নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
সিলেট নগরের মেজরটিলা এলাকার চামেলীবাগে মা-বাবাসহ এক শিশুর মৃত্যুর পর টিলার পাদদেশের বাড়িতে নিরাপদ বসবাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলায় এমন টিলার পাদদেশে হাজারো পরিবারের বসবাস। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী ও অধিকারকর্মীরা বলছেন, দখলের জন্য এসব টিলার পাদদেশে নিম্নবিত্তদের থাকার সুযোগ করে দেয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এরপর শুরু হয় টিলা কাটা। এসব ক্ষেত্রে প্রশাসন নীরব ভূমিকায় থাকে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে জীবন যাপন করে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।
সিলেট নগরে এমন টিলার পাদদেশে কী পরিমাণ মানুষ বসবাস করে, তার সংখ্যা জানে না প্রশাসন। কম কিংবা বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার কারণেই দরিদ্র পরিবারগুলো টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। আবার সিলেটের প্রভাবশালী মহলের একটি অংশ টিলা কাটা বা দখলে রাখার জন্য টিলার পাদদেশে ঘর বানিয়ে ভূমিহীনদের ভাড়া দেয়। আবার কম টাকায় পেয়ে টিলার পাদদেশে জমি কিনেও ঘর বানিয়েছেন অনেকে। এমন টিলার পাদদেশে কত মানুষের বসবাস, তা নিয়ে ২০১২ সালে একটি জরিপ চালিয়েছিল ‘সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’।
তাদের তথ্য অনুসারে, সেই সময় ১০ হাজার পরিবার টিলার পাদদেশে থাকত। এই সংগঠনের সভাপতি আবদুল হাই আল হাদি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। ২০১২ সালের তুলনায় সেই সংখ্যা এখন আরও বেড়েছে।
টিলার পাদদেশে বসবাস করা এসব পরিবার এখন আতঙ্কে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে চামেলীবাগের বাসিন্দা কয়ছর জানান, ‘সোমবারের ঘটনার পর ভয়ে অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য। হঠাৎ করে আমরা কোথায় যাব? আমাদের পুনর্বাসন বা সহায়তার কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি।’
সিলেটের পাহাড় টিলা সংরক্ষণে ২০১২ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে টিলার ওপর ও পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে টিলাধসে এখনো মানুষ মরছে। সর্বশেষ গত সোমবার তিনজন মারা যান। এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর সিলেট সদর উপজেলার খাদিম এলাকায় টিলাধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
২০২২ সালের ৬ জুন জৈন্তাপুর উপজেলায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আখতার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বারবার বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনকে বলে আসছি টিলা কাটা রোধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়েনি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘পাহাড় কাটার কৌশল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বসতি বানানো হয়। পাহাড় বা টিলাধসে মানুষের মৃত্যু হলে প্রশাসন কিছুদিনের জন্য তৎপর হয়। তারপর আবার চুপ হয়ে যায়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরের হাওলাদারপাড়া, আখালিয়া, পীরমহল্লা ব্রাহ্মণশাসন জাহাঙ্গীরনগর, তারাপুর চা-বাগান এবং নগরের উপকণ্ঠের বালুচর, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, জোনাকী, ইসলামপুর মেজরটিলা, মংলিরপাড় এলাকায় বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক শ পরিবার। এ ছাড়া জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাজারো পরিবার। এই পরিবারগুলোকে সরানো যায় না দাবি সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বড় সমস্যা। তাদের কীভাবে সরানো যায় ও পুনর্বাসন করা যায় এ নিয়ে ভাবছি।’
সিলেট নগরের মেজরটিলা এলাকার চামেলীবাগে মা-বাবাসহ এক শিশুর মৃত্যুর পর টিলার পাদদেশের বাড়িতে নিরাপদ বসবাস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জেলায় এমন টিলার পাদদেশে হাজারো পরিবারের বসবাস। স্থানীয় মানবাধিকারকর্মী ও অধিকারকর্মীরা বলছেন, দখলের জন্য এসব টিলার পাদদেশে নিম্নবিত্তদের থাকার সুযোগ করে দেয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এরপর শুরু হয় টিলা কাটা। এসব ক্ষেত্রে প্রশাসন নীরব ভূমিকায় থাকে। ফলে ঝুঁকি নিয়ে জীবন যাপন করে নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো।
সিলেট নগরে এমন টিলার পাদদেশে কী পরিমাণ মানুষ বসবাস করে, তার সংখ্যা জানে না প্রশাসন। কম কিংবা বিনা ভাড়ায় থাকতে পারার কারণেই দরিদ্র পরিবারগুলো টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে। আবার সিলেটের প্রভাবশালী মহলের একটি অংশ টিলা কাটা বা দখলে রাখার জন্য টিলার পাদদেশে ঘর বানিয়ে ভূমিহীনদের ভাড়া দেয়। আবার কম টাকায় পেয়ে টিলার পাদদেশে জমি কিনেও ঘর বানিয়েছেন অনেকে। এমন টিলার পাদদেশে কত মানুষের বসবাস, তা নিয়ে ২০১২ সালে একটি জরিপ চালিয়েছিল ‘সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট’।
তাদের তথ্য অনুসারে, সেই সময় ১০ হাজার পরিবার টিলার পাদদেশে থাকত। এই সংগঠনের সভাপতি আবদুল হাই আল হাদি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই পরিবার ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে। ২০১২ সালের তুলনায় সেই সংখ্যা এখন আরও বেড়েছে।
টিলার পাদদেশে বসবাস করা এসব পরিবার এখন আতঙ্কে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে চামেলীবাগের বাসিন্দা কয়ছর জানান, ‘সোমবারের ঘটনার পর ভয়ে অনেকেই রাতে ঘুমাতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যাওয়ার জন্য। হঠাৎ করে আমরা কোথায় যাব? আমাদের পুনর্বাসন বা সহায়তার কোনো আশ্বাস দেওয়া হয়নি।’
সিলেটের পাহাড় টিলা সংরক্ষণে ২০১২ সালে উচ্চ আদালতের এক রায়ে টিলার ওপর ও পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করা দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে পুনর্বাসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সেই নির্দেশনা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে টিলাধসে এখনো মানুষ মরছে। সর্বশেষ গত সোমবার তিনজন মারা যান। এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর সিলেট সদর উপজেলার খাদিম এলাকায় টিলাধসে এক শিশুর মৃত্যু হয়।
২০২২ সালের ৬ জুন জৈন্তাপুর উপজেলায় একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর জন্য প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আখতার। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বারবার বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনকে বলে আসছি টিলা কাটা রোধে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সচেতনতা সৃষ্টির উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। এখন পর্যন্ত তাদের কোনো কার্যক্রম আমাদের চোখে পড়েনি।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম বলেন, ‘পাহাড় কাটার কৌশল হিসেবে পাহাড়ের পাদদেশে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য বসতি বানানো হয়। পাহাড় বা টিলাধসে মানুষের মৃত্যু হলে প্রশাসন কিছুদিনের জন্য তৎপর হয়। তারপর আবার চুপ হয়ে যায়।’
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট নগরের হাওলাদারপাড়া, আখালিয়া, পীরমহল্লা ব্রাহ্মণশাসন জাহাঙ্গীরনগর, তারাপুর চা-বাগান এবং নগরের উপকণ্ঠের বালুচর, বিমানবন্দর সড়ক, খাদিমপাড়া, খাদিমনগর, জোনাকী, ইসলামপুর মেজরটিলা, মংলিরপাড় এলাকায় বিভিন্ন টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক শ পরিবার। এ ছাড়া জৈন্তাপুর, গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় টিলা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে হাজারো পরিবার। এই পরিবারগুলোকে সরানো যায় না দাবি সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের। তিনি বলেন, ‘এটা একটা বড় সমস্যা। তাদের কীভাবে সরানো যায় ও পুনর্বাসন করা যায় এ নিয়ে ভাবছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪