জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৯ মার্চ বিকেলে তেজগাঁও বিমান-বন্দরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এসে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ২১ মার্চ তিনি বক্তৃতা দেন রেসকোর্স ময়দানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ২৪ মার্চ এবং ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি বেতার কেন্দ্রে গিয়ে আরেকটি ভাষণ দেন।
যে জিন্নাহ পাকিস্তান আন্দোলনকে সার্থক করে তুলেছিলেন বাঙালি মুসলমানদের সক্রিয় সহযোগিতায়, তিনিই খুব রূঢ়ভাবে শুধু উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। তিনি মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে জাতির খেদমত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জিন্নাহর সেদিনের কথায় মনে হয়েছিল, তিনি মূলত মুসলিম লীগের সমালোচকমাত্রকেই সন্দেহ করছিলেন এবং মনে করছিলেন, এরা রাষ্ট্রবিরোধী।
রমনা রেসকোর্স ময়দানে (এখন যার নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নাগরিক সংবর্ধনায় এক ঘণ্টার মতো দীর্ঘ ভাষণে তিনি সদ্যোজাত রাষ্ট্র পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে আলোচনা করেন। সামগ্রিকভাবে তাঁর মনোভঙ্গি ছিল একদেশদর্শী, উর্দুভাষীদের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ, সাম্প্রদায়িক ও সূক্ষ্মভাবে বাঙালিবিদ্বেষী।
জিন্নাহ বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলিতে চাই যে, উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে, অন্য কোনো ভাষা নহে। যে কেহ অন্য পথে চালিত হইবে সেই পাকিস্তানের শত্রু।’
২৪ মার্চ কার্জন হলে সমাবর্তন বক্তৃতায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে উপস্থিত ছাত্রদের মধ্য থেকে ইংরেজিতে ‘নো নো’ ধ্বনিতে প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কিছুটা শান্তভাবে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। বেতার ভাষণে তিনি আবার রাষ্ট্রভাষার বিষয়টি উচ্চারণ করেন।
সেদিন সন্ধ্যায় সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একটি বৈঠকে বসেন এবং তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আসা স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ প্রমুখ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন হল ডাকসুর প্রতিনিধিদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান ছাত্র থাকায় তিনি আর মুখ খোলেননি। অথচ স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট সম্ভাব্য রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়নের সময় তিনি এই রাষ্ট্রের যে চেহারা তুলে ধরেছিলেন, সেটি ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন থেকে কেউ আর মুসলমান বা হিন্দু নয়, সবাই পাকিস্তানি।’ কিন্তু নবগঠিত রাষ্ট্রকে তিনি পৃথিবীর অন্যতম সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করলেন।
ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে যারা লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক পাকিস্তান আন্দোলনের চালিকা শক্তি ছিল, তারা পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলেই বিবেচনা করত। ফলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কণ্ঠে এ রকম প্রতিক্রিয়াশীল কথা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। সত্যের খাতিরে স্বীকার করে নেওয়া ভালো, বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের এবং ছাত্রদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল, যারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থক হিসেবে জিন্নাহর বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়েছিল। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম ছাত্রসভা উর্দু রাষ্ট্রভাষার পক্ষে জিন্নাহকে সমর্থন করে। এই ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হুদা, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
জিন্না তখন পর্যন্ত ছিলেন বাঙালিদের চোখে পাকিস্তানের সমার্থক শব্দ। কিন্তু ঢাকার দুটি ভাষণ বাঙালি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিন্নাহর সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি করল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালি ছাত্র-শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে তিনি তাঁর পূর্ব মর্যাদা হারালেন অকারণে বাংলা ভাষায় বিরোধিতা করার জন্য। কিন্তু আগেই বলেছি, জিন্নাহ একটা ষড়যন্ত্র বা সন্দেহের বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন, যা দিয়ে পূর্ব বাংলার মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ প্রভাবিত হলো। খাজা নাজিমুদ্দীন তাঁর নিজের হাতে করা চুক্তিকেই ধূলিসাৎ করে দিলেন।
এই পর্যায়ে এসে আমরা দেখতে পাব, বাংলার প্রভাবশালী নেতারা যেমন মাওলানা আকরম খাঁ ভাষাপ্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গেলেন। অথচ কিছুদিন আগপর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবি সমর্থন করে আসছিলেন। তমদ্দুন মজলিস এ সময় জিন্নাহর ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েছিল এবং তারা ধীরে ধীরে এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল।
১১ মার্চের তীব্র বিক্ষোভ এ সময় শুধু একটি আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বহাল রইল। কিন্তু আন্দোলনের সেই বেগ ওই মুহূর্তে অন্তত থাকল না।

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৯ মার্চ বিকেলে তেজগাঁও বিমান-বন্দরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এসে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ২১ মার্চ তিনি বক্তৃতা দেন রেসকোর্স ময়দানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ২৪ মার্চ এবং ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি বেতার কেন্দ্রে গিয়ে আরেকটি ভাষণ দেন।
যে জিন্নাহ পাকিস্তান আন্দোলনকে সার্থক করে তুলেছিলেন বাঙালি মুসলমানদের সক্রিয় সহযোগিতায়, তিনিই খুব রূঢ়ভাবে শুধু উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। তিনি মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে জাতির খেদমত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জিন্নাহর সেদিনের কথায় মনে হয়েছিল, তিনি মূলত মুসলিম লীগের সমালোচকমাত্রকেই সন্দেহ করছিলেন এবং মনে করছিলেন, এরা রাষ্ট্রবিরোধী।
রমনা রেসকোর্স ময়দানে (এখন যার নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নাগরিক সংবর্ধনায় এক ঘণ্টার মতো দীর্ঘ ভাষণে তিনি সদ্যোজাত রাষ্ট্র পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে আলোচনা করেন। সামগ্রিকভাবে তাঁর মনোভঙ্গি ছিল একদেশদর্শী, উর্দুভাষীদের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ, সাম্প্রদায়িক ও সূক্ষ্মভাবে বাঙালিবিদ্বেষী।
জিন্নাহ বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলিতে চাই যে, উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে, অন্য কোনো ভাষা নহে। যে কেহ অন্য পথে চালিত হইবে সেই পাকিস্তানের শত্রু।’
২৪ মার্চ কার্জন হলে সমাবর্তন বক্তৃতায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে উপস্থিত ছাত্রদের মধ্য থেকে ইংরেজিতে ‘নো নো’ ধ্বনিতে প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কিছুটা শান্তভাবে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। বেতার ভাষণে তিনি আবার রাষ্ট্রভাষার বিষয়টি উচ্চারণ করেন।
সেদিন সন্ধ্যায় সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একটি বৈঠকে বসেন এবং তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আসা স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ প্রমুখ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন হল ডাকসুর প্রতিনিধিদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান ছাত্র থাকায় তিনি আর মুখ খোলেননি। অথচ স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট সম্ভাব্য রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়নের সময় তিনি এই রাষ্ট্রের যে চেহারা তুলে ধরেছিলেন, সেটি ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন থেকে কেউ আর মুসলমান বা হিন্দু নয়, সবাই পাকিস্তানি।’ কিন্তু নবগঠিত রাষ্ট্রকে তিনি পৃথিবীর অন্যতম সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করলেন।
ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে যারা লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক পাকিস্তান আন্দোলনের চালিকা শক্তি ছিল, তারা পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলেই বিবেচনা করত। ফলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কণ্ঠে এ রকম প্রতিক্রিয়াশীল কথা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। সত্যের খাতিরে স্বীকার করে নেওয়া ভালো, বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের এবং ছাত্রদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল, যারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থক হিসেবে জিন্নাহর বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়েছিল। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম ছাত্রসভা উর্দু রাষ্ট্রভাষার পক্ষে জিন্নাহকে সমর্থন করে। এই ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হুদা, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
জিন্না তখন পর্যন্ত ছিলেন বাঙালিদের চোখে পাকিস্তানের সমার্থক শব্দ। কিন্তু ঢাকার দুটি ভাষণ বাঙালি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিন্নাহর সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি করল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালি ছাত্র-শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে তিনি তাঁর পূর্ব মর্যাদা হারালেন অকারণে বাংলা ভাষায় বিরোধিতা করার জন্য। কিন্তু আগেই বলেছি, জিন্নাহ একটা ষড়যন্ত্র বা সন্দেহের বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন, যা দিয়ে পূর্ব বাংলার মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ প্রভাবিত হলো। খাজা নাজিমুদ্দীন তাঁর নিজের হাতে করা চুক্তিকেই ধূলিসাৎ করে দিলেন।
এই পর্যায়ে এসে আমরা দেখতে পাব, বাংলার প্রভাবশালী নেতারা যেমন মাওলানা আকরম খাঁ ভাষাপ্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গেলেন। অথচ কিছুদিন আগপর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবি সমর্থন করে আসছিলেন। তমদ্দুন মজলিস এ সময় জিন্নাহর ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েছিল এবং তারা ধীরে ধীরে এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল।
১১ মার্চের তীব্র বিক্ষোভ এ সময় শুধু একটি আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বহাল রইল। কিন্তু আন্দোলনের সেই বেগ ওই মুহূর্তে অন্তত থাকল না।
জাহীদ রেজা নূর, ঢাকা

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৯ মার্চ বিকেলে তেজগাঁও বিমান-বন্দরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এসে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ২১ মার্চ তিনি বক্তৃতা দেন রেসকোর্স ময়দানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ২৪ মার্চ এবং ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি বেতার কেন্দ্রে গিয়ে আরেকটি ভাষণ দেন।
যে জিন্নাহ পাকিস্তান আন্দোলনকে সার্থক করে তুলেছিলেন বাঙালি মুসলমানদের সক্রিয় সহযোগিতায়, তিনিই খুব রূঢ়ভাবে শুধু উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। তিনি মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে জাতির খেদমত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জিন্নাহর সেদিনের কথায় মনে হয়েছিল, তিনি মূলত মুসলিম লীগের সমালোচকমাত্রকেই সন্দেহ করছিলেন এবং মনে করছিলেন, এরা রাষ্ট্রবিরোধী।
রমনা রেসকোর্স ময়দানে (এখন যার নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নাগরিক সংবর্ধনায় এক ঘণ্টার মতো দীর্ঘ ভাষণে তিনি সদ্যোজাত রাষ্ট্র পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে আলোচনা করেন। সামগ্রিকভাবে তাঁর মনোভঙ্গি ছিল একদেশদর্শী, উর্দুভাষীদের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ, সাম্প্রদায়িক ও সূক্ষ্মভাবে বাঙালিবিদ্বেষী।
জিন্নাহ বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলিতে চাই যে, উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে, অন্য কোনো ভাষা নহে। যে কেহ অন্য পথে চালিত হইবে সেই পাকিস্তানের শত্রু।’
২৪ মার্চ কার্জন হলে সমাবর্তন বক্তৃতায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে উপস্থিত ছাত্রদের মধ্য থেকে ইংরেজিতে ‘নো নো’ ধ্বনিতে প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কিছুটা শান্তভাবে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। বেতার ভাষণে তিনি আবার রাষ্ট্রভাষার বিষয়টি উচ্চারণ করেন।
সেদিন সন্ধ্যায় সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একটি বৈঠকে বসেন এবং তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আসা স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ প্রমুখ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন হল ডাকসুর প্রতিনিধিদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান ছাত্র থাকায় তিনি আর মুখ খোলেননি। অথচ স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট সম্ভাব্য রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়নের সময় তিনি এই রাষ্ট্রের যে চেহারা তুলে ধরেছিলেন, সেটি ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন থেকে কেউ আর মুসলমান বা হিন্দু নয়, সবাই পাকিস্তানি।’ কিন্তু নবগঠিত রাষ্ট্রকে তিনি পৃথিবীর অন্যতম সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করলেন।
ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে যারা লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক পাকিস্তান আন্দোলনের চালিকা শক্তি ছিল, তারা পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলেই বিবেচনা করত। ফলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কণ্ঠে এ রকম প্রতিক্রিয়াশীল কথা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। সত্যের খাতিরে স্বীকার করে নেওয়া ভালো, বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের এবং ছাত্রদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল, যারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থক হিসেবে জিন্নাহর বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়েছিল। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম ছাত্রসভা উর্দু রাষ্ট্রভাষার পক্ষে জিন্নাহকে সমর্থন করে। এই ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হুদা, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
জিন্না তখন পর্যন্ত ছিলেন বাঙালিদের চোখে পাকিস্তানের সমার্থক শব্দ। কিন্তু ঢাকার দুটি ভাষণ বাঙালি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিন্নাহর সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি করল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালি ছাত্র-শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে তিনি তাঁর পূর্ব মর্যাদা হারালেন অকারণে বাংলা ভাষায় বিরোধিতা করার জন্য। কিন্তু আগেই বলেছি, জিন্নাহ একটা ষড়যন্ত্র বা সন্দেহের বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন, যা দিয়ে পূর্ব বাংলার মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ প্রভাবিত হলো। খাজা নাজিমুদ্দীন তাঁর নিজের হাতে করা চুক্তিকেই ধূলিসাৎ করে দিলেন।
এই পর্যায়ে এসে আমরা দেখতে পাব, বাংলার প্রভাবশালী নেতারা যেমন মাওলানা আকরম খাঁ ভাষাপ্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গেলেন। অথচ কিছুদিন আগপর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবি সমর্থন করে আসছিলেন। তমদ্দুন মজলিস এ সময় জিন্নাহর ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েছিল এবং তারা ধীরে ধীরে এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল।
১১ মার্চের তীব্র বিক্ষোভ এ সময় শুধু একটি আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বহাল রইল। কিন্তু আন্দোলনের সেই বেগ ওই মুহূর্তে অন্তত থাকল না।

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৯ মার্চ বিকেলে তেজগাঁও বিমান-বন্দরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এসে পৌঁছালে হাজার হাজার মানুষ তাঁকে সংবর্ধনা জানান। ২১ মার্চ তিনি বক্তৃতা দেন রেসকোর্স ময়দানে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন ২৪ মার্চ এবং ঢাকা ত্যাগের আগে তিনি বেতার কেন্দ্রে গিয়ে আরেকটি ভাষণ দেন।
যে জিন্নাহ পাকিস্তান আন্দোলনকে সার্থক করে তুলেছিলেন বাঙালি মুসলমানদের সক্রিয় সহযোগিতায়, তিনিই খুব রূঢ়ভাবে শুধু উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে সমর্থন করে বক্তব্য দেন। তিনি মুসলিম লীগে যোগ দিয়ে জাতির খেদমত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
জিন্নাহর সেদিনের কথায় মনে হয়েছিল, তিনি মূলত মুসলিম লীগের সমালোচকমাত্রকেই সন্দেহ করছিলেন এবং মনে করছিলেন, এরা রাষ্ট্রবিরোধী।
রমনা রেসকোর্স ময়দানে (এখন যার নাম সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নাগরিক সংবর্ধনায় এক ঘণ্টার মতো দীর্ঘ ভাষণে তিনি সদ্যোজাত রাষ্ট্র পাকিস্তানের নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রভাষা সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি সময় নিয়ে আলোচনা করেন। সামগ্রিকভাবে তাঁর মনোভঙ্গি ছিল একদেশদর্শী, উর্দুভাষীদের প্রতি পক্ষপাতপূর্ণ, সাম্প্রদায়িক ও সূক্ষ্মভাবে বাঙালিবিদ্বেষী।
জিন্নাহ বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদেরকে সুস্পষ্টভাবে বলিতে চাই যে, উর্দুই পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হইবে, অন্য কোনো ভাষা নহে। যে কেহ অন্য পথে চালিত হইবে সেই পাকিস্তানের শত্রু।’
২৪ মার্চ কার্জন হলে সমাবর্তন বক্তৃতায় মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ রাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে একই কথার পুনরাবৃত্তি করলে উপস্থিত ছাত্রদের মধ্য থেকে ইংরেজিতে ‘নো নো’ ধ্বনিতে প্রতিবাদ উচ্চারিত হয়। কয়েক সেকেন্ড চুপ থাকার পর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ কিছুটা শান্তভাবে তাঁর বক্তব্য শেষ করেন। বেতার ভাষণে তিনি আবার রাষ্ট্রভাষার বিষয়টি উচ্চারণ করেন।
সেদিন সন্ধ্যায় সংগ্রাম পরিষদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ একটি বৈঠকে বসেন এবং তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। প্রতিনিধিদলের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে নিয়ে আসা স্মারকলিপি পেশ করেছিলেন। প্রতিনিধিদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হক, কামরুদ্দীন আহমদ, আবুল কাশেম, মোহাম্মদ তোয়াহা, অলি আহাদ প্রমুখ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন হল ডাকসুর প্রতিনিধিদের মধ্যে হিন্দু ও মুসলমান ছাত্র থাকায় তিনি আর মুখ খোলেননি। অথচ স্বাধীনতার আগে ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট সম্ভাব্য রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়নের সময় তিনি এই রাষ্ট্রের যে চেহারা তুলে ধরেছিলেন, সেটি ছিল গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক। তিনি বলেছিলেন, ‘এখন থেকে কেউ আর মুসলমান বা হিন্দু নয়, সবাই পাকিস্তানি।’ কিন্তু নবগঠিত রাষ্ট্রকে তিনি পৃথিবীর অন্যতম সর্ববৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্র বলে আখ্যায়িত করলেন।
ছাত্র ও যুবকদের মধ্যে যারা লাহোর প্রস্তাবভিত্তিক পাকিস্তান আন্দোলনের চালিকা শক্তি ছিল, তারা পাকিস্তানকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র বলেই বিবেচনা করত। ফলে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর কণ্ঠে এ রকম প্রতিক্রিয়াশীল কথা তাদের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। সত্যের খাতিরে স্বীকার করে নেওয়া ভালো, বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের এবং ছাত্রদের মধ্যে একটা বড় অংশ ছিল, যারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার সমর্থক হিসেবে জিন্নাহর বক্তৃতাকে স্বাগত জানিয়েছিল। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মুসলিম ছাত্রসভা উর্দু রাষ্ট্রভাষার পক্ষে জিন্নাহকে সমর্থন করে। এই ছাত্রদের মধ্যে ছিলেন শামসুল হুদা, মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
জিন্না তখন পর্যন্ত ছিলেন বাঙালিদের চোখে পাকিস্তানের সমার্থক শব্দ। কিন্তু ঢাকার দুটি ভাষণ বাঙালি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিন্নাহর সম্পর্কে সন্দেহের সৃষ্টি করল। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাঙালি ছাত্র-শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীদের কাছে তিনি তাঁর পূর্ব মর্যাদা হারালেন অকারণে বাংলা ভাষায় বিরোধিতা করার জন্য। কিন্তু আগেই বলেছি, জিন্নাহ একটা ষড়যন্ত্র বা সন্দেহের বীজ ঢুকিয়ে দিয়ে গেলেন, যা দিয়ে পূর্ব বাংলার মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবীদের একটি অংশ প্রভাবিত হলো। খাজা নাজিমুদ্দীন তাঁর নিজের হাতে করা চুক্তিকেই ধূলিসাৎ করে দিলেন।
এই পর্যায়ে এসে আমরা দেখতে পাব, বাংলার প্রভাবশালী নেতারা যেমন মাওলানা আকরম খাঁ ভাষাপ্রশ্নে সম্পূর্ণ নীরব হয়ে গেলেন। অথচ কিছুদিন আগপর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার দাবি সমর্থন করে আসছিলেন। তমদ্দুন মজলিস এ সময় জিন্নাহর ভাবধারায় প্রভাবিত হয়েছিল এবং তারা ধীরে ধীরে এই আন্দোলন থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছিল।
১১ মার্চের তীব্র বিক্ষোভ এ সময় শুধু একটি আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে বহাল রইল। কিন্তু আন্দোলনের সেই বেগ ওই মুহূর্তে অন্তত থাকল না।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

ছাত্রদের সঙ্গে চুক্তিটা ছিল খাজা নাজিমুদ্দীনের চালাকি। পাকিস্তানের গভর্নর জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ঢাকায় আসেন ১৯৪৮ সালের ১৯ মার্চ। চুক্তির কারণে ভাষা আন্দোলন স্থগিত ছিল।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
১৮ দিন আগে
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫