার টন এবং বাল্ক ক্যারিয়ার জাহাজ দুটির ধারণক্ষমতা ৮০ হাজার টন করে। এই চারটি জাহাজ নির্মাণে খরচ হবে প্রায় ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।

চারটি জাহাজে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণসহায়তা হিসাবে ২ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা দেবে।বাকি টাকার জোগান দেবে বিএসসি। জাহাজ চারটি কেনার নথি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে খুব দ্রুত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, জিটুজি পদ্ধতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার ডায়াসান শিপ বিল্ডার্স কোম্পানি লিমিটেড থেকে ছয়টি কনটেইনারবাহী জাহাজ কেনার আলোচনা চলছে। এসব জাহাজের প্রতিটিতে তিন হাজার টিইউস কনটেইনার বহনের সক্ষমতা থাকবে।

জাহাজগুলো কিনতে ৩০০ মিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে জানা গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ডায়াসান শিপ বিল্ডার্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সো কিইউন লি 
গত ১৯ জুলাই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবনা দেন।

বিএসসি সূত্র জানায়, ১৯৭২ সালে ‘বাংলার দূত’ ও ১৯৭৩ সালে ‘বাংলার সম্পদ’ জাহাজ দিয়ে যাত্রা শুরু করে বিএসসি। তাদের বহরে ছিল সর্বোচ্চ ৪৪টি জাহাজ। নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ১৯৮০ সালে সেই সংখ্যা নেমে আসে ২৬টিতে। সেই ধারা অব্যাহত থেকে একপর্যায়ে মাত্র দুটি জাহাজ নিয়ে ধুঁকতে থাকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা বিএসসি। পরে ২০১৮ সালে বিএসসির বহরে নতুন ছয়টি জাহাজ যুক্ত করা হয়। বর্তমানে বিএসসিতে মোট আটটি জাহাজ রয়েছে।

জাহাজগুলো হলো জাহাজ ট্র্যাকিং এমটি বাংলার জ্যোতি, এমটি বাংলার সৌরভ, এমভি বাংলার জয়যাত্রা, এমভি বাংলার সমৃদ্ধি, এমভি বাংলার অর্জন, এমটি বাংলার অগ্রগতি, এমটি বাংলার অগ্রযাত্রা এবং এমটি বাংলার অগ্রদূত।

বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজটি বর্তমানে রকেট হামলায় পরিত্যক্ত হয়ে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে রয়েছে। ওই হামলায় নাবিক হাদিসুর নিহত হন। পরে অন্য নাবিকদের ফিরিয়ে আনা হয়।

বিএসসির পরিচালনা পরিষদের ৪৫তম বার্ষিক সাধারণ সভায় জানানো হয়, ২০৩০ সালের আগেই বড় বাল্ক ক্যারিয়ার ও কনটেইনার ক্যারিয়ারসহ কমপক্ষে ২০টি জাহাজ বিএসসির বহরে যুক্ত করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

বিয়ে করলেন সারজিস আলম

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়ছে শ্রীলঙ্কা, ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচ কোথায় দেখবেন

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

সাবেক শিক্ষার্থীর প্রাইভেট কারে ধাক্কা, জাবিতে ১২ বাস আটকে ক্ষতিপূরণ আদায় ছাত্রদলের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত