Ajker Patrika

ভারত ভ্রমণে দীর্ঘ অপেক্ষা

বেনাপোল প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ মে ২০২২, ১১: ৫৬
Thumbnail image

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় ভ্রমণে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারীদের যাতায়াত। গড়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করছেন। তবে দুই পাশেই তাঁদের দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে একেকজনের ৫ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমে আসায় দুই বছর পর চালু হয়েছে ভারতে টুরিস্ট ভিসায় যাওয়া-আসা। এ ছাড়া মেডিকেল, বিজনেস ও শিক্ষা ভিসায় ভ্রমণের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। এতে বেড়েছে ভ্রমণকারীদের যাতায়াত। প্রতিবছর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রায় ২০ লাখ পাসপোর্টধারী মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। তবে এ যাতায়াতের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে সীমাহীন ভোগান্তি। তা ছাড়া ভারত ভ্রমণে ভিসা ফি হিসেবে ভারতীয় দূতাবাসকে ৮৪০ টাকা, ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর ও বন্দর ট্যাক্স আরও ৫০ টাকা করে গুনতে হয়। এসব মানুষের কাছ থেকে ভ্রমণ কর হিসেবে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ১০০ কোটি টাকা।

তবে বন্দরের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ধারণ ক্ষমতা কম। এ কারণে যাত্রী সংখ্যা বাড়লে রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দাঁড়াতে হয় সড়কের ওপর। ভারতের অংশেও ধীর গতিতে ভোগান্তি বেড়েছে। ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে বন্দরে ছাত্রী ছাউনি ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর জনবল বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছে আসছেন ভুক্তভোগীরা।

ভারতগামী কয়েকজন বাংলাদেশি বলেন, নানান অব্যবস্থাপনায় ভোগান্তির মধ্যে আমাদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। যাত্রী ছাউনি না থাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। বন্দরে দালালেরা অতিরিক্ত টাকা নিয়ে লাইন ছাড়া পারাপার করছে। আর যাঁরা টাকা দিচ্ছেন না, তাঁদের লাইন শেষ হচ্ছে না।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি মো. রাজু জানিয়েছেন, ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা সব তুলে নেওয়ায় দুই দেশে যাতায়াত বেড়েছে। গত বুধবার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৩ হাজার ৯১৯ জন যাতায়াত করেছেন। বর্তমানে করোনা টিকার ডাবল ডোজ নেওয়া থাকলে ভারত যাওয়া যাচ্ছে।

বেনাপোল বন্দর থানার ওসি কামাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বন্দর এলাকায় যাত্রীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। দালাল শ্রেণির কারও কাছে যাতে যাত্রীরা পাসপোর্ট ও অর্থ লেনদেন না করেন সতর্ক করা হচ্ছে।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ৈ বলেন, যাত্রী যাতায়াত বাড়ায় দীর্ঘ লাইন হচ্ছে। তবে যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে যাত্রী ছাউনি তৈরিতে জায়গা অধিগ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে।

বেনাপোল বন্দরের সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বাড়ৈ বলেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০০ ট্রাক পণ্য ভারত থেকে আমদানি ও ১৫০ ট্রাক পণ্য ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। দুই দেশে যাতায়াতকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪ হাজার পর্যন্ত। যাত্রী ও বাণিজ্য সেবা বৃদ্ধি করতে বন্দরের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম অব্যাহত আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত