শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আসন্ন ঈদে ঘরে ফেরা নিয়ে ভোগান্তির শঙ্কা থাকছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে। ফেরির স্বল্পতা ও ৮-৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করায় এ শঙ্কা। যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি ও চলাচলের সময় বাড়ানোর দাবি যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা ভেবে কর্তৃপক্ষকে ফেরির সার্ভিস বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছরই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চ, স্পিডবোট এবং ফেরিতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। ঈদ মৌসুমে নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোটের পাশাপাশি ফেরিতেও যানবাহন ও যাত্রীদের প্রচুর ভিড় থাকে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে বর্তমানে শুধু দিনের বেলায় ফেরি সার্ভিস চালু রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রো রোসহ মাত্র ৫টি ফেরি চলাচল করে। এ ছাড়া মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলে ২টি ফেরি। দুই নৌপথে মাত্র ৭টি ফেরি দিনের বেলা চলাচল করছে। পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনার পর প্রায় আট মাস ধরে এই নৌপথে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর কয়েক মাস ধরে সীমিতসংখ্যক ফেরি চলছে এই নৌপথে। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। টার্মিনালে সিরিয়ালে থাকতে হয় যানবাহনগুলোকে। তবে নৌপথে ব্যক্তিগত যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়িসহ ছোট যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার বন্ধ এ নৌপথে।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে লঞ্চগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ধারণক্ষমতা মেনেই লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হবে।
আলাপ করলে যাত্রীরা জানান, নৌপথে ফেরি পারাপার হতে বাংলাবাজার ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। ফেরির সংখ্যা কম এবং সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফেরি চলাচল করায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন পার হতে পারছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে বসে থেকে বিকেল হয়ে গেলে বিকল্প পথে ছুটতে হয় ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রীদের। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বলেন, ঘাটে গাড়ির চাপ কম থাকলে দ্রুতই ফেরিতে ওঠা যায়। আর ফেরিতে উঠতে পারলে পদ্মা পার হতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু ফেরিতে উঠতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। ঈদে এমনিতেই যাত্রীর চাপ বাড়ে। এ সময় ফেরির সংখ্যা ও চলাচলের সময় না বাড়ালে ভোগান্তি বাড়বে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. জহির জানান, ঘাটে রোগী পারাপারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে। তবে ঈদে ফেরি না বাড়ালে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরির সংখ্যাসহ সময় বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
লঞ্চে পার হওয়া যাত্রী মো. আজাদ বলেন, পদ্মা পার হতে লঞ্চে বেশি সময় লাগে না। তবে বাতাস থাকলে মাঝপদ্মায় বেশ ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ঈদের আগে লঞ্চে যেন গাদাগাদি করে পার না করা হয়, সেদিকে প্রশাসনের নজর রাখা জরুরি।
যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বিআইডব্লিউটিএর মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া ঘাট) আহমদ আলী বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত আগের নিয়ম অনুযায়ী ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, ঈদ সামনে রেখে কর্তৃপক্ষকে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। বর্তমানে বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দিতে দিনের বেলা ৭টি ফেরি চলছে। সন্ধ্যার পর বাংলাবাজার পথে বন্ধ থাকলেও মাঝিকান্দি পথে ফেরি চালু থাকে। তবে মাঝিকান্দি রুটে গাড়ি চলাচলের সড়ক তেমন উন্নত নয়। ফলে সড়কেই গাড়ি আটকে থাকে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঈদের আগে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আসন্ন ঈদে ঘরে ফেরা নিয়ে ভোগান্তির শঙ্কা থাকছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে। ফেরির স্বল্পতা ও ৮-৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল করায় এ শঙ্কা। যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঘাটে ফেরির সংখ্যা বৃদ্ধি ও চলাচলের সময় বাড়ানোর দাবি যাত্রীদের।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তির কথা ভেবে কর্তৃপক্ষকে ফেরির সার্ভিস বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, ঈদ সামনে রেখে প্রতিবছরই বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চ, স্পিডবোট এবং ফেরিতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। ঈদ মৌসুমে নৌ-রুটে লঞ্চ ও স্পিডবোটের পাশাপাশি ফেরিতেও যানবাহন ও যাত্রীদের প্রচুর ভিড় থাকে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে বর্তমানে শুধু দিনের বেলায় ফেরি সার্ভিস চালু রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রো রোসহ মাত্র ৫টি ফেরি চলাচল করে। এ ছাড়া মাঝিকান্দি-শিমুলিয়া রুটে চলে ২টি ফেরি। দুই নৌপথে মাত্র ৭টি ফেরি দিনের বেলা চলাচল করছে। পদ্মা সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনার পর প্রায় আট মাস ধরে এই নৌপথে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। দীর্ঘদিন পুরোপুরি বন্ধ থাকার পর কয়েক মাস ধরে সীমিতসংখ্যক ফেরি চলছে এই নৌপথে। গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পেলে বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। টার্মিনালে সিরিয়ালে থাকতে হয় যানবাহনগুলোকে। তবে নৌপথে ব্যক্তিগত যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স, রোগীবাহী গাড়িসহ ছোট যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস পারাপার বন্ধ এ নৌপথে।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌপথে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদে যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে লঞ্চগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ধারণক্ষমতা মেনেই লঞ্চে যাত্রী পারাপার করা হবে।
আলাপ করলে যাত্রীরা জানান, নৌপথে ফেরি পারাপার হতে বাংলাবাজার ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। ফেরির সংখ্যা কম এবং সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফেরি চলাচল করায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক যানবাহন পার হতে পারছে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঘাটে বসে থেকে বিকেল হয়ে গেলে বিকল্প পথে ছুটতে হয় ব্যক্তিগত গাড়ির যাত্রীদের। ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
গাড়িচালক মো. ইদ্রিস বলেন, ঘাটে গাড়ির চাপ কম থাকলে দ্রুতই ফেরিতে ওঠা যায়। আর ফেরিতে উঠতে পারলে পদ্মা পার হতে বেশি সময় লাগে না। কিন্তু ফেরিতে উঠতে পারাটাই চ্যালেঞ্জ। ঈদে এমনিতেই যাত্রীর চাপ বাড়ে। এ সময় ফেরির সংখ্যা ও চলাচলের সময় না বাড়ালে ভোগান্তি বাড়বে।
অ্যাম্বুলেন্সচালক মো. জহির জানান, ঘাটে রোগী পারাপারের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার রয়েছে। তবে ঈদে ফেরি না বাড়ালে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে। কর্তৃপক্ষের কাছে ফেরির সংখ্যাসহ সময় বাড়ানোর দাবি জানান তিনি।
লঞ্চে পার হওয়া যাত্রী মো. আজাদ বলেন, পদ্মা পার হতে লঞ্চে বেশি সময় লাগে না। তবে বাতাস থাকলে মাঝপদ্মায় বেশ ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ঈদের আগে লঞ্চে যেন গাদাগাদি করে পার না করা হয়, সেদিকে প্রশাসনের নজর রাখা জরুরি।
যাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে বিআইডব্লিউটিএ কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে তা এখনো নিশ্চিত নয়।
বিআইডব্লিউটিএর মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া ঘাট) আহমদ আলী বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি বাড়ানোর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন পর্যন্ত আগের নিয়ম অনুযায়ী ফেরি চলাচল করছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দীন আহমেদ জানান, ঈদ সামনে রেখে কর্তৃপক্ষকে ফেরির সংখ্যা বাড়ানোর বিষয়টি জানানো হয়েছে। বর্তমানে বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দিতে দিনের বেলা ৭টি ফেরি চলছে। সন্ধ্যার পর বাংলাবাজার পথে বন্ধ থাকলেও মাঝিকান্দি পথে ফেরি চালু থাকে। তবে মাঝিকান্দি রুটে গাড়ি চলাচলের সড়ক তেমন উন্নত নয়। ফলে সড়কেই গাড়ি আটকে থাকে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ঈদের আগে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪