Ajker Patrika

জাগের পানির অভাব পাট নিয়ে বিপাকে

মোহাম্মদ আরীফুল ইসলাম, কুলিয়ারচর
আপডেট : ০১ আগস্ট ২০২২, ১৪: ১৬
Thumbnail image

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষকেরা। ভরা বর্ষায় খাল-বিলে পানি না থাকায় জমিসহ বিভিন্ন জলাশয় শুকিয়ে গেছে। এতে পাট কাটলেও জাগ দিতে না পেরে আঁটি বেঁধে বিভিন্ন স্থানে রেখে দিয়েছেন কৃষকেরা। কেউ আবার গর্ত করে সেখানে সামান্য পানি দিয়ে পাট জাগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

চলতি মৌসুমে উপজেলায় পাটের ভালো আবাদ হয়েছে। বাজারদরও ভালো। এবার পাটের বাম্পার ফলনের আশায় ছিলেন কৃষকেরা। তবে স্বপ্নে বাধা হয় দাঁড়িয়েছে দাবদাহ ও অনাবৃষ্টি। পানির অভাবে পাট জাগ দিতে না পারায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয়ভাবে প্রতিমণ ভালো মানের পাট বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা দরে। এ ছাড়া স্থানীয় বাজারগুলোতে জ্বালানি হিসেবে পাটখড়ির খুব কদর রয়েছে। মাঝারি এক আঁটি পাটখড়ি বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

কৃষক রবি মিয়া বলেন, ‘গত বছরের মতো এ বছর জমিতে পাট চাষ করছি। এবার পাটের দাম ভালো। তবে পাট কাটার পর জাগ দেওয়ার মতো জায়গা পাচ্ছি না। তাই আঁটি বেঁধে জমিতেই ফেলে রেখেছি। পানি এলে পাট জাগ দিতে পারব, না হলে জমিতেই নষ্ট হবে।’

কৃষক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘এই বছর এক কানি জমিতে পাট চাষ করেছি। এখন পাট কেটে জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাই না। বাড়ির কাছে সেতুর গোড়ায় একটু ডোবা আছে। কিন্তু সব পাট এখানে জাগ দেওয়াও সম্ভব না।’

কৃষক আবু চাঁন বলেন, ‘আগাম বন্যার পানি আসায় অনেক কৃষকের গাছ উপযুক্ত হওয়ার আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। কিছু পাট উপযুক্ত হয়ে জমিতে রয়েছে। এ বছর পানির অভাবে আমরা পাটের জাগ দিতে পারছি না।’

পাট জাগ দেওয়ার ও পাটের ফলন নিয়ে কথা হয় কুলিয়ারচর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে। তিনি বলেন, খাল-বিলে পানি থাকাকালীন অনেক কৃষকের পাট কাটার মতো উপযুক্ত হয়নি। এখন পাট কাটতে গিয়ে কৃষক জাগ দেওয়ার জন্য পানি পাচ্ছেন না। এ ক্ষেত্রে তাঁরা কৃত্রিমভাবে খনন করে কিংবা বৃষ্টির পানি জলাশয়ে ধরে রেখে পাটের জাগ দিতে পারেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত