মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ পালা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বানিয়েছেন তাঁর নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল গত বছর। শুটিং শেষে এবার কাজলরেখা দর্শকদের সামনে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্মাতা। গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করবেন।
কাজলরেখা সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ পাবে আগামীকাল। এই গান প্রকাশের মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে কাজলরেখার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘কাজলরেখা আমাদের গল্প। এই মাটির গল্প। আবহমান বাংলার গল্প। বাঙালি সুখে, দুঃখে, উৎসবে, আয়োজনে গানেই তার ভাব প্রকাশ করে। সে রকমই একটা গান আমরা দর্শকদের জন্য প্রকাশ করছি ২৮ ডিসেম্বর।’
কাজলরেখা মিউজিক্যাল ফিল্ম। ২০টির বেশি গান থাকছে এতে। এ বিষয়ে নির্মাতা সেলিম বলেন, ‘বিশের অধিক গান থাকছে এ সিনেমায়। সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন ইমন চৌধুরী। মূল পালাটা তো থাকছেই। এ ছাড়া, গীতবিন্যাসের ক্ষেত্রে আমি কাজ করেছি। পাশাপাশি সুরের ক্ষেত্রে কফিল আহমেদ জড়িত আছেন। আমার ধারণা, তিনজন মিলে দর্শকদের ভালো কিছু গান দিতে পারব।’
সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। আরও আছেন শরিফুল রাজ, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাসার, সাদিয়া আয়মান, শাহানা সুমী, রহমত আলী, গাউসুল আলম শাওন প্রমুখ।
এ বছর মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশের শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় মৈমনসিংহ গীতিকা এবং এর ইংরেজি তরজমা ইস্টার্ন বেঙ্গল ব্যালাডস প্রথম খণ্ড—দুটি বই প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই এটি দেশি-বিদেশি সাহিত্যিক মহলে আলোড়ন তোলে। বাংলা লোকসাহিত্যের সমৃদ্ধ ভান্ডারের পরিচয় পেয়ে সবাই বিস্মিত হন। যাঁর মাধ্যমে এই লোকসাহিত্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত ও আলোচিত হয়, সেই সংগ্রাহক চন্দ্রকুমার দে’র উদ্দেশে সিনেমাটি ট্রিবিউট দেবেন বলে জানালেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
উল্লেখ্য, কেদারনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সৌরভ’ পত্রিকার ১৩২০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় ‘মহিলা কবি চন্দ্রাবতী’ নামে একটি রচনা ছাপা হয়। লেখক চন্দ্রকুমার দে। বয়স ২৩ বছর। কেদারনাথ খবর নিয়ে জানতে পারেন, নেত্রকোনায় জন্ম নেওয়া চন্দ্রকুমারের লেখাপড়া গ্রামের পাঠশালায়। তহশিলদারির কাজ করতেন তিনি। গ্রামীণ কৃষকেরা যেসব পালা গাইতেন, সেগুলো সংগ্রহের কাজ শুরু করেন চন্দ্রকুমার। এ বিষয়ে তাঁর কিছু লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়।
পরবর্তী সময়ে চন্দ্রকুমারের লেখা পড়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলো ও লেখক দীনেশচন্দ্র সেন। গীতিকা সংগ্রহের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চন্দ্রকুমার দে’র নিযুক্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। পরে একই কাজে নিযুক্ত করেন আশুতোষ চৌধুরী, নগেন্দ্রচন্দ্র দে ও কবি জসীমউদ্দীনকে। তাঁদের মাধ্যমে ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৫৪টি গাথা সংগৃহীত হয়। সেগুলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা (১৯২৩) এবং পূর্ববঙ্গ-গীতিকা (১৯২৩-১৯৩২) নামে প্রকাশিত হয়। এভাবে গ্রামীণ কৃষকদের মুখে মুখে প্রচলিত পালাগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাসহ সারা বিশ্বে।
মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ পালা অবলম্বনে গিয়াস উদ্দিন সেলিম বানিয়েছেন তাঁর নতুন সিনেমা ‘কাজলরেখা’। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পাওয়া সিনেমাটির শুটিং শুরু হয়েছিল গত বছর। শুটিং শেষে এবার কাজলরেখা দর্শকদের সামনে আনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নির্মাতা। গিয়াস উদ্দিন সেলিম জানিয়েছেন, আগামী বছর সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন তিনি। শিগগিরই আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তির তারিখ ঘোষণা করবেন।
কাজলরেখা সিনেমার প্রথম গান প্রকাশ পাবে আগামীকাল। এই গান প্রকাশের মধ্য দিয়েই শুরু হচ্ছে কাজলরেখার আনুষ্ঠানিক প্রচারণা। গিয়াস উদ্দিন সেলিম বলেন, ‘কাজলরেখা আমাদের গল্প। এই মাটির গল্প। আবহমান বাংলার গল্প। বাঙালি সুখে, দুঃখে, উৎসবে, আয়োজনে গানেই তার ভাব প্রকাশ করে। সে রকমই একটা গান আমরা দর্শকদের জন্য প্রকাশ করছি ২৮ ডিসেম্বর।’
কাজলরেখা মিউজিক্যাল ফিল্ম। ২০টির বেশি গান থাকছে এতে। এ বিষয়ে নির্মাতা সেলিম বলেন, ‘বিশের অধিক গান থাকছে এ সিনেমায়। সংগীত পরিচালনায় রয়েছেন ইমন চৌধুরী। মূল পালাটা তো থাকছেই। এ ছাড়া, গীতবিন্যাসের ক্ষেত্রে আমি কাজ করেছি। পাশাপাশি সুরের ক্ষেত্রে কফিল আহমেদ জড়িত আছেন। আমার ধারণা, তিনজন মিলে দর্শকদের ভালো কিছু গান দিতে পারব।’
সিনেমার নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন মন্দিরা চক্রবর্তী। আরও আছেন শরিফুল রাজ, রাফিয়াত রশিদ মিথিলা, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, খায়রুল বাসার, সাদিয়া আয়মান, শাহানা সুমী, রহমত আলী, গাউসুল আলম শাওন প্রমুখ।
এ বছর মৈমনসিংহ গীতিকা প্রকাশের শতবর্ষ পূর্ণ হয়েছে। ১৯২৩ সালে দীনেশচন্দ্র সেনের সম্পাদনায় মৈমনসিংহ গীতিকা এবং এর ইংরেজি তরজমা ইস্টার্ন বেঙ্গল ব্যালাডস প্রথম খণ্ড—দুটি বই প্রকাশিত হয়। প্রকাশের পরপরই এটি দেশি-বিদেশি সাহিত্যিক মহলে আলোড়ন তোলে। বাংলা লোকসাহিত্যের সমৃদ্ধ ভান্ডারের পরিচয় পেয়ে সবাই বিস্মিত হন। যাঁর মাধ্যমে এই লোকসাহিত্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত ও আলোচিত হয়, সেই সংগ্রাহক চন্দ্রকুমার দে’র উদ্দেশে সিনেমাটি ট্রিবিউট দেবেন বলে জানালেন গিয়াস উদ্দিন সেলিম।
উল্লেখ্য, কেদারনাথ মজুমদারের সম্পাদনায় প্রকাশিত ‘সৌরভ’ পত্রিকার ১৩২০ বঙ্গাব্দের ফাল্গুন সংখ্যায় ‘মহিলা কবি চন্দ্রাবতী’ নামে একটি রচনা ছাপা হয়। লেখক চন্দ্রকুমার দে। বয়স ২৩ বছর। কেদারনাথ খবর নিয়ে জানতে পারেন, নেত্রকোনায় জন্ম নেওয়া চন্দ্রকুমারের লেখাপড়া গ্রামের পাঠশালায়। তহশিলদারির কাজ করতেন তিনি। গ্রামীণ কৃষকেরা যেসব পালা গাইতেন, সেগুলো সংগ্রহের কাজ শুরু করেন চন্দ্রকুমার। এ বিষয়ে তাঁর কিছু লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়।
পরবর্তী সময়ে চন্দ্রকুমারের লেখা পড়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রামতনু লাহিড়ী রিসার্চ ফেলো ও লেখক দীনেশচন্দ্র সেন। গীতিকা সংগ্রহের জন্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক চন্দ্রকুমার দে’র নিযুক্তির ব্যবস্থা করেন তিনি। পরে একই কাজে নিযুক্ত করেন আশুতোষ চৌধুরী, নগেন্দ্রচন্দ্র দে ও কবি জসীমউদ্দীনকে। তাঁদের মাধ্যমে ময়মনসিংহসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৫৪টি গাথা সংগৃহীত হয়। সেগুলো কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মৈমনসিংহ গীতিকা (১৯২৩) এবং পূর্ববঙ্গ-গীতিকা (১৯২৩-১৯৩২) নামে প্রকাশিত হয়। এভাবে গ্রামীণ কৃষকদের মুখে মুখে প্রচলিত পালাগুলো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে পুরো বাংলাসহ সারা বিশ্বে।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫