সাতক্ষীরা ও তালা প্রতিনিধি
জলাবদ্ধতার কারণে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ৬১ গ্রামের হাজারো মানুষ নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারসহ নানা সংকটে ভুগছেন।
অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, চুলকানি, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, জলাবদ্ধ গ্রামগুলো হলো সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নে ১৭টি, ঝাউডাঙায় ২১টি ও আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ২৩টি গ্রাম মিলে মোট ৩ ইউনিয়নের ৬১ গ্রাম। এ ছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩৩টি গ্রামের শত শত পরিবার এখনো নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং হাইজিন সমস্যায় আক্রান্ত।
এর মধ্যে বল্লী ইউনিয়নে ৩,৮২৬ পরিবার, আগরদাড়ি ইউনিয়নে ৮,৮৮৮ পরিবার, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭,৯২২ পরিবার, সাতক্ষীরা পৌরসভার ২৬,৮৯৬ পরিবার, কলারোয়া পৌরসভার ৬,৫৭০ পরিবার এ সমস্যা প্রকট।
বল্লী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের লাইলী বেগম, ভাটপাড়ার পাপিয়া খাতুন, ঝাউডাংগার যোগরাজপুরের ছকিনা খাতুন, বলাডাংগা গ্রামের শরবানু বেগম, আগরদাড়ির বকচরা গ্রামের শহিদুল্লাহ সরদার, রুবিলা খাতুন সাতক্ষীরা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মুনজিতপুর মুন্সীপাড়া এলাকার নাছিমা খাতুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বদ্দিপুর কলোনির হোসনেয়ারা আক্তার ময়না, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর কাজীপাড়া এলাকার নাজমা আক্তারসহ আরও অনেকেই জানান, বৃষ্টির সময় ৭-৮ মাস তাঁদের এলাকা লবণাক্ত পানিতে জলাবদ্ধ থাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। তখন এক কলস খাবার পানি আনতে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
আবার এক ড্রাম পানি ৩০ টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া লাগে। বর্ষা মৌসুমে ভিটেবাড়িতে পানি জমে থাকায় ল্যাট্রিন করার মতো জায়গাও থাকে না। আর লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাঁরা।
উত্তরণের ওয়াশ এসডিজি-ওয়াই বাংলাদেশ সাব প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন ফেজ-২ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে সাতক্ষীরা সদরের ৩টি ইউনিয়ন, পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম ও কলারোয়া পৌরসভার কয়েক লক্ষ মানুষ নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং হাইজিন সংকটে ভুগছে। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে পুষ্টিহীনতার পাশাপাশি ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, চুলকানি, পাঁচড়া, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ নানা রোগে।
এ ব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন জানান, এলাকায় খাবার পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, বল্লী, ঝাউডাঙ্গাসহ কয়েকটি এলাকায় পানির স্তর না পাওয়ায় ডিপটিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের চেয়ে বর্তমানে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌর সভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি জানান, সুপেয় পানির জন্য যে পাওয়ার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না।
জলাবদ্ধতার কারণে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ৩ ইউনিয়নের ৬১ গ্রামের হাজারো মানুষ নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারসহ নানা সংকটে ভুগছেন।
অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, চুলকানি, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানিসহ বিভিন্ন রোগে। এসব সমস্যা সমাধানের জন্য এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, জলাবদ্ধ গ্রামগুলো হলো সদর উপজেলার বল্লী ইউনিয়নে ১৭টি, ঝাউডাঙায় ২১টি ও আগরদাঁড়ি ইউনিয়নের ২৩টি গ্রাম মিলে মোট ৩ ইউনিয়নের ৬১ গ্রাম। এ ছাড়া সাতক্ষীরা পৌরসভার ৩৩টি গ্রামের শত শত পরিবার এখনো নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং হাইজিন সমস্যায় আক্রান্ত।
এর মধ্যে বল্লী ইউনিয়নে ৩,৮২৬ পরিবার, আগরদাড়ি ইউনিয়নে ৮,৮৮৮ পরিবার, ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়নের ৭,৯২২ পরিবার, সাতক্ষীরা পৌরসভার ২৬,৮৯৬ পরিবার, কলারোয়া পৌরসভার ৬,৫৭০ পরিবার এ সমস্যা প্রকট।
বল্লী ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের লাইলী বেগম, ভাটপাড়ার পাপিয়া খাতুন, ঝাউডাংগার যোগরাজপুরের ছকিনা খাতুন, বলাডাংগা গ্রামের শরবানু বেগম, আগরদাড়ির বকচরা গ্রামের শহিদুল্লাহ সরদার, রুবিলা খাতুন সাতক্ষীরা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড মুনজিতপুর মুন্সীপাড়া এলাকার নাছিমা খাতুন, ৩ নম্বর ওয়ার্ড বদ্দিপুর কলোনির হোসনেয়ারা আক্তার ময়না, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সুলতানপুর কাজীপাড়া এলাকার নাজমা আক্তারসহ আরও অনেকেই জানান, বৃষ্টির সময় ৭-৮ মাস তাঁদের এলাকা লবণাক্ত পানিতে জলাবদ্ধ থাকায় খাবার পানির সংকট দেখা দেয়। তখন এক কলস খাবার পানি আনতে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে হয়।
আবার এক ড্রাম পানি ৩০ টাকা দিয়ে কিনে খাওয়া লাগে। বর্ষা মৌসুমে ভিটেবাড়িতে পানি জমে থাকায় ল্যাট্রিন করার মতো জায়গাও থাকে না। আর লবণাক্ত পানি ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ, চুলকানি, পাঁচড়া, পেটের পীড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাঁরা।
উত্তরণের ওয়াশ এসডিজি-ওয়াই বাংলাদেশ সাব প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন ফেজ-২ প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী হাসিনা পারভীন জানান, জলাবদ্ধতার কারণে সাতক্ষীরা সদরের ৩টি ইউনিয়ন, পৌরসভার কয়েকটি গ্রাম ও কলারোয়া পৌরসভার কয়েক লক্ষ মানুষ নিরাপদ পানি, স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা এবং হাইজিন সংকটে ভুগছে। অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছে পুষ্টিহীনতার পাশাপাশি ডায়রিয়া, আমাশয়, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, চুলকানি, পাঁচড়া, উচ্চ রক্তচাপ, হাঁপানিসহ নানা রোগে।
এ ব্যাপারে ঝাউডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজমল হোসেন জানান, এলাকায় খাবার পানির সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। খাবার পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিনের ব্যবস্থা করতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান জানান, বল্লী, ঝাউডাঙ্গাসহ কয়েকটি এলাকায় পানির স্তর না পাওয়ায় ডিপটিউবওয়েল বসানো সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে নিরাপদ পানি ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা আগের চেয়ে বর্তমানে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।
সাতক্ষীরা পৌর সভার মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি জানান, সুপেয় পানির জন্য যে পাওয়ার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান রয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় টিউবওয়েলে পানি উত্তোলন সম্ভব হচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪