Ajker Patrika

হামলার শিকার হাফিজকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
Thumbnail image

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া মডেল থানায় দুটি পৃথক অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগ নেতা শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ ও তাঁর খালা। আধিপত্য বিস্তার ও ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এ হামলা করা হয় বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এবং তাঁর স্বজনেরা।

এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোড এলাকার তাঁর খালার বাড়িতে হামলা চালিয়ে সেখান থেকে তাঁকে মারধর করে একপক্ষের নেতা-কর্মীরা। পরে আহত অবস্থায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তাঁর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

গতকাল বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওনা হওয়ার আগে, নিজ জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি গঠন নিয়ে মূলত বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড, ছোরাসহ হামলা করে গুরুতর আহত করেছে। আল্লাহ রক্ষা না করলে আমাকে সেদিনই তাঁরা হত্যা করে ফেলত। উন্নত চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে আমার পরিবারের লোকজন, খালা ও খালাত বোন অ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যাচ্ছে। আমি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জীবনের নিরাপত্তা ও বিচার চাই।’

চ্যালেঞ্জ আরও বলেন, ‘কমিটি নিয়ে নোংরামি চলছে। প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীরা আমাকে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করতে চান। হত্যার উদ্দ্যেশ্যেই সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে।’ তাঁরা বলেছেন, ‘তোর কোনো বাপ তোকে বাঁচাতে পারবে না। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু ও অজয় সুরেকা বাপ তোকে বাঁচাতে পারবে না।’

জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোহানুর রহমান বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক চ্যালেঞ্জের জনপ্রিয়তা ও সুশোভিত রাজনীতিতে হিংসায় পড়ে পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে। আমরা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক দোষীদের শাস্তি চাই।’

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলীর বলেন, এটা একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের ছাড় দেওয়া হবে না। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত