মহসিন মোল্যা, শ্রীপুর (মাগুরা)
খেতের পরে খেত ওরা ছুটে চলে ইঁদুরের গর্তের সন্ধানে। গর্তের সন্ধান মিললেই শুরু হয় খোঁড়া। আশা— ধানের শিষ সংগ্রহ। সেই শিষ মাড়িয়ে বের করা হবে ধান। সেই ধান সেদ্ধ করে বানানো হবে চাল। যা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা।
অগ্রহায়ণের শুরু থেকে পৌষের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন খেতে ধান সংগ্রহের কাজ করে বাগদি সম্প্রদায়ের এক দল নারী। জীবিকার অন্বেষণে প্রতি পদে নানা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয় তাঁদের। আমনের মৌসুম শুরু হলেই ইঁদুরের গর্তের সন্ধানে নেমে পড়ে দল বেঁধে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে প্রতিদিন মাগুরা সদর উপজেলার নন্দীপাড়া থেকে ছুটে আসেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়বিলা মাঠে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি চলে ধানের শিষ সংগ্রহ।
গত শুক্রবার উপজেলার বড়বিলা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ধানখেতে এক দল নারী খুঁজে বেড়াচ্ছে ইঁদুরের গর্ত। কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে খোন্তা, অবার কারও হাতে বস্তা। আমন খেতে ইঁদুরের জমানো ধান খুঁজছে তাঁরা। এমনকি খেতে পড়ে থাকা ধানের শিষের মালিকানাও যেন তাঁদের। প্রতিদিন এখন বড়বিলার মাঠে চোখে পড়ে এ দৃশ্য। প্রতিদিনই তাঁরা দল বেঁধে ছুটে চলে ফসলের মাঠে। একটি মুহূর্ত যেন দম ফেলানোর সময় নেই। ইঁদুরের গর্ত কিংবা ঝরে পড়া ধান দেখলেই তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে সোনালি হাসি।
সরেজমিন কথা হয় ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করতে আসা দুর্গা রানী বিশ্বাস ও চিত্রা রানী বিশ্বাসের সঙ্গে। দুর্গা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘বছরের অন্য সময় আমরা হাটে-বাজারে কাজ করি। অন্যের খেতে দিনমজুরি দিয়ে, খালে-বিলে মাছ ও কুঁচে ধরে তাহা বিক্রি করে সংসার চালাই। এ সময় ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করি। প্রতি মৌসুমে ৮ থেকে ১০ মণ ধান পাওয়া যায়।’
চিত্রা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক গর্তেই ধান থাকে না। আবার ভাগ্য ভালো হলে অনেক গর্তেই ধান পাওয়া যায়। তখন বড় আনন্দ লাগে। আবার অনেক গর্তেই ইঁদুরের বদলে সাপ থাকে। ঝুঁকি নিয়ে আমরা এ কাজ করি। তাই গর্তে খুব সাবধানে হাত ঢোকাতে হয়। প্রথম প্রথম ইন্দুরের গর্তে হাত দিতি সাহস পাতাম না। যদি পোকামাকড় থাকে! তবু ভয়ে ভয়ে একদিন হাত ঢুকাই। খসখস শব্দ হলি ভয় পাই।’
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমে ধান খেতে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হয়। এ সময় ইঁদুর ধান খেতে গর্ত করে, পাকা ধানের শিষ গর্তে নিয়ে যায়। কৃষকেরা খেতের ধান বাড়িতে পৌঁছাতেই হাঁপিয়ে ওঠে। এ মৌসুমে অনেকই দিন পার করে ফসলের মাঠে ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, এভাবে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করা নিরাপদ না। ইঁদুর নিধনের ফাঁদ এবং রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন করা সম্ভব। এতে কৃষকেরা উপকৃত হবেন।
খেতের পরে খেত ওরা ছুটে চলে ইঁদুরের গর্তের সন্ধানে। গর্তের সন্ধান মিললেই শুরু হয় খোঁড়া। আশা— ধানের শিষ সংগ্রহ। সেই শিষ মাড়িয়ে বের করা হবে ধান। সেই ধান সেদ্ধ করে বানানো হবে চাল। যা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা।
অগ্রহায়ণের শুরু থেকে পৌষের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন খেতে ধান সংগ্রহের কাজ করে বাগদি সম্প্রদায়ের এক দল নারী। জীবিকার অন্বেষণে প্রতি পদে নানা ঝুঁকি মোকাবিলা করতে হয় তাঁদের। আমনের মৌসুম শুরু হলেই ইঁদুরের গর্তের সন্ধানে নেমে পড়ে দল বেঁধে। প্রচণ্ড শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে প্রতিদিন মাগুরা সদর উপজেলার নন্দীপাড়া থেকে ছুটে আসেন মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার বড়বিলা মাঠে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি চলে ধানের শিষ সংগ্রহ।
গত শুক্রবার উপজেলার বড়বিলা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, ধানখেতে এক দল নারী খুঁজে বেড়াচ্ছে ইঁদুরের গর্ত। কারও হাতে কোদাল, কারও হাতে খোন্তা, অবার কারও হাতে বস্তা। আমন খেতে ইঁদুরের জমানো ধান খুঁজছে তাঁরা। এমনকি খেতে পড়ে থাকা ধানের শিষের মালিকানাও যেন তাঁদের। প্রতিদিন এখন বড়বিলার মাঠে চোখে পড়ে এ দৃশ্য। প্রতিদিনই তাঁরা দল বেঁধে ছুটে চলে ফসলের মাঠে। একটি মুহূর্ত যেন দম ফেলানোর সময় নেই। ইঁদুরের গর্ত কিংবা ঝরে পড়া ধান দেখলেই তাদের চোখে-মুখে ফুটে ওঠে সোনালি হাসি।
সরেজমিন কথা হয় ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করতে আসা দুর্গা রানী বিশ্বাস ও চিত্রা রানী বিশ্বাসের সঙ্গে। দুর্গা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘বছরের অন্য সময় আমরা হাটে-বাজারে কাজ করি। অন্যের খেতে দিনমজুরি দিয়ে, খালে-বিলে মাছ ও কুঁচে ধরে তাহা বিক্রি করে সংসার চালাই। এ সময় ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করি। প্রতি মৌসুমে ৮ থেকে ১০ মণ ধান পাওয়া যায়।’
চিত্রা রানী বিশ্বাস বলেন, ‘অনেক গর্তেই ধান থাকে না। আবার ভাগ্য ভালো হলে অনেক গর্তেই ধান পাওয়া যায়। তখন বড় আনন্দ লাগে। আবার অনেক গর্তেই ইঁদুরের বদলে সাপ থাকে। ঝুঁকি নিয়ে আমরা এ কাজ করি। তাই গর্তে খুব সাবধানে হাত ঢোকাতে হয়। প্রথম প্রথম ইন্দুরের গর্তে হাত দিতি সাহস পাতাম না। যদি পোকামাকড় থাকে! তবু ভয়ে ভয়ে একদিন হাত ঢুকাই। খসখস শব্দ হলি ভয় পাই।’
স্থানীয় কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, আমন মৌসুমে ধান খেতে ইঁদুরের আক্রমণ বেশি হয়। এ সময় ইঁদুর ধান খেতে গর্ত করে, পাকা ধানের শিষ গর্তে নিয়ে যায়। কৃষকেরা খেতের ধান বাড়িতে পৌঁছাতেই হাঁপিয়ে ওঠে। এ মৌসুমে অনেকই দিন পার করে ফসলের মাঠে ইঁদুরের গর্তের ধান সংগ্রহ করে।
শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, এভাবে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান সংগ্রহ করা নিরাপদ না। ইঁদুর নিধনের ফাঁদ এবং রাসায়নিক পদ্ধতিতে ইঁদুর দমন করা সম্ভব। এতে কৃষকেরা উপকৃত হবেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪